১.উৎপাদক ও গুণিতক সম্পর্ক
কোন সংখ্যার সাথে অন্য কোন সংখ্যার মিল বের করার সবচেয়ে সাধারন গণিতসম্মত পথ হচ্ছে উৎপাদক বা গুনিতক সম্পর্ক। যেমন ৫ এর সাথে ১০০ এর সম্পর্ক হল ৫ সংখ্যাটি ১০০এর উৎপাদক বা ১০০ হল ৫ এর গুণিতক। যেহেতু ৫*২০=১০০। অর্থাৎ ১০০ এর মাঝে ২০টি ৫ আছে । ৫কে যদি একক ধরা হয় তাহলে ১০০ কে লেখা যায় ১০০=২০ একক। এই উৎপাদকের ধারণা গণিতের জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ, যেমন- প্রাইম নাম্বার, পারফেক্ট নাম্বার ইত্যাদি আলোচনায় উৎপাদকের ধারনাই মূল ভিত্তি।
২.শর্ত গঠনের মাধ্যমে সম্পর্ক
এবার ধরুন ৫ এর সাথে উৎপাদক-গুণিতক বাদে আর কোন সম্পর্ক নির্ণয় করা যায় কিনা । যেমন ধরুন ৫ এর সাথে ২এর সম্পর্ক হল এর সাথে ৩ যোগ করলে ৫ পাওয়া যায়। তারমানে ২ ও ৩ সংখ্যাদ্বয় ৫ এর সাথে সম্পর্ক যুক্ত,এদের যোগফল যেহেতু আলোচ্য সংখ্যা। কিন্তু ২ ও ৩ কোনটিই আলাদা আলাদা ভাবে ৫ এর সাথে সম্পর্ক যুক্ত নয়। তাই ২ও ৩ আসলে একটি সেটের অন্তর্ভুক্ত যার সাথে ৫ এর একটি সম্পর্ক রয়েছে।
গাণিতিক ভাবে একে লেখা যায়, s= { (x,y): X=5-y, y=5-x}
যেমন (১,৪), (২,৩), (৬,-১) ইত্যাদি এ সেটের অন্তর্ভুক্ত ।
আবার দেখুন ৩১০১ সংখ্যাটির সাথে ৫ এর সম্পর্ক আছে যেভাবে, সেটি হল এ সংখ্যার প্রত্যেকটি ডিজিটকে আলাদাভাবে যোগ করলে ৫ হয়, ৩+১+০+১=৫
গাণিতিক ভাবে একে হয়তো এভাবে লিখতে পারি, s= { x: x is a number,addition of all the digit forming it =5}
এই শর্তের অধীনস্ত সংখ্যাগুলো হবে এরকম ২২১,২০৩,৩০২,৩১১,৫০০০,৪১,৪০০০০১... ইত্যাদি।
৩.সংখ্যাতাত্ত্বিক বা নিউমেরোলজিকাল সম্পর্ক
নিউমেরোলজিকাল সম্পর্ক বলতে আসলে বোঝায় এক ধরনের শর্তকে আশ্রয় করে সংখ্যার সম্পর্ক তৈরি করা। তবে এসব শর্তের নির্দিষ্টতা থাকা জরুরী, নিউমেরোলজিতে বহুদিন ধরে যে বিশেষ ধরনের শর্ত ব্যবহৃত হয়ে আসছে শুধু সেগুলোই ব্যবহার করতে হবে, আরবী ও হিব্রুতে এর বহুল ব্যবহার দেখা যায় ।
যেমন দুটি সংখ্যা পাশাপাশি বসিয়ে বা কোন সংখ্যার ডিজিট গুলো যোগ করে নতুন সংখ্যা তৈরি করা
তারপর রয়েছে অক্ষরের সংখ্যাতাত্ত্বিক মান ধরে কোন শব্দের সংখ্যাতাত্ত্বিক মান বের করা।
নিউমেরোলজিকাল সর্ম্পকগুলোকে সংক্ষেপে আমরা এভাবে লিখতে পারি:
ক. পাশাপাশি দুটি নাম্বার বা ডিজিট বসিয়ে নতুন সংখ্যা তৈরি। যেমন ২ ও ৩ হতে আমরা ২৩ পাই। বা কোন সংখ্যা হতে অন্য সংখ্যা তৈরি,যেমন ২৩ হতে পাই ২ও ৩।
খ. কোন সংখ্যার ডিজিট গুলো যোগ করে নতুন সংখ্যা তৈরি। ২৩ হতে পাই ২৩=২+৩=৫
গ. কোন শব্দের সংখ্যাতাত্ত্বিক মান ব্যবহার, যেমন আল্লাহ শব্দের সংখ্যাতাত্ত্বিক মান ৬৬ (আলিফ+লাম+লাম+হা =১+৩০+৩০+৫=৬৬)।আবার,কোন শব্দের প্রতিটি অক্ষরের সংখ্যাতাত্ত্বিক মান বসিয়ে কম্বিনেশন তৈরি যেমন আল্লাহ শব্দে ব্যবহৃত হরফগুলো হল আলিফ,লাম,লাম এবং হা ।এদের মান যথাক্রমে ১,৩০,৩০,৫। সুতারাং আল্লাহ শব্দের নিউমেরিকাল কম্বিনেশন ১৩০৩০৫।
ইত্যাদি।
মূল পোষ্ট
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই নভেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৩:৩৯