আরিয়ানা গতকাল রাত ১১:৩০ মিনিটে ঢাকায় এসেছে সিঙ্গাপুর থেকে। আর আজ বিকালেই কালপুরুষদার ফোন - তার বাসায় একটা অলিখিত আড্ডার আমন্ত্রণ। চলে গেলাম বনানী, পৌছে দেখি আরিয়ানা হাজির। আমি, দাদা আর আরিয়ানা মিলে কতক্ষণ আড্ডা দিলাম। এরমধ্যে শ্রাবণসন্ধ্যার ফোন. বেচারী জাফনাকে ম্যানেজ করতে পারতেছে আর আসতেও পারতেছে না। আমরা চলে গেলাম সেই বিখ্যাত ছাদে, আরিয়ানা ছবি তুললো তার ক্যামেরায়। এরমধ্যে ব্লগার মুনশিয়ানা হাজির হলেন। প্রায় একই সময়ে হাজির হলেন ব্লগার রোদেলা তার ছেলে আর মেয়ে সহ। আমি অবশ্য এতোদিন মনে করতাম রোদেলা ডটু রাসেলের বউ। আজ জানলাম ইনি আরেকজন।
কতক্ষণ পর চলে আসলো রাতমজুর। আড্ডা যখন চলতেসে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে, তখনই হঠাতই নামলো বৃষ্টি। আমরা ঘরে আসতে আসতে বৃষ্টি শেষ। এবার ঘরেই আবার শুরু হলো আড্ডা। এরমধ্যে ভাবী আমাদের নাস্তার ব্যবস্থা করে ফেলেছেন। এরমধ্যে অবশ্য পল্লি বাউল আর আর একজন নতুন ব্লগার (নামটা একেবারেই মনে করতে পারছিনা, তবে উনি ইংল্যান্ডে থাকেন) এসে হাজির। এবার নাস্তার টেবিলে শুরু হলো আড্ডা। এবার জয়েন করলেন জানা, তবে স্বশরীরে না, ফোনে। জানালেন ওনার মা অসুস্থ। ইচ্ছে থাকলেও আসতে পারছেন না।
নাস্তার টেবিল থেকে আড্ডা এবার গড়ালো ড্রইংরুমে। গত আড্ডার ছবি দেখলাম আমরা। এরপর বিদায়ের পালা। দাদা জানালেন সামছা আকিদা জাহান অপেক্ষা করছেন কমলাপুরে। ওনার স্বামীর একটা অপারেশন হয়েছে। দাদা আর মুনশিয়ানা গেলেন তাদের সাথে দেখা করতে। বাকি সবাই যে যার মতো রওনা হলাম নিজ গন্তব্যে।
রাতমজুর আর রিপোষ্টার / জেমস ব্যানান খ্যাত ব্লগার মনসুর মিলে আয়োজন করেছে আরেকটা আড্ডা আগামী ২রা অক্টোবর বিকাল ৫টায়। আরিয়ানা সেখানেও থাকবে বলেছে। আজকের আড্ডার বাকিরাও থাকবেন কথা দিয়েছেন।
আপনি আসছেন তো ?