বেশ কয়েক দিন ধরেই ভাবছিলাম মুক্তা গাছা রাজবাড়ী নিয়ে একটা ব্লগ লিখব কিন্তু লিখা হচ্ছিল না । গত কাল বোকা মানুষ বলতে চায় এর বিরুলিয়া'র প্রাচীন স্থাপনাসমূহ - হতে পারতো আরেক 'পানাম নগরী'!!! দেখে ভাবলাম ব্লগটা লিখে ফেলা উচিত । মানুষের জানা দরকার বাংলার প্রাচীন নির্দশন সম্পর্ক এ ।
ময়মনসিংহ বাংলাদেশের অন্যতম শহর বিশেষ করে প্রাচীন নির্দশন আর বিখ্যাত মন্ডার জন্য । ময়মনসিংহ শহরের নামকরন টা খুবি মজার । বাংলা উইকি থেকে নিচের লেখাটা কপি করলাম "ময়মনসিংহ জেলার নামকরণ নিয়ে ইতিহাসবিদদের মাঝে ভিন্ন মত প্রচলিত আছে। আর ষোড়শ শতাব্দীতে বাংলার স্বাধীন সুলতান সৈয়দ আলাউদ্দিন হোসেন শাহ তাঁর পুত্র সৈয়দ নাসির উদ্দিন নসরত শাহ’র জন্য এ অঞ্চলে একটি নতুন রাজ্য গঠন করেছিলেন, সেই থেকেই নসরতশাহী বা নাসিরাবাদ নামের সৃষ্টি। সলিম যুগের উৎস হিসেবে নাসিরাবাদ নামটিও আজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছাড়া আর কোথাও উল্লেখ করা হচ্ছে না। ১৭৭৯-তে প্রকাশিত রেনেল এর ম্যাপে মোমেসিং নামটি বর্তমান 'ময়মনসিংহ' অঞ্চলকেই নির্দেশ করে। তার আগে আইন-ই-আকবরীতে ‘মিহমানশাহী’ এবং ‘মনমনিসিংহ’ সরকার বাজুহার পরগনা হিসাবে লিখিত আছে; যা বর্তমান ময়মনসিংহকেই ধরা যায়। এসব বিবেচনায় বলা যায় সম্রাট আকবরের রাজত্ব কালের পূর্ব থেকেই ময়মনসিংহ নামটি প্রচলিত ছিলো। ব্রিটিশ আমলে জেলা পত্তন কালে ময়মনসিংহ অঞ্চলের সমৃদ্ধ জমিদারগণ সরকারের কাছে জেলার নাম 'ময়মনসিংহ' রাখার আবেদন করলে সরকার তা গ্রহণ করে নেন"
ময়মনসিংহ শহরের বেশ কিছু দর্শনীয় স্থান আছে (বাংলা উইকি থেকে) :
১। শশী লজ
২। গৌরীপুর লজ
৩। আলেকজান্দ্রা ক্যাসল
৪। শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন সংগ্রহশালা
৫।স্বাধীনতা স্তম্ভ
৬। ব্রহ্মপুত্র নদের তীরবর্তী পার্ক
৭।ময়মনসিংহ জাদুঘর
৮।বোটানিক্যাল গার্ডেন, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়
৯।নজরুল স্মৃতি কেন্দ্র
১০। মহারাজ সূর্যকান্তের বাড়ী
১১। বীরাঙ্গনা সখিনার মাজার
১২। রামগোপাল জমিদার বাড়ী
১৩। ফুলবাড়ীয়া অর্কিড বাগান
১৪।ফুলবাড়ীয়া আলাদীনস ইকোপার্ক
১৫। চীনা মাটির টিলা
১৬।আব্দুল জব্বার স্মৃতি জাদুঘর
১৭।বিপিন পার্ক বিপিনচন্দ্র পাল
১৮। সাহেব পার্ক
১৯।মুক্তাগাছা রাজবাড়ি
মুক্তাগাছা রাজবাড়ির ইতিহাস (বাংলা উইকি থেকে) :
জমিদার আচার্য চৌধুরী বংশ মুক্তাগাছা শহরের গোড়াপত্তন করেন । আচার্য চৌধুরী বংশ শহরের গোড়াপত্তন করে এখানেই বসতি স্থাপন করেন। আচার্য চৌধুরী বংশের প্রথম পুরম্নষ শ্রীকৃষ্ণ আচার্য চৌধুরী ছিলেন বগুড়ার বাসিন্দা। তিনি মুর্শিদাবাদের দরবারে রাজস্ব বিভাগে কর্মরত ছিলেন। তিনি ছিলেন নবাবের খুবই আস্থাভাজন। নবাবের দরবারে রাজস্ব বিভাগে কর্মরত থাকা অবস্থায় ১১৩২ সালে তিনি সেই সময়ের আলাপসিং পরগণার বন্দোবসত্ম নিয়েছিলেন। উলেস্নখ করা যেতে পারে যে, বর্তমানে মুক্তাগাছা শহরসহ মুক্তাগাছা উপজেলার বেশিরভাগই ছিল আলাপসিং পরগণার অমত্মর্ভূক্ত। ১৭৫৭ সালে পলাশীর যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর নানা কারণে শ্রীকৃষ্ণ আচার্য চৌধুরীর ৪ ছেলে বগুড়া থেকে আলাপসিং এস বসবাসের জন্য সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। শ্রীকৃষ্ণ আচার্য চৌধুরীর এই ৪ ছেলে হচ্ছে রামরাম, হররাম, বিষ্ণুরাম ও শিবরাম। বসতি স্থাপনের আগে তারা এ পরগণার বিভিন্ন স্থান ঘুরে ফিরে দেখেন এবং বর্তমান মুক্তাগাছা এলাকায় বসতি স্থাপনের জন্য মনস্থির করেন। সে সময়ে আলাপসিং পরগণায় খুব একটা জনবসতি ছিলনা। চারদিকে ছিলো অরণ্য আর জলাভূমি। শ্রীকৃষ্ণ আচার্য্যের ৪ছেলে ব্রহ্মপূত্র নদের শাখা নদী আয়মানের তীরবর্তী স্থানে নৌকা ভিড়িয়ে ছিলেন ।
নিচের ছবিটা মুক্তাগাছা বাজারে মন্ডা খাওয়ার সময় দোকান থেকে তোলা ।অনেক আগের একটা জিনিস এখনো আছে
গত বছরের মাঝামাঝি সময় আমরা ৬ বন্ধু ময়মনসিংহ ঘুরতে যাই । আমাদের মুল লক্ষ্য ছিল শশী লজ আর মুক্তাগাছা রাজবাড়ি । ময়মনসিংহ শহর থেকে মুক্তাগাছায় যেতে আপনার সময় লাগবে ৩০ মিনিট(সিএনজি তে) । মুক্তা গাছা বাজার থেকে রাজ বাড়িতে যেতে সময় লাগবে ২০ মিনিট (অটো তে) ।
আমার যখন গিয়ে পৌছালাম তখন আরো বেশ কয়েকজন দর্শনার্থী ছিল । ৫০ প্লাস বছর বয়স হবে এ রকম এক ব্যক্তি আমাদের কে বাড়িটি ঘুরিয়ে দেখায় । উনি আমদের কে বাড়িটির ইতিহাস বলে তবে উনার বলা ইতিহাস এই মূহুর্তে মনে নাই ।
প্রথম ছবি ব্লগ । ভুল গুলো ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন ।