১. নির্বাচনী প্রচারণার সময় হিলারি ক্লিনটন বলেছিলেন, আমেরিকানরা নারী প্রেসিডেন্ট চায় কিনা বা প্রস্তুত আছে কিনা সেটাও এক বড় বিষয়। তার আশংকাই সত্যি হলো। এত ভালো (অভিজ্ঞতা, ক্লিন ইমেজ) ব্যাকগ্রাউন্ড থাকার পরও তাকে হেরে যেতে হলো রাজনীতিতে অনভিজ্ঞ এক ব্যবসায়ীর কাছে।
২. কেউ বলেছেন, পরপর তিনবার ডেমোক্রেটদের চায়নি আমেরিকানরা। কিন্তু আমেরিকানরা দল হিসেবে ভোট দেয় না। ভোট দেয় ব্যক্তিকে। দল হিসেবে ভোট দিলে নিজ দলের সিনেটর রা প্রকাশ্যে নিজ দলের প্রার্থীকে ভোট দিবেন না বলে ঘোষণা দিতেন না। একজন পুরুষ প্রতিদ্বন্দ্বী থাকলে ট্রাম্প বিজয়ী হতে পারতেন কিনা যথেষ্ট সন্দেহ ছিল।
৩. অভিজ্ঞতা ও চারিত্রিক দিক দিয়ে হিলারি ছিলেন ট্রাম্পের চেয়ে অনেক বেশী উপরে। মুসলিম, অভিবাসী ও কালোদের বেশীরভাগ ভোটও তার দিকে যাওয়ার কথা। তারপরও আমেরিকানরা তাকে বেছে নেয়নি। তাই আমার ব্যক্তিগত মতামত হলো একজন নারী হওয়াতেই হেরে গিয়েছেন হিলারি ক্লিনটন।
৪. আমেরিকা এখনো পুরুষশাসিত সমাজ। আমাদের মত সস্তা ইমোশান নাই তাদের। কার পিতা মারা গিয়েছে, কার স্বামী মারা গিয়েছে বলে নেতা মেনে নেয়ার মত মানসিকতা নাই তাদের। দিন শেষে তারা দেখে কে আসলে শাসন করতে পারবে।
৫. নারী অধিকার, সম অধিকার এসব যে একটা লোক দেখানো স্ট্যান্ড আমেরিকানরা তা বুঝিয়ে দিল। হলিউড, বিজ্ঞাপন কিংবা পর্ণো ছবি গুলোতে পুরুষদের ডমিনেটেড হিসেবে দেখানো হয়। যুদ্ধবাজ জাতি হিসেবে সরকার প্রধান হবেন নারী এটা সংখ্যগরিষ্ঠ জনগণ মেনে নেয়নি।
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:৪২