আজকের টাটকা খবরঃ রাজশাহীর তরুন গবেষক জনাব ইমরান আলী সাহেব রাজশাহীতে সাংবাদিক সম্মেলন করে বিজ্ঞানী আইজ্যাক নিউটনের মাধ্যাকর্ষণ সূত্র ভুল প্রমানিত করেছেন।
হাঃ হাঃ হাঃ হাঃ হোঃ হোঃ হোঃ।
এর আগে আমরা পেট্টোলের বদলে পানি দিয়ে গাড়ী চালাবার ফর্মুলাও আবিস্কার করেছিলাম। আবিষ্কারের শেষ নাই। জেমস ওয়াট বাষ্পীয় ইন্জিনে রেলগাড়ি চালিয়েছিলেন, আর আমরা বাষ্প দিয়ে ভাঁপা পিঠা বানিয়েছি, এই বদনাম এইবার গুছে যাবে। জয়তু ইমরান ভাই।জয়তু আমাদের আবিষ্কার।
গবেষক ইমরান আলী নিউটনের সূত্র ভুল প্রমাণ করে বিভিন্ন পাঠশালায় এ তথ্য বিশদ আলোচনা করছেন। ছুটে যাচ্ছেন স্কুল থেকে স্কুলে।
এইবার নিজের স্কুলে হাজির হয়ে বললেন,সব পদার্থ উপর থেকে নীচে পড়েনা। আম, জাম, কাঁঠাল,কলা, লিচু, ডাব , নারিকেল, ইত্যাদি ওপর থেকে নীচে পড়ে। নিউটন সাহেবের এই কথা ঠিক আছে । উনার সাথে এই ব্যাপারে আমার কোনো দ্বিমত নাই।
কিন্তু পদার্থ মাত্রই ওপর থেকে নীচে পড়েনা।অনেক পদার্থ নীচ থেকে ওপরের দিকেও যায়। যেমন-পানিকে বাষ্প করা হলে তা উপরে ওঠে যায়। তাই নিউটনের সূত্র ঠিক না। এটা ভূয়া সূত্র। পুরোপুরি ভুল।
সাংবাদিক, সাংঘাতিক,শিক্ষক,ছাত্র, সব সুর তোললেন। ভুয়া, ভুয়া। নিউটন ভুয়া।
গবেষক ইমরান আলীর কথা শুনে , ক্লাসের সবচেয়ে পুংটা ছেলে জলিল-বললো স্যার । আপনার কথাও ভুল আছে। আপনারা দুজনেই ভুল। নিউটনও ভুল। আপনিও ভুল। দুজনেই ভুয়া।
ইমরান আলী চ্যাঁতে ওঠে বলেন- ফটফট করে মুখে বললে তো হবে না। তোমরা কথার প্রমাণ কি? আরো চ্যাঁতে বললেন-তুই প্রমাণ কর। তুমি থেকেই সরাসরি তুই।
পুংটা জলিল বললো- স্যার আপনি আমার সাথে আসেন। আমি প্রমাণ করেই দেখাবো। এ জলিল পুংটা হতে পারে কিন্তু প্রমাণ ছাড়া কথা বলেনা।
শীতকাল। স্কুলের পাশেই সবজি ক্ষেত। পুংটা জলিল ক্ষেতের দিকে রওয়ানা হলো। তারপর অনন্ত জলিলের মাংসের ভিতর থেকে হার্ট বের করে আনার মতো চোখের পলকেই পুংটা জলিল মাটি থেকে তুলে নিলো চায়নিজ মুলা।
এরপর ,পাশের মুদির দোকান থেকে চেয়ে নিলো নুন। তারপর মিনিটেই বিশাল সাইজের দুটো চায়নিজ মুলা পুংটা জলিল পেটে চালান করে দিলো ।
ক্লাসে ফিরে এলো তারপর। সবাই পুংটা জলিলের দিকে চেয়ে আছেন।
টান টান উত্তেজনা। পুংটা জলিল গবেষক ইমরান আলি আর নিউটনের সূত্রকে ভুল প্রমাণিত করবেই।
জলিল স্কুলের দপ্তরীকে বললো- দপ্তরী ভাই- স্কুলের দরজা -জানালা সব ভালো করে খুলে দেন। হাওয়া বাতাস আসা যাওয়া করুক। আর ইমরান স্যার আপনি আমার পিছনে এসে দাঁড়ান। পকেট থেকে রুমাল খানা বাইর করে দয়া করে আপনার নাকে ধরেন।
এবার চললো প্রায় দুই মিনিট গন্ধযুক্ত পাঁদের শব্দের ঝংকার।কী সুন্দর সে শব্দঝংকার। তালে তালে লয়ে লয়ে টুস টাস টুস টাস।
টানা দুমিনিট পর শব্দের লয়, শব্দের প্রলয় বন্ধ হলো।
ইমরান স্যার, পুংটা জলিলরে বললেন। তোর হুস ঠিক আছে? এভাবে পায়ু থেকে বায়ু বের করে শব্দের ঝংকারে তুই কি বুঝাতে চাস?
পুংটা জলিল বলে, এখনো কিছু কি বুঝাবার বাকী আছে? এতো বড় গবেষক হয়ে কিছুই বুঝতে পারলেন না।
শুধু পানি বাষ্প করলেই সে বাষপীয় পদার্থ উপরের দিকে উড়ে যায়না, স্যার। বরং পানি বাষ্প না করেও সরাসরি পাঁদ পদার্থও সবসময় উর্ধ্বদিকেই গমন করে। গন্ধযুক্ত হোক অথবা অগন্ধযুক্ত হোক। তাই , প্রমানিত হলো-আপনিও ভুয়া। আর আপনার নিউটনও ভুয়া।