অ্যারন সোয়ার্ট, ইন্টারনেট বিশ্বে পরিচিত মুখ। অল্প বয়সে জনপ্রিয় হয়ে ওঠা ২৬ বছর বয়সী এই যুবক আত্মহত্যা করেছেন।
অ্যারন ইন্টারনেট স্বাধীনতার পক্ষে সক্রিয় কর্মী ছিলেন এবং সম্প্রতি সামাজিক নেটওয়ার্কের সাইট ‘রেডিট’ উন্নয়নের কাজ করেছেন।
কম্পিউটার প্রোগ্রামার অ্যারন নিউ ইয়র্কের একটি অ্যাপার্টমেন্টে বসবাস করতেন। এক নিকত্মাতীয় ও মেডিকেল পরীক্ষক জানিয়েছেন শুক্রবার সেখান থেকেই অ্যারনের লাশ উদ্ধার করা হয়।
বাচ্ছা বয়সে অ্যারন সোয়ার্ট কম্পিউটার প্রোগ্রামিং দিয়ে আলোড়ন সৃষ্টি করেন এবং ‘আরএসএস’র সাম্প্রতিক ভার্সনের ১৪ জন কো-অথরের মধ্যে তিনি অন্যতম একজন।
মৃত্যুর আগে অ্যারন ইন্টারনেট স্বাধীনতা নিয়ে আইনজীবীর শরণাপন্ন হয়েছিলেন। কারণ হ্যাকিংয়ের দায়ে তার বিরুদ্ধে আদালতে একটি অভিযোগও গঠন করা হয়েছিল।
‘জেএসটিওআর’- এর আর্কাইভ থেকে হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে তিনি লক্ষাধিক একাডেমিক পেপার ডাউনলোড করেছিলেন এবং তা অন্যদের মাঝে বিলি করেছিলেন বলে অ্যারনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে প্রতিষ্ঠানটি।
অবশ্য তিনি এই অভিযোগ বরাবরই অস্বীকার করেছেন। তবে ফেডারেল কোর্ট তাকে ‘কম্পিউটার প্রতারক’ হিসেবে চিহ্নিত করে এবং আগামী মাসে এই বিষয়ে রায় দেয়ার কথা ছিল।
ইন্টারনেট সেন্সশিপের বিরুদ্ধে গড়ে তোলা আন্দোলনের অন্যতম উদ্যোক্তা বলা হয় অ্যারন সোয়ার্টকে। এছাড়া তিনি এজন্য বেশ কিছু লবিস্টও নিয়োগ করেছিলেন।
সোয়ার্টের আইনজীবী ইলিয়ট আর পিটার ‘এমআইটি বিশ্ববিদ্যালয় পত্রিকার’ প্রযুক্তি বিভাগকে এক ই-মেল বার্তায় তার মক্কেলের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন।
এতে তিনি লিখেছেন, ‘খবরটি হৃদয় ভেঙে যাওয়ার এবং ট্র্যাজিক হলেও আপনাকে তা গ্রহণ করতেই হবে। কারণ এটি সত্য।’
এছাড়া নিউ ইয়র্ক মেডিকেল পরীক্ষকের এক মুখপাত্র বার্তাসংস্থা এপি-কে অ্যারন সোয়ার্ট ফাঁসিতে ঝুলিয়ে নিজেকে হত্যা করেছেন বলে নিশ্চিত করেছেন।