আগের পর্ব: Click This Link
ড. হায়দার মবিন
মবিন সাহেব অতি সজ্জন ব্যক্তি। নিখুঁত ভদ্রলোক। গল্প-উপন্যাসের অ্যাবসেন্ড মাইন্ডেড প্রফেসরদের মতো উদ্ভট পোশাক পড়া কিংবা উল্টাপাল্টা হাস্যকর কান্ডকারখানাও করে বেড়ান না তিনি। কিন্তু পাড়ার লোকজন তাকে একটু সন্দেহের চোখেই দেখে। কারণ আর কিছুই না, তার গবেষণার বিষয়বন্তু। সারা দুনিয়ার মেধাবীরা যখন জ্ঞান-বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির বিভিন্ন শাখায় গবেষণা করছে, তখন ড. হায়দার মবিন গবেষণার বিষয়বস্তু হিসেবে বেছে নিয়েছেন প্রেততত্ত্ব।
যুক্তরাষ্ট্রেও ইলিনয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিনান্সিয়াল ম্যানেজমেন্ট বিষয়ে পড়তে গিয়ে সাত বছর মার্কিন মুল্লুকে কাটিয়ে আসেন তিনি। এ সমটির বেশিরভাগই তিনি ব্যয় করেছেন প্রেততত্ত্বর গবেষণায়। ইউনিভার্সিটির ডর্মের রুমমেট জেসনের পাল্লায় পড়ে প্রথম এ বিষয়ে আগ্রহ জন্মায়। জেসন ছিল প্রেস সাধকদের একটি চক্রের সদস্য। হায়দার মবিন অবশ্য জেনসের পথে হাঁটেননি। প্রেত বা অশুভ আত্মার স্বরূপ সন্ধানে গবেণা করেছেন তিনি। কিভাবে এসব অশুভ শক্তিকে পরাস্ত করা যায় সে বিষয়টিই ছিল তার আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু।
অশুভ শক্তি নিয়ে গবেষণার জন্য কোথায় কোথায় না গিয়েছেন তিনি। যুক্তরাষ্ট্রের তাবৎ শহর থেকে শুরু করে পাহাড়-পর্বত, বন-জঙ্গল কিছুই বাদ রাখেন নি। অবশ্য যে বিষয়ে পড়তে গিয়েছিলেন তাতেও একটা ডিগ্রি নিয়ে ফিরেছিলেন। ভাগ্যিস এ কাজটা করেছিলেন, নয়তো দেশে ফিরে গ্রাসাচ্ছাদনই মুশ্কিল কয়ে পড়তো। এখানেতো আর কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘ভুততত্ব’ পড়ানো হয় না। একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র পড়ান। সেটা নিছক পেট চালানোর জন্য। নেশা বলতে ওই অতীন্দ্রীয় বিষয় নিয়ে গবেষণা। অকৃতদার মবিন সাহেবের কাজে বাধা দেওয়ার মতোও কেউ নেই। তাই মহানন্দে পুরো সময়টাই তিনি প্রেত বিষয়ে চর্চা করে কাটান।
দীর্ঘ বার বছরের পারবাস্তব বিষয়ে গবেষণার অভিজ্ঞতায় এই প্রথম হোঁচট খেয়েছেন হায়দার মবিন।
গত কয়েক দিন ধরে যতোবারই ধ্যানে বসে মনোসংযোগের চেষ্টা করেছেন, ততোবারই একটি চরম অস্বস্তিকর অনুভুতি তার একাগ্রতায় বাগড়া দিয়েছে। যেন একটা তাগিদ তাকে তাড়া করে ফিরছে। ক্যালিফোর্নিয়ার সান হোসেতে এক সাধু বলেছিলেন, সাধনার একটি স্তরে পৌছালে অনেক দূর থেকেই অশুভ কোনো কিছুর অস্তিত্ব টের পাওয়া যায়।
তাহলে কী হায়দার মবিন সেই স্তরে পৌছে গেছেন?
‘স্যার, আসতে পারি?’
কপাল কুঁচকে মেয়েটির দিকে তাকিয়ে চেনার চেষ্টা করেন। ও হ্যা মনে পড়েছে; এমবিএ থার্ড সেমিস্টারের ছাত্রী। মেয়েটির হাতে একটা কার্ড। তার লাজুক হাসি দেখে মনে হচ্ছে এটি সম্ভবত তার বিয়ের কার্ড। কিন্তু আজকালতো মেয়েরা পড়া শেষ না করে বিয়েই করতে চায় না।
‘রিমি, কি ব্যপার বলো তো? তোমার বিয়ে নাকি?’
এ প্রশ্নে লজ্জাল লাল হয়ে যায় রিমি। এগিয়ে এসে কার্ডটি হায়দার মবিনের হাতে তুলে দেয়। তার আঙ্গুল মবিন সাহেবের আঙ্গুল স্পর্শ করে। বিদ্যুৎপৃষ্টের মতো চমকে উঠেন মবিন। তার গা থর থর করে কাঁপতে থাকে। হিস্টিরিয়া গ্রস্তের মতো কাঁপতে কাঁপতে মাটিতে বসে পড়েন তিনি। আকষ্মিক এ ঘটনায় হতচকিত হয়ে যায় রিমি।
‘স্যার, স্যার আপনি ঠিক আছেন?’
কোনো মতে নিজেকে সামলে নিয়ে চেয়ারে বসেন হায়দার মবিন।
লম্বা নিশ্বাস নিয়ে আরেকবার তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে রিমির দিকে তাকান তিনি। অশুভ আশঙ্কায় বুকের ভেতরটা কেঁপে উঠে। এক যুগেরও বেশি সময় ধরে অশুভ শক্তি নিয়ে গবেষণার অভিজ্ঞতালব্ধ জ্ঞানকেও যথেষ্ট মনে হয়না মবিনের। নিজেকে দারুন অসহায় মনে হয়। এ মেয়েটির উপর যে অশুভ শক্তির ছায়া পড়েছে, কিভাবে এর মোকাবেলা করবেন তিনি? এতো শক্তি কী তার আছে?
কিন্তু যুগে যুগে শুভ শক্তির কাছে অশুভ আত্মার যে পরাজয়ের ইতিহাস, হায়দার মবিন সে পরম্পরাকে নষ্ট হতে দিতে পারেন না। ঘটনাচক্রে এই গুরু দায়িত্ব এখন হায়দার মবিনের কাঁধে এসে পড়েছে। পিছিয়ে যাওয়ার কোনো পথ নেই। ইচ্ছায় হোক, আর অনিচ্ছায় হোক এই শক্তির মোকাবেলা তাকে করতেই হবে।
কাঁপা হাতে টেবিল থেকে পানির গ্লাস তুলে নিয়ে এক নিশ্বাসে শেষ করেন হায়দার মবিন। রিমির কাছ থেকে চেয়ে তার বাড়ির ঠিকানাটি লিখে নেন। আরেকটু পড়াশোনা করতে হবে, আরেকটু জানতে হবে। হোমওয়ার্ক করে পূর্ণ প্রস্তুতি নিয়ে তবেই এই শক্তিশালী প্রতিপক্ষের মুখোমুখি হবেন হায়দার মবিন।
কদিন ধরে নাওয়া-খাওয়া ভুলে বইপত্র ঘাটছেন মবিন সাহেব। আর নিয়মিত ধ্যানে বসছেন। মনের একাগ্রতা খুবই জরুরি। অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে মানষিক শক্তিই হচ্ছে প্রধান অস্ত্র। সেদিনও বিকেলে লাইব্রেরিতে ব্যস্ত ছিলেন। এমন সময় নিজের ভেতর একটা তীব্র তাগিদ টের পান। ভুতগ্রস্তের মতো ছুটে গিয়ে গাড়ির চাবিটা তুলে নিয়েই বেরিয়ে পড়েন। গাড়িটারও যেন প্রাণ আছে। স্টিয়ারিং হুইলটা নিজেই তাকে কোনো একটা লক্ষ্যে টেনে নিয়ে যাচ্চে। নিয়তির হাতে নিজেকে সপে দিয়ে কাঠ হয়ে ড্রাইভিং সিটে বসে থাকেন। ঢাকার ব্যস্ত ট্রাফিক উপেক্ষা করে আশি মাইল গতিতে ছুটতে থাকে তার সাদা টয়োটা।
সময় নেই, সময় ফুরিয়ে আসছে দ্রুত। সব কিছু শেষ হয়ে যাওয়ার আগেই পৌছাতে হবে। মাথার ভেতর কে যেন ক্রমাগত ফিস ফিস করে কথাগুলো আউড়ে যায়। রিমির দেওয়া ঠিকানাটা বাড়িতেই পড়ে থাকে। হায়দার মবিন বুঝতে পারেন, সেটির আর কোনো দরকার নেই। প্রয়োজনই তাকে অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌছে দেবে।
এবং কোব্বালা
রিমির রুমের দরজা ভেজানো।
সন্ধ্যা হয়ে এলো। ঘরের বাতি জ্বালেনি রিমি। আসলে বাতি জ্বালানোর মতো এক ফোটা শক্তি তার শরীরে অবশিষ্ট নেই। কোনো এক অদৃশ্য শক্তি রিমির ভেতরের প্রাণ শক্তির শেষ বিন্দুটুকুও শুষে নিয়েছে। তাই নিথর হয়ে বিছানায় পড়ে আছে রিমি।
বাড়িতে কেউ না থাকলেও ভেতরে ঢুকতে তন্ময়ের কোনো সমস্যাই হয়নি। এখানে সে অনাহুত নয়, বরং রীতিমতো ভিআইপি। কদিন পরই ঢাক-ঢোল পিটিয়ে রিমিকে উঠিয়ে নিয়ে যাবে। তাই তন্ময়ের ভেতরে ঢোকার ব্যপারা কাজের লোকেরা কোনো আপত্তিই করেনি।
ধীরে ধীরে রিমির বিছানার দিকে এগিয়ে যায় তন্ময়। ভাবলেশহীন চোখে শুধু চেয়ে চেয়ে দেখে রিমি। হাতের একটা আঙ্গুল নাড়ানোর মতো শক্তিও তার নেই। তার নিয়তির মতো এগিয়ে আসতে থাকে তন্ময়...না না তন্ময়ে ভর করে অন্য কিছু, যার চোখে হিংস্র পশুর নিষ্ঠুরতা। মুখের দু পাশের চোয়ালের হাড় ঠেলে উচু হয়ে আছে। এই তন্ময়কেতো রিমি চেনে না। এ কে! গলা দিয়ে একটু শব্দও বের করতে পারেনা রিমি। দুটো আদৃশ্য হাত যেন তার কণ্ঠনালী চেপে ধরেছে। একটা যান্তব বোটকা গন্ধে পুরো কামড়ার বাতাস ভারি হয়ে আসে।
অদ্ভুত ঘড়ঘড়ে কন্ঠে কথা বলতে শুরু করে তন্ময়, না তন্ময় নয়, তার ভেতরের অশুভ স্বত্ত্বাটি,
‘রিমি, তুমি হবে এ পৃথিবীর প্রথম সৌভাগ্যবান নারী। কোব্বালার বংশধর আসবে তোমার ঔরষে। তুমি হবে এ পৃথিবীর সবচেয়ে ক্ষমতাধর শক্তির জন্মদাত্রী। সারা পৃথিবীর শয়তানের উপাসকরা তোমাকে পূজা করবে।’
তন্ময়ের প্রতিটি নিশ্বাসের সঙ্গে ভেসে আসে গা গুলানো দুর্গন্ধ। দু ঠোট ঠেলে বেরিয়ে থাকা জিব বেয়ে নেমে আসছে চটচটে অস্বস্তিকরা আঠালো পদার্থ। দু হ তের নখের ভেতর জমাট বেধে আছে কালচে ময়লা।
রিমির চোখের সামনে একটি ভারি কালো পর্দা নেমে আসে।
তন্ময় যখন ধীরে ধীরে রিমির উপর ঝুঁকে আসছে, তখনই বিদ্যুত গতিতে সেখানে প্রবেশ করেন হায়দার মবিন। প্রচন্ড আক্রোশ নিয়ে ঘুরে দাঁড়ায় তন্ময়। শ্বাপদের হলদে দৃষ্টি নিয়ে মবিনের চোখে চোখ রাখে। রাগ আর ঘৃণায় মুখের চামড়া কুঁচকে আসে। জিবটাকে এক বিঘা পরিমাণ বের করে মুখের চারপাশটা চেটে নেয়। দৃশ্যটি দেখে ঘৃণায় সারা শরীর রি রি করে উঠে হায়দার মবিনের। চাপা হুঙ্কার ছেড়ে এক পা এক পা করে মবিনের দিকে এগুতে থাকে তন্ময়। তার চোখে চোখ রেখে নিজেরে জায়গায় ঠায় দাঁড়িয়ে থাকেন হায়দার মবিন। ঠিক এক হাত সামনে এসে মুখোমুখি দাঁড়িয়ে থাকে দুজন। সেকেন্ড, মিনিট পেরিয়ে যায়। তন্ময়ের শরীরের আশ্রয় ছেড়ে কোব্বালার অস্তিত্ব গ্রাস করে নিতে চায় হায়দার মবিনকে। মুহুর্তের ভগ্নাংশের অন্যমনষ্কতা, কিংবা চুল পরিমাণ সুযোগ খুঁজতে থাকে অন্য ভূবণ থেকে আসা এই অনাহুত শক্তি। তীব্র মানষিক শক্তি আর দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা থেকে হায়দার মাবিন বুঝতে পারেন, কোব্বালাকে কোনো সুযোগ দেওয়া যাবে না। মনে মনে সৃষ্টিকর্তার নাম স্মরণ করতে থাকেন তিনি। আর সতর্ক সাবধানতায় সমস্ত অস্তিত্ব দিয়ে অনুভব করার চেষ্টা করেন কোব্বালার রণকৌশল। স্নায়ুর লড়াই চলে শুভ আর অশুভের। হায়দার মবিনের সারা শরীর দিয়ে ফোয়ারার মতো ঘাম ঝড়তে থাকে। টকটকে লাল মুখমন্ডল দেখে মনে হয় শরীরের সব রক্ত এসে মুখে জমা হয়েছে। তন্ময়ের চোখে উঁকি দেওয়া কোব্বালার সঙ্গে মরণপণ লড়াই চালিয়ে যান। শরীরের প্রতিটি কোষ বিদ্রোহ শুরু করে। খুলি ফেটে যেন মস্তিষ্ক বেড়িয়ে আসবে।
এভাবে কতোক্ষণ কেটেছে জানা নেই। সহ্যের শেষ সীমায় পৌছে পরাজয়ের কাছে আত্মসমর্পণের মুহুর্তে হায়দার মবিন অনুভব করেন, কোব্বালা পিছু হটছে। আসন্ন বিজয়ের আশায় একটু হয়তো অসতর্ক হয়েছিলেন, মুহুর্তের জন্য হয়তো একবার চোখের পলক পড়েছিলো, এ সুযোগে হায়দার মবিনের উপর ঝাপিয়ে পড়ে তন্ময়। হিংস্র শ্বাপদের মতো তীক্ষ্ণ দাঁত দিয়ে টুটি কামড়ে ধরতে চায়। হায়দার মবিনের গলায় ঝুলানো প্রাচীন রেড ইন্ডিয়ান সাধকের আঙ্গুলের হাড় দিয়ে তৈরি মালাটির সংস্পর্শে আসামাত্রই বিকট জোরে জান্তব চিৎকার দিয়ে থরথর করে কাঁপতে থাকে তন্ময়। অমানুষিক এই চিৎকারে হায়দার মবিন দুচোখে অন্ধকার দেখেন। কিন্তু মুহুর্তের জন্যও কর্তব্যবোধ থেকে বিচ্যুত হননা। অশুভশক্তির দুর্বলতার সুযোগে নিজের গলা থেকে হাড়ের মালাটা বের করে পরিয়ে দেন তন্ময়ের গলায়। হিস্টিরিয়াগ্রস্তের মতো কাঁপতে কাঁপতে একসময় স্থির হয়ে যায় তন্ময়। তার চোখ থেকে ধীরে ধীরে মিলিয়ে যেতে থাকে অমানুষিক অশুভ ছায়া। একটু একটু করে মনুষত্ব উঁকি দেয়। এক সময় দুচোখ বুজে নিস্তেজ হয়ে ঢলে পড়ে।
তন্ময়ের গলায় ঝোলানো মালাটির দিকে বিষ্ময় নিয়ে তাকিয়ে থাকেন হায়দার মবিন। নিউইয়র্কে এক ম্যাক্সিকান বুড়ির গ্যারেজ সেল থেকে এটি কিনেছিলেন। ভাঙ্গা ভাঙ্গা ইংরেজিতে বুড়ি এ মালাটির বিশেষ আধ্যাতিক গুনাগুনের বর্ননা করেছিলো। বুড়ির কথাগুলো তখন এতোটুকু বিশ্বাস করেননি মবিন। মালাটির রহস্যময় সৌন্দর্য টেনেছিলো। হাতে নিতেই এক ধরণের বিচিত্র অনুভুতি হয়েছিলো। সেজন্যই এটা কিনে নেন। আর তখন থেকেই এটা মবিনের গলায় শোভা পাচ্ছে। কিন্তু আজকে এই চরম বিপদেও মুহুর্তে ম্যাক্সিকান বুড়ির সেই কথাগুলো এভাবে জ্বলজ্বলে সত্যি হয়ে সামনে এসে দাঁড়াবে তা স্বপ্নেও ভাবেননি তিনি।
বিছানায় ধীরে ধীরে উঠে বসে রিমি। মেঝেতে পড়ে থাকা তন্ময়কে দেখে একটু আগের স্মৃতি মনে পড়ে যায়। চিৎকার দিয়ে হায়দার মবিনকে জড়িয়ে ধরে কাঁপতে থাকে। তার মাথায় পরম স্নেহে হাত বুলিয়ে দিয়ে মবিন বলেন,
‘চিন্তার কিছু নেই রিমি, সব ঠিক হয়ে যাবে। তন্ময় আবার আগের মতো হয়ে উঠবে। শুধু লক্ষ্য রাখবে আগামী সাত দিন যেন সে ঘর থেকে না বের হয়। এ সময় যেন সে এক মুহুর্তেও জন্যও একা না থাকে। আমি প্রতিদিনই সকাল-বিকেল এসে তন্ময়কে কাউন্সেলিং করে যাবো।
মেঝেতে পড়ে থাকা তন্ময়ের রুক্ষ চুলগুলোতে এবার পরম মমতায় হাত বুলিয়ে দেয় রিমি। মনে মনে হাসেন গোলাম হায়দার। তন্ময় অবশ্যই ভালো হয়ে উঠবে। ভালোবাসার চেয়ে বড় শক্তি আর কী আছে। (শেষ)
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে জুলাই, ২০০৯ দুপুর ১২:১২