বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের ড্রেসিং রূমে তার ডাক নাম "ছক্কা নাঈম" । নামের প্রতি সুবিচার খুব কম লোকই করতে পারে । কিন্তু নাঈম ইসলাম ওরফে "ছক্কা নাঈম" এক্ষেত্রে উজ্জল ব্যতিক্রম ।
কয়দিন আগেই গ্রামীণফোন সিরিজের ৫ম তথা শেষ ম্যাচে জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে এক ওভারে তিন ছ্ক্কা হাকিয়ে বাংলাদেশকে নাটকীয় এক জয় এনে দিয়েছিলেন এই নাঈম । গত শুক্রবারে(১৩/১১/২০০৯) যদিও দলকে জিতাতে পারেন নি, তবে এমন এক কীর্তি গড়েছেন ক্রিকেট ইতিহাসে এ পর্যন্ত যা খুবই বিরল । এক ওভারের ছয় বলে ছয়টি ছয় ।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এ ধরণের ঘটনা ঘটেছে মাত্র দু'বার । ২০০৩- এর একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকান ব্যাটসম্যান হার্শেল গিবস , এবং টি-২০ বিশ্বকাপের প্রথম আসরে ভারতের যুবরাজ সিং এ ধরণের কীর্তি গড়েছেন । এ পর্যন্ত দুই ধরণের ক্রিকেটে এ দুটি ঘটনাই এ ধরণের প্রথম ও শেষ কীর্তি ।
হোক না বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেট, হোক না বোলারটা মার্শাল আইয়ুব, তারপরও নাঈমের এ কীর্তি অতুলনীয় এবং বাংলাদেশী ব্যাটসম্যানদের মধ্যে প্রথম ।
তবে মুদ্রার দুই পিঠই থাকে । এমনিতেই বাংলাদেশী ব্যাটসম্যানদের ধৈর্য খুব কম । যার প্রমাণ আমরা গ্রামীণফোন সিরিজের ১ম ম্যাচেই পেয়েছি । এখন সবাই যদি "ছক্কা নাঈম" হওয়ার চেষ্টা করে তবে তা কখনোই ভালো ফল বয়ে আনবে না । আশা করছি
বাংলাদেশী ব্যাটসম্যানরা এটা অনুধাবন করতে পারবেন ।
আরেকটি সুখবর হল - বাংলাদেশ দলের সহ-অধিনায়ক(বর্তমান ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক) সাকিব আল হাসানের ওয়ানডে বোলিং শীর্ষ তালিকার দুই নম্বরে উঠে আসা । তিনি আগে এই তালিকার চার নম্বরে অবস্থান করছিলেন । আর শীর্ষ ওয়ানডে অলরাউন্ডারের তকমা তো গত কয়েক মাস ধরে তারই ।
সাবাস বাংলাদেশ । মাত্র কিছুদিন আগে এ ধরণের অবস্থানে কোন বাংলাদেশীকে এত তাড়াতাড়ি দেখতে পাব তা কল্পনাও করিনি । আমরা সত্যিই গর্বিত । আশা করছি খুব শীঘ্রই বাংলাদেশ নিয়মিতই বড় দলগুলোর বিরুদ্ধেও জয় ছিনিয়ে আনবে এবং নিজেরা বড় দল হিসেবে পরিচিতি পাবে । এই শুভ কামনায় আজ শেষ করছি ।