একদা স্বামী চেয়ারম্যানানন্দ বলেছিলেন " যে জন না করে প্রেম তাহার জইন্য হুদাই শেম শেম আর শেম" ।হেই ব্যাটা তো কইয়াই ১০ মাস ১০ দিনের পোয়াতি বেডির মতোন খালাস।আমি কেমতে কৈত্তে পরানসখি পাই ?

জাতির এই ক্রান্তি লগ্নে ২ ঠ্যাং চেগাইয়া আগাইয়া আসিলো আমাদের কলেজের আমার ই সহচর জলিল।ওহে বদ বালকেরা সাবধান এই জলিল সেই বিশালবক্ষা অনন্ত জলিল নহে।এই জলিল লিটনের ফ্ল্যাটে যাওয়া জলিল

দোস্তরে কৈলাম "জলুরে একটা পেরেম না করলে তো আর চেয়ারম্যান পদের আব্রু রক্ষা হয়না

দোস্ত কয় কেন আমারে পছন্দ হয়না ?
আতকা ফাল দিয়া ২ হাত ব্যাকগিয়ারে গেলাম।কৈলাম শালা আমারেও জলিলের ফ্ল্যাটে নিয়া ....ছি ছি বলিয়া শার্টের উপরের খোলা বোতাম ২ খান লাগাইলাম।তবেরে জলু এই ছিলো তোর মনে ?

জইল্যা কমছেকম ৩ দিন না মাজা হইলদা দাতঁ ৩২ খান বাইর কৈরা কইলো ঐ বেডা আমারে কি শাকিপ খান পাইছস? আমি থাকতে টেনশন ই খাইস না

টেনশন না খায়া বেনসন খায়া কৈলাম কেমতে কি ক দেহি এইবার ।
দোস্তে কয় হুনো কিলাসের বেবাক মাইয়া ই কৈলাম বুক, খালি ১ টা বাদে,ঐটা আবার পর্দা পুশিদা করে।আমি শরীফ বংশের পোলা পেরেম করলেও ঈমানি জোশের লগে করুম,কৈলাম আমি রাজি।পরেরদিন কলেজে গেলাম মাথায় টুপি পৈড়া আর প্যান্ট ভাজঁ কৈরা গিড়ার উফরে তুইল্যা

আমি খালি মাইয়ার সামনে দিয়া যাই আর টেরা চোখে দেখি।মাইয়া দেহি মুচকি মুচকি হাসে


পরেরদিন মনের মাধুরি মিশায়া একখান খত লিখলাম আর এক বান্দুবিরে দিয়া পাঠাইলাম।লেকিন খোদার দুনিয়ায় যে এমন বেরহম মাইয়া আছে তা জানতাম না , মাইয়া সিধা রিফিউজ খাইলো

মনের দুক্কে তহন বনে যাই এমুন দশা।দিলাম কলেজে যাওয়া বন ২ দিনের লাইগ্যা।
মাইয়া জইল্যারে জিগায় তোমার দোস্তে কৈ ?
ওয় কয় দোস্তে আমার নাওয়া খাওয়া বন কৈরা দিছে

আমি তো মনে মনে কেরান্চি হাসি দিয়া কৈ অরে নাবালেগ মাইয়া কলেজে আসার সময় যে কোপায়া পরোটা দিয়ে পায়া খাইয়া আইছি হেইডা কেমতে তোরে কই ?

চোখমুখ শুকায়া কৈলাম আমার কিচ্ছু ভালো লাগেনা

মাইয়া কয় পাগলামি করোনা,এভাবে ভালোবাসা হয়না ( আমিতো কৈ পাইছি আইজকা পুরাই বাংলা চিনেমার লগে লাইন টু লাইন মিল )খালি মুখে কৈলাম তুমাকে ছাড়া বাচতাম না :!> ।কৈয়াই দিলাম খিচ্চা দউর।
১দিন যায় ২ দিন যায় আমিও কলেজে যাইনা আর মাইয়ার ও কুনু রেসপন্স নাই


জইল্যা নিশিরে ফুন দিয়াই
" ওরে আল্লাহ গো আমার ভাইডা বুঝি আর বাচঁতোনা গো ,ওর কিছু হইলে নিশি আমি তুমারে ছাড়তাম না

মাইয়া তো কোৎ কৈরা ঢোক গিল্যা কয় কেনো জলিল কি হয়েছে?
-চেয়ারম্যানে ঘুমের ওষুধ খাইছে।ওরে আ মার ভাইরে..কইয়া মরা কান্দন শুরু করলো


হমুন্দির নাতির কান্দন দেইখ্যা আমি নিজেই ডাউট খায়া গেলাম আসলেই কি আমি মরছি না বাইচ্চা আছি

নাটকে প্রায় জইম্যা গেছে এমন মুহূর্তে কামের পোলাডা আয়া কয় ভাইজান পরোটার লগে ডিম ভাইজ্যা দিমু নাকি মাংস দিয়া খাইবেন? আমি তো খাট থাইক্যা এক লাফে মাটিতে বৈয়া পড়লাম।মাইয়া জিগায় ঐ জলিল তুমি যে বললে ও অসুস্থ তাহলে পরোটা খাবে কে ?

বন্ধু আমার সোনার টুকরা চাল্লু পোলা নগদে কয় আমি ওরে কেবিনে ভর্তি করে ক্যান্টিনে নাস্তা খেতে আসছি।সারারাত দোস্তের পাশে বৈয়া আছিলাম

নিশি কাইন্দা কয় জলদি তুমি ওর কাছে যাও,ওকে ছেড়ে একা আসছো কেনো ? আমি তো আবেগে কাইন্দাই দিলাম

ফোন রাইখ্যায় ২ দোস্তে গলাগলি কৈরা মাংস পরোটা ধ্বংস কৈরা নাক ডাইক্যা ঘুম দিলাম।২ ঘন্টা পরে দেহি আমার মুবাইলে ফুন

জইল্যারে এক উস্টা দিয়া খাট থাইক্যা ফালায়া কৈলাম উঠ বেটা নিশি ফুন দিছে।ধৈরা কাউয়ার বাইচ্যার লাহান চি চি কৈরা কৈলাম হেলো ..
ও মাই আল্লাহ মাই্য়া দেহি অগ্নিকন্যা সাজেদা চৌধুরির লাহান চিক্কুর দিয়া কয় বদমাশ,ফাজিল,বেহায়া,মিথ্যুক তুমি আমাকে নিয়ে ছিনিমিনি খেলেছো ( ঈমানে কৈলাম একদিন ক্লাসে খালি কার্ড খেলছিলাম,ছিনিমিনি নামক অপরিচিত কোহেকাফের খেলা খেলার তো কুশ্চেন ই আসেনা)।আর যতো এডজেক্টিভ আছিলো সব আমার উফরে ঝাড়লো

কয় আমি হসপিটালে আইছি আয়া গুগল সার্চ মাইরা দেখছি তুমি এই হসপিটালে ভর্তিই হও নাই,তুমি জীবনে আমার সাথে আর কথা বলবা না

কৈয়াই ফোন কাইট্যা দিলো।
একটু আগেও ঘুমের মইদ্যে ২ টাকার বাদাম কিনছিলাম নিশিরে লইয়া খামু বৈলা ।আর এহন দেহি আমার পেরেম ই লেটাফেটা হৈয়া গেলো

পরে অবশ্য আরো টেরাই দিছিলাম হেই কাহিনি অন্য কোনদিন বয়ান দিমুনে।
সবাইকে অগ্রিম ঈদের শুভেচ্ছা

সর্বশেষ এডিট : ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ১১:৫৫