নাগরিক সাবধান! সময়ের বয়োঃসন্ধি চলছেতো চলছেই ভীষণ।
ঝড়-খরায় বিরান-বিভুই হয়ে উবে যাচ্ছে পাহাড়ী সব উলোর বন।
পথে-আপথে এখন দেখা হয়ে যায় যার-তার সাথে
যেমন-
বহু আগে সুদিন পেরোনো কোনো ক্যাসেটের দোকানদার
পদব্রজে ঘর্মাক্ত কোনো ছাতার মিস্ত্রী
ঠোঁটের কশ বেয়ে পানের পিক পড়া কোনো মিনমিন বুড়ি
বিকল হৃদযন্ত্রের ঢিপঢিপে শুভ্র-চুলো মনিষী
ফি বছর ঋণের সুদে আধমরা বরুণা
বনেদী গেরস্তের চির-রাখালী-কপালধারী ভৃত্য
হাফ-প্যান্ট বয়সের টং টং চানাচুর-দই ওয়ালা
সটান-সম্মানী পঞ্চায়েতী মক্তবের হুজুর
দু'একটা ঠগ-ছেচ্চর আর গরু চোর
পুরনো প্রেমিকার স্বামী-সমেত স্কুলী বাচ্চা শিশু
অভুক্ত শিয়াল-বিড়াল-কুকুর
ইত্যাদি।
গঞ্জের রাস্তায় গতোকাল বাসন্তীর চঞ্চল মেয়েটা
চোখ তুলে থাকালোনা যখন-
বুঝলুম, পৃথিবীতে এতোদিনে ধরা পরে গেছে
বয়সের আমোঘ কিরণ।
ছিন্ন মলাটের এক উর্দু কিতাবের ফাঁকে
নলিনীর চিঠিখানার আজ হঠাৎ আবিষ্কার।
বছর ত্রিশেক আগেকার এক আশ্বিনের চিঠি-
"...পুঁলের উপরে থাইকো জহরের ওয়াক্তে..
মা'য়ে কাইল চই পিঠা বানাইছে....
আরো কিছু কথা আছে.. আপনি থাইকেন"।
চিঠিটা খুঁজে পাইনি বলে পড়া হয়নি
আর আজ- কি অদ্ভুত! ২২-শে শ্রাবণ!
বৃষ্টির ছটা এরকমই ছিলো
উদরের সন্তান উদরে রেখেই
শ্রাবণের এই দিনে নলিনী
কাঁদতে কাঁদতে মরামুখী হয়েছিলো।
বিনিয়ামিন।(০৮ জানুয়ারি ২০১১ সাল)