যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলসে অনুমোদনপ্রাপ্ত কনডম আইনের বিরুদ্ধে এবার উঠেপড়ে লেগেছে দেশটির বিখ্যাত পর্নোছবি নির্মাতা দুই প্রতিষ্ঠান।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে প্রভাবশালী পর্নো কোম্পানি ‘ভিভিড এন্টারটেইনমেন্ট’ ও ‘ক্যালিফা প্রোডাকশন্স’ বলছে, এই বাধ্যবাধকতা বাক স্বাধীনতা খর্ব করছে এবং এটা যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের পরিপন্থী।
উল্লেখ্য, গত বছরের নভেম্বরে নির্বাচনের পর ক্যালিফোর্নিয়ার লস অ্যাঞ্জেলসে ‘মেজার বি’ নামে পরিচিত একটি আইন প্রণীত হয়। চলতি জানুয়ারি মাসে এ সংক্রান্ত খসড়ায় সই করার মধ্যদিয়ে তা আইনে পরিণত করেন লস অ্যাঞ্জেলসের মেয়র অ্যান্টোনিও ভিলারাইগোসা।
এই আইনের অন্যতম সমর্থক এইডস হেলথকেয়ার ফাউন্ডেশন (এএইচএফ) জানায়, এতে তারকারা এইচআইভির সংক্রমণ থেকে সুরক্ষা পাবেন।
অন্যদিকে, আইনটির চরম বিরোধিতা করে ভিভিড এটারটেইনমেন্টের কর্নধার স্টিভেন হির্চ বলেন, ‘এই আইনের পরিবর্তন করতে হবে। আমি মনে করি, আমাদের প্রতিষ্ঠানের বর্তমান পরীক্ষা ব্যবস্থা অনেক ভালো কাজ করছে।’
কোম্পানিগুলোর সাথে পর্নো তারকা কেডেন ক্রস ও লোগান পিয়ার্সসহও সুর মিলিয়েছেন।
তারা বলছেন, পর্নো তারকাদের নিয়মিত এইচআইভি পরীক্ষা করা হয় এবং কনডম ব্যবহারের এ বাধ্যবাধকতা ব্যবসার ক্ষতি করবে। এ পদক্ষেপের ফলে এসব চলচ্চিত্র তৈরির প্রতিষ্ঠানগুলো গোপনে কার্যক্রম চালাতে পারে বলেও তারা মনে করেন।
ব্রিটিশ পর্নো অভিনেতা কেইরান লি বলেন, ‘আমরা দেখেছি, দর্শক সর্বদা বাস্তবতা পছন্দ করে। অনেক দর্শকই কনডম পর্নো দেখতে পছন্দ করেন না।’
এ আইন বাতিল করা না হলে ক্যালিফোর্নিয়া ছাড়ারও হুমকি দিয়েছে পর্নো ছবি তৈরির কোম্পানিগুলো। তবে সেক্ষেত্রে আইনি বাধার মুখে পড়বেন তারা।