আমি আজ প্রেয়সীর পাশে বসে অনর্গল স্পন্সর গুনে যাই জীবনের
আংগুলের আয়েশী নখের ভিতর জমে যাওয়া নীল কিছু দাগ
বার বার অনিশ্চয়তার হাই তোলে
তাই নিশ্চয়তার ক্লিপে শরীরে গেঁথে নিয়েছি এক জোড়া দীঘল কাজলিয়া চোখ।
তারপর টি এস সির দেয়ালে ছায়াহীন কিছু কথোপকথন ফিরে আসে
- তোমার এই শার্টটি কাল আমাকে ধার দিও, কর্পোরেট হাউসে নীল এক প্রজাপতি উড়ে যাবে, স্মার্ট
- আমার গায়ের গন্ধ মিশে আছে সুতোর বুননে, স্পর্শের গন্ধবাহী ঠোট তোমাকে আকুল চুমুতে ভিজিয়ে দেবে বৃদ্ধ গ্রীষ্মের দুপুরে।
- এত ভাবতে হবেনা তোমার, পারফিউমে ডুবিয়ে রাখবো প্রতিটি বাঁক-শরীর সানাই যেখানে বৃষ্টির জল বাজতে বাজতে মরে যায়।
আমি হেসে কবিতা লিখতে বসি
আংগুলে আংগুলে বিবাগী হাতে মুঠো ভরি আন্ত:নিশ্বাসে
ছায়াকে আরো ঠেলে দিয়ে মাথা গুঁজে দেই ঘাড়ে,মেঘের ভিতর।
পাশে কামনার ছেলে সাইকেলের টায়ার নিয়ে করিডোরের এমাথা থেকে ওমাথা দৌড়ে চলে
আমার বিপ্লব কোমর আঁকড়ে ধরে এক বুক চকোলেটের;
মেপে চলি কতটুকু দুধে এমন সুরভী ছড়াবে মায়া।
আমি প্রচন্ড ফেরারী হতে গিয়ে
ঘরে ফিরে এসেছি বারংবার
চোখের ভেতর বিছানা পেতে
ফেরারী হওয়া যায়না