গ্রীক এম্পিথিয়েটারের গায়ে যে সব মাকড়শা
গুহাচিত্র এঁকে যায় তাদের সাথে বাঘ বন্ধী খেলি,
নৈঃশব্দের প্যাটার্নে ঘুংগুর তুলে হেটে গেছে
গৃহবর্তিনী সুরেলা বালিকা সকল
আর আমি প্রেয়সীর গালে আছড়ে পড়ি।
হঠাৎ ফুলকুমারীর প্রসংগ আসতেই
আমাদের সামনে ঝুপ করে বসে পড়ে খুনে বিষণ্নতা
একে একে খেয়ে যেতে থাকে সফেদ বেলীফুল,
আবছায়া ল্যান্ডস্কেপ, মৌমাছির গুঞ্জরণ আর আমার
কাল কাল অক্ষর গুলোতে আমি পড়ে ফেলি
তোমার গ্রীবার ভংগিমায় লেগে থাকা প্রবোধের কথোপকথন।
-তুমি কবিতা লিখছো আমার পাশে বসে আবারো! আমিও কবিতা ভালবাসি, কবিতা আমার কাছের মানুষ। কিন্তু তাই বলে.........
-তোমাকেই তো লিখছি আমি, তুমিই কবিতা আমার। কবিতার জন্যে বিলীন করেছি অস্তিত্বের মায়াবী আদর আর ঈশ্বরের চোখে চোখ রেখে বলতে পারি,
'ক্ষমা কর ঈশ্বর পুরুষ, কবিতাকে ধারণ করেছি আপাদমস্তক
তাই তুমি ফেরারী হও'
অতঃপর তোমার চোখের নৈঃশব্দের ভেতর আমি হাঁটু গেড়ে বসলাম।
মেগাপিক্সেলে তুলে নিলাম শহুরে বালিকা আর্তনাদ
বেড়ালেরা গুটি গুটি পায়ে ফোয়ারা দেখতে চলে গেল
আর আমি পড়ে রইলাম তোমার গলার তিলে
ও তিল! ও কালো! আমাকে পায়রা আঁকা শেখাবি?
সহস্র বছর ডানার নেশায় খেয়ে গেছে সব
তবুও মানুষ এক একটা বিষাদ পাখী।
-আমার আংগুলের ভেতর অন্ধকার ঢুকে গেছে। ঐ দেখ নরম পায়ের বালকটি আমাকে দেখে পালিয়ে গেল।
-আমিই তো আছি তোমার চোখের কাল অক্ষরে, নরম আঁধারে তোমাকে শেখাবো চুমু বিষয়ক ভ্রমণ কাহিনী আর হারিয়ে যাওয়া বালকের মিথ।
আমি কবিতা লিখতে লিখতে প্রস্থান সময় হ্যাংগারে ঝুলিয়ে রাখি।
চকমকে করিডোরে গোলাপী বুঁনো ফুলে
সেলাই করে চলি মগ্নতা
তোমার চোখ দু'টি আমাকে দেবে কাজল প্রেমা?
আমি নিষিদ্ধ ওষ্ঠ ছোঁয়াবো ওহে বালিকা আমার।