চিরকুটে লেখা ছিল-- দেখা হবে।
মাটির নিচের কোন ঘর থেকে শীতার্ত ভোরে এক
ভেসে এলো সে কথা দীর্ঘ অবকাশে।
ঘর পালানোর বাহানা-- সে আমার ছিল, আবারো ঘরে
আটকে থেকে বুক ভার ভার; শরীর থেকে মাংস খসে যেতে যেতে
মনে হয়, বাকি রয়ে গেলো কতকিছু! লেনদেন, প্রতিজ্ঞা অসার।
এই কেউ কেউ খুব ভাল আছে; সহজিয়া গতদিনে
গুনে গেছে পার্থিব সুখ-- কড়ি, মাটি, চন্দন। লিখে গেছে প্রাণের কথা,
গেয়েছে আমারই গান, নিয়ে গেছে প্রেম।
গলে যেতে যেতে ভাবি, শল্যবিদের নিখুঁত ছুরির
ব্যবচ্ছেদ চর্ম-অস্থি-মজ্জায় শুধু, বোঝেনি অন্তর্দোলা, ছল ছল মাতম।
হিমরাত্তির তৃতীয়যামে-- স্বর্ণমন্দিরের চূড়ো বেয়ে নেমে আসা
সুখের গুঁড়ো হলুদাভ রশ্মি এক; অপেক্ষমান শাদা ঘোড়াও
কম্পমান, অশ্রুত সুর ঢেকে যায় ভস্মে।
জানি গমগমে বৃষ্টি ধুয়ে নেবে ঘাসফুলের ম্লানতা একদিন,
কোমল রাঙা পা'দুটো রুশ উপকথা জুড়ে প্রিয়তম হাত ছুঁয়ে
হেঁটে বেড়াবে ২২৪ পাতাময়, অথবা, আমারই বুকের ওপর।
শুধু ফিরে গেছি আমি-- কোনদিন, কিছু বর্ণের ঝলক
বাতাস-ব্যঞ্জনা ভুলে, শুধু "দেখা হবে" জেনে, শূন্য চক্ষুকোটর
আটকে থাকে সেপিয়া চিরকুটে।
আমার হাড়ের ছাড়পত্র জানে-- সহস্র ক্রোশ দূর থেকে
নিরুপম আঙুল এক ছুঁয়েছিল চিবুক তোমার।