বহুদূরে ছোট্ট এক পাখি তৃষ্ণার্ত আকুতিতে
বসত গেড়েছে বিধস্ত গাছের নিচু মগডালে।
তার চকিত চাহনিতে যে মাদকতা ছিলো
তার বিলুপ্তি ঘটেছে বহুদিন আগেই,
তার ডানায় যে আয়েশি ভংগী ছিলো
সে ডানায় এখন ক্ষতভরা আলস্য।
তার দিক বিজয়ী উচ্ছাসে টান পড়েছে ভাটার,
সেখানে বিরাজ করছে ভয়ার্ত জোয়ার।
ছোট পাখি নিষ্পাপ আকুতিতে উড়ে বেড়াতো,
আর খড়কুটো জমা করতো।
এভাবেই একসময় বিধস্ত মগডালেই বুনেছিলো
তার ছোট্ট বাসা।
সাজিয়েছিলো নিজের সাধ আর সাধ্যানুযায়ী।
তার বুনো বাসার ফাঁক দিয়ে তাকিয়ে দেখতো-
আহা! চারিদিকে অবিমিশ্র সবুজের সমারোহ,
শুধু তার বুনন করা বাসার সেই বিধস্ত বৃক্ষেই ছিলনা
একটিও সবুজ পাতা।
তবুও ছোট পাখি তাতেই খুশি ছিলো।
বহুবার ঝড় এসেছে,
ছিন্ন ভিন্ন করেছে তার স্বপ্নের বাসা।
আবারো আশার টিমটিমে আলোয়
নতুন করে বুনেছে ভালোবাসার বাসা।
কিন্তু নিষ্ঠুরতা যখন খড়গ হাতে উদ্ধত হয়,
তখন কারইবা সাধ্য থাকে তাকে থামানোর!
ভালোবাসার বাসা নিষ্ঠুরতার বজ্রপাতে
ভস্ম হয়ে মিশে গেছে বিষাক্ত বাতাসে।
আঁকুপাঁকু করে জীবন বাঁচাতেই
ছোট পাখি আজ মৃতপ্রায়।
তার অক্লান্ত স্বপ্নরা এখন প্রচন্ড ক্লান্তিতে
ঘুমিয়ে পড়েছে অজানার মহাকালে।
কখনো কি ভাঙবে এই অকালের ঘুম?
কি জানি!
ছোট পাখিতো জানেইনা,
কারণ সে অনির্দিষ্টকালের ঘোরে মুহ্যমান।
তাহলে কে জানে!
আমি, তুমি নাকি সময়?
ছবি - গুগল
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১২:১৩