দূর-দিগন্তে শুনি আজ
নৈরাশ্য আর রণভংগের সুর !
কেন হে কবি, কিসের অভিমান ?
মনের গহীনে সিঞ্চন করে
গড়িবে ছন্দের মাল্য ।
শব্দ, সে তো ক্ষুদ্র অংশ
কাব্য মালার ।
মজবুত হবে কাব্যের ব্যক্ত ভাব
তথা মালার গাঁথুনি ।
ভারী হলে ছিড়ে যাবে
সে মালা ।
ছিন্ন মালা আর ঝুলবে না গলায় ।
সেরূপেই হলে শব্দ গুরু-গম্ভীর,
নষ্ট হয় ভাব কাব্যের ।
তাই তো বলছি
লিখে যান মনের আনন্দে ।
পরোয়া নাহি আজ শব্দ সম্ভারের ।
আসুন ফিরিয়া
য়ে বা নিয়েছেন বিদায় ।
জানাই উদাত্ত আহবান তারই তরে ।
কে বা ছোট কে বা বড়
আজ নহে তা বিবেচ্য ।
হেথায় হবে মোদের
মনের ভাব ব্যক্ত ।
করিব মোরা আনন্দের
ভাগ-বন্টন ।
অন্ত্যমিল আর ছন্দ সন্ধান,
সে তো রুটি-রোজগার সমালোচকদের ।
মোরা মনের আনন্দে
চালিয়ে যাই কলম
কাগজের পরে ।