একটু দাঁড়ান !! ফেসবুকে আপনি হয়তো অনেক সময় নষ্ট করেন, আজ চেয়ে নিচ্ছি মাত্র ৫টি মিনিট। পারবেন না দিতে???
আমরা এডমিনরা পেজ চালাই নিছক মনের আনন্দে ও আপনাদের আনন্দ দিতে। আমাদের সাথেই পেজ চালিয়ে আপনাদের আনন্দ দেন এমন একজন এডমিন “মাহতাব” ভাই। আজ আপনাদের কাছে আবেদন নিয়ে আসছি, আসুন “মাহতাব” ভাইয়ের বাবাকে বাঁচাই-
প্রথমে বলে নেই , এই পোস্টটি আগেও মানবিকতার খাতিরে বিভিন্নি পেজে শেয়ার করা হয়েছিল। এরপর ভৌতিক অভিজ্ঞতা ( Paranormal Experience ) নামে একটি পেজ এটিকে “পেজ এডমিনদের একটি টাকা আত্মসাতের প্রতারনা” বলে মিথ্যে অপ্রপচার চালায়।এবং টাকা দাবী করে। যার স্কিন শট নেওয়া আছে। ভাবতে বড় অবাক লাগে, আজ মানুষকে বাঁচানোর জন্য আবেদন জানালেও কিছু অমানুষ সস্তা জনপ্রিয়তা পেতে বানোয়াট তথ্য দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করে। প্রথমেই এ পোস্ট এর সত্যতা যাচাইয়ে কয়েকটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত খবরের লিঙ্ক দেওয়া হলো
বাংলা নিউজ- Click This Link
হ্যালো টুডে- http://hello-today.com/ht/39426#comment-2244
খবর ২৪- http://www.khobor24.com/?p=31995
রংপুর ওয়েব- Click This Link
আসুন এবার “মাহতাব” ভাই এর কাছ থেকেই জানি বাবাকে নিয়ে উনার আকুলতা-
//ছোটবেলাতে ঘুম থেকে উঠেই খাবার খুঁজতে চলে যেতাম বাসার নির্দিষ্ট জায়গায়। কোনদিন যদি খাবার না পেতাম তখন আমার আকাশ বাতাস ফাটিয়ে কাঁদতে বসে যেতাম। সেই সময় আব্বা মাথায় হাত বুলিয়ে হোটেলে নিয়ে গিয়ে পেট পুরে নাস্তা খাওয়াতো। ঈদে বাবা নিজের কাপড় না কিনে কষ্টের সংসারে আমাদের ভাইবোনদের জামা কাপড়ের ব্যবস্হা করতেন।অভাবের সংসার হলেও আমার বায়না বাবা শত কষ্টেও পুরন করার চেষ্টা করতেন। আজ ভেজা চোখে অনেক স্মৃতিই মনে পড়ছে। বাবা প্রচন্ড কষ্টে বিছানায় কাতরাচ্ছে, আর আমি চোখের জল ফেলছি, বাবার মৃত্যুর প্রহর গোনা ছাড়া আমার করার কিছুই নেই।
গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে বাবার ফুসফুস ক্যান্সার ধরা পড়ে। এরপর আমার পৃথিবীতে নেমে আসে অমানিষার আঁধার। কারন সাত ভাই বোনের মধ্যে আমি শুধু পড়াশোনা করছি। এখন অনার্স ফাইনাল ইয়ারের ছাত্র আমি। একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি বাবা অসুস্হ হওয়ায় আমার পড়াশোনার পথ রূদ্ধ হওয়ার পথে। বাবার চিকিত্সার জন্য উঠে পড়ে লাগলাম। রংপুর থেকে ঢাকা নিয়ে গেলাম। ডাঃ আহমেদ মোর্শেদের তত্বাবধানে চিকিত্সা চলে। ইতোমধে আমাদের জমি বিক্রি করে ফেলতে হয়েছে। ডাঃ আহমেদ মোর্শেদের পরামর্শে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে বাইশটি রেডিও থেরাপি দেয়া হয়। কিছু দিন পর আবার বাবা সেই আগের মতই। আমি বন্ধুদের সাহায্য নিতে থাকলাম আর ওদিকে আমার মেঝোবোনের জমানো অর্থ সবই শেষ। এর মধ্যে যথেষ্ট সাহায্য করেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজের অনকোলজিস্ট "রকিব উদ্দিন স্যার"।
চিকিত্সা থেমে নেই চালিয়ে যেতে হচ্ছে দীর্ঘ এক বছর থেকে। এর মধ্যে একবার কেমো থেরাপি দেয়া হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে। দ্বিতীয় কেমো নির্দিষ্ট সময়ে না দিতে পারায় ডাক্তার রা সাজেস্ট করেন ওরাল থেরাপি। এরই মধ্যে আমাদের পরিবার প্রায়ই পথে বসে গেছে। ইমিডিয়েট দরকার ২৫ হাজার টাকা, এরপর আরো ৫০ হাজার টাকা। অথচ সিকি পয়সাও আমাদের পকেটে নেই। যা আছে তা শুধুই চোখের জল। যা ক্রমাগত চোখ কে সিক্ত করছে। সর্বোপরি বাবার সব কয়টি থেরাপি কম্প্লিট করতে প্রায় দু’লক্ষ টাকার প্রয়োজন অথচ আমাদের সংসারের আহার এবং আমার পড়াশোনার পথ রূদ্ধ। আমি আমার বাবার ব্যাপারে কারো কাছে সাহায্যের জন্য হাত পাতি নি। তবে আশরাফুল আংকেল, আমাদের প্রতিবেশী, তার ফার্মেসী থেকে ঔষধের ব্যাপারে অনেক সহযোগীতা করেছেন। সর্বশেষ ডাক্তার দুই এক দিনের মধ্যের ওরাল থেরাপি শুরু করতে বলেছেন, দেরি হলে সর্বনাশ। প্রচন্ড শ্বাসকষ্টের কারনে নেবুলাইজ করতে হচ্ছে। এই টাকাটাও আজ ধার করে নেবুলাইজ করলাম। আমার বাবা আমার মাঝে স্বপ্ন দেখতেন আমি পড়াশোনাটা শেষ করেই একটা ভাল চাকরি সংসারের হাল ধরবো। বাবার স্বপ্ন বিচ্যুত হতে চলেছে। বাবার চিকিত্সার টাকা ম্যানেজের চিন্তায় আমি মানসিক, শারিরিক ভাবে দুর্বল হয়ে পড়ছি। বারবার চোখে ভাসছে আমার বাবা কি মারা যাবে? নিজেকে অনেক বেশী অপরাধী মনে হচ্ছিলো, আমার করার আর কিছুই নেই বাবা, আমার করার কিছুই নেই! আমার বন্ধুদের কাছে ধারের পরিমান প্রায় চল্লিশ হাজার টাকা। তারা আমাকে চাপ দিবে না জানি, কিন্তু এই মুহুর্তে বাবাকে আমি বাঁচাতে পারবো না কিছু টাকার জন্য? আমি আমার পারিশ্রমিক ছাড়া কারো কাছ থেকে একটি টাকাও দান নেই নি। আজ হয়তো আমি দেশের মানুষের কাছে বাধ্য হয়ে হাত পেতে ফেলেছি, আমার চোখের সামনেই কিছুতেই বাবাকে মরে যেতে দিতে পারছি না। দেশের এত বিত্তবান মানুষ কেউ আমার বাবাকে বাঁচাতে এগিয়ে আসবে না?
যদি কোন হৃদয়পূর্ণ,হৃদয়বান মানুষের চোখে এই লেখাটা পড়ে সে আশাতে বসে আছি!
--মাহতাব হোসেন
01717768328,
•••contact•••
মাজেদুল ইসলাম -01727214909 (মাহতাব ভাই মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত থাকায় মাজেদুল ইসলাম কে ফোন করতে পারেন।)
••• AC no •••
Md. Mazedul Islam Prodhan
Account no. 162.101.5806
Dutch-Bangla Bangla Bank, Rangpur Branch.
একজন সন্তানের আর্তনাতঃ আমার বাবা কি বাচবে না ?
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
Tweet
৬টি মন্তব্য ০টি উত্তর


আলোচিত ব্লগ
বাংলাদেশ, চীন ও ভারত: বিনিয়োগ, কূটনীতি ও ভবিষ্যৎ চ্যালেঞ্জ
প্রতিকী ছবি
বাংলাদেশের বর্তমান আন্তর্জাতিক সম্পর্কের সমীকরণ নতুন মাত্রা পেয়েছে। চীন সফরে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস উল্লেখযোগ্য বিনিয়োগ ও আর্থিক প্রতিশ্রুতি নিয়ে ফিরছেন, যা দেশের অর্থনীতির জন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন
অদৃশ্য দোলনায়
ভোরের রোদ্র এসে ঘাসের শিশিরে মেঘের দেশে চলে যেতে বলে
শিশির মেঘের দেশে গিয়ে বৃষ্টি হয়ে ঘাসের মাঝে ফিরে আসে-
বৃষ্টি হাসে শিশিরের কথায়। তাহলে আমরা দু’জন কেন প্রিয়?
এক জুটিতে... ...বাকিটুকু পড়ুন
ড. ইউনূসকে পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি প্রদান....
ড. ইউনূসকে পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি প্রদান....
বাংলাদেশ সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে চীনের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয় সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি প্রদান করেছে। শনিবার (২৯ মার্চ) এক বিশেষ অনুষ্ঠানে ক্ষুদ্রঋণ ও... ...বাকিটুকু পড়ুন
ড. ইউনুস: এক নতুন স্টেটসম্যানের উত্থান
ড. মুহাম্মদ ইউনুস ধীরে ধীরে রাজনীতির এক নতুন স্তরে পদার্পণ করছেন—একজন স্টেটসম্যান হিসেবে। তার রাজনৈতিক যাত্রা হয়তো এখনও পূর্ণতা পায়নি, তবে গতিপথ অত্যন্ত সুস্পষ্ট। তার প্রতিটি পদক্ষেপ মেপে মেপে নেয়া,... ...বাকিটুকু পড়ুন
প্রধান উপদেষ্টার চীন সফর কেমন হলো ?
প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস এখনো চীন সফরে রয়েছেন। চীন সফর কে কেন্দ্র করে বাংলাদেশে এক শ্রেনীর মানুষের মধ্যে ব্যাপক হাইপ দেখা যাচ্ছে। বাংলাদেশের ইতিহাসে এমন সাসেক্সফুল সফর আর কোনো দলের... ...বাকিটুকু পড়ুন