মায়ানমার থেকে আগত নর-নারীদের কল্যাণে আমাদের কাছে “রিফিউজি” শব্দটি এখন অতি পরিচিত । যাদের যাদের সৌভাগ্য হয়েছে তারা তারা দেখেছেন, নিশ্চই ওই লোকগুলোর চোখে মুখে অনিশ্চয়তার ছায়া। কিন্তু আমার প্রিয় দেশের প্রিয় মাটির মানুষগুলোর খবর যখন শুনি...... বাংলাদেশী রিফিউজি পাওয়া গেছে, .... আজকের বোটে বাংলাদশী দুই যুবক আছে, .................. তুরস্কের বিভিন্ন শহর থেকে অপরিচিত নম্বরে ফোন রিসিভ করে যখন শুনি, .........ভাই আমার আত্নীয়, বন্ধু- বাংলাদেশে যাবার ফেরত যাবার জন্য আউটপাশ নিতে এমবেসীতে ঘুরছে......... - বিশ্বাস করেন, চোখের পানি আটকে রাখা কষ্ট হয়ে যায়।
যারা বাংলাদেশের মাটিতে বসে এই লেখা পড়ছেন, জানিনা তারা কতটুকু উপলব্ধি করতে পারবেন। কিন্তু তুরস্কের রাজধানীতে বসে যখন শুনি ইস্তাম্বুলের সীমান্তে আটকা পড়া লোকদের মাঝে বাংলাদেশী আছে, ইরান সীমান্ত দিয়ে তুরস্কে প্রবেশ করে আটকে গেছে - বিশ্বাস করেন ছটফট করি বসে বসে। যে যে শহরে বাংলাদেশী ষ্টুডেন্ট আছে, তারা প্রত্যেকে নিজ দায়িত্বে প্রিয় মাটির থেকে আসা মানুষগুলো খোজ নিতে চেষ্টা করে।
"Fortress Europe: Inside the War Against Immigration" বইটি যখন শুরু করি তখন খুব আগ্রহ ছিলো না। পরে ধীরে ধীরে যখন লেখক নিজের ভাষায় বলতে শুরু করে..............পোল্যান্ডের বর্ডার সিকিউরিটি গার্ড এর কাছে থাকা তথ্যমতে বেনামী দুটো ডেডবডি ২ ফিট বরফের নিচ থেকে বের করেছে, তাদের পকেটে থাকা কাগজ (পাসপোর্ট নয়) যাচাই করার পর জানা যায়, তারা বাংলাদেশী.............লাইব্রেরী থেকে বের হয়ে কতক্ষুন ডুকরে কেদেছি। এর পর গ্রীসের কথা আরো ভয়াবহ। বাংলাদেশী মহিলাদের যখন মরুভূমিতে নির্যাতনের কথা পড়বেন, নিশ্চিত মনে হবে আমাদের দেশের লোকেরা কেন এখনো সচেতন না।
যাই হোক, বইটিতে লেখক মাত্র তিনটি জায়গায় বাংলাদেশীদের কথা বলেছেন। এছাড়া একদল লোক কিভাবে নিজ দেশ থেকে অবৈধভাবে পরবাসীহয়, কোন কোন মাধ্যম ব্যবহার করে, সীমান্তে ও মরুভূমিতে তাদের অবস্থা, নতুন দেশে প্রবেশের পর তারা কোথায় থাকে, কিভাবে ইউরোপে প্রবেশের চেষ্টা করে তা বিস্তারিত বলা আছে।
লেখক পরোক্ষভাবে একরোখা নীতিতে বইটি লিখেছেন, রিভিউতে তা তুলে ধরা হয়েছে। আশা করি রিভিউটি সবার ইউরোপে রিফিউজিদের ব্যাপারে প্রাথমিক তথ্য যোগাতে সাহায্য করবে।
রিভিউটি পুরো পড়তে
view this link
রিভিউটি পাবলিশ হয়েছে
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১১:৪৯