নিজস্ব প্রতিবেদক: বিষ্ময় বালক রূপকথাকে নিয়ে বেসিস ফ্রিলেন্সার এ্যাওয়ার্ড জয়ী ফ্রিলেন্সার ও প্রযুক্তিবিদ সাঈদ ইসলাম ইতিপূর্বে একটি ব্লগে রূপকথার সাথে সাক্ষাৎ করে এসে, রূপকথা সম্পর্কে তার মনোভাব হিসেবে বলেছিল:
- লিখতে পারে না - পড়তে পারে না - কোন অংক পারে না - কলম ধরা শেখেনি - কোন ধরনের খেলাধুলা পারে না - ঘুম ছাড়া দিনের বাকি সময়টি সে কম্পিউটার নিয়ে পড়ে থাকে - C ল্যাংগুয়েজ দিয়ে "ক খ গ" ধরণের "Hello World" প্রোগ্রামটি কম্পাইল করতে পারেনি (অন্যান্যগুলো যাচাই করতে ইচ্ছে হয়নি আমার) - এর ধারনা আইনস্টাইনের থিওরি ভুল (ওর মা এর কাছ থেকে শোনা) - টেক্সট ফাইল এর টেক্সট দেখে কিবোর্ডে না তাকিয়ে হুবুহু টাইপ করতে পারলেও কোন অক্ষর সে পড়তে পারে না। - তার ভাষা খুবই অস্পষ্ট, আমি তার কোন কথাই ঠিক মত বুঝতে পারেনি - সে নগ্ন থাকতে পছন্দ করে। দ্বিতীয়বার তার রুমে ঢুকে তাকে পুরো নগ্ন দেখতে পাই - তার আচরণ অস্বাভাবিক।
পরবর্তীতে রূপকথার বাবা লেখাটির প্রতিবাদ করাও তাকে ফোন করে প্রতিবাদ জানান নিয়ে তিনি রূপকথার উপর একটি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন। তার আজকের ষ্ট্যাটাস সম্পর্কে বিডিহটনিউজের পক্ষ থেকে তার সাথে যোগাযোগ করলে জানান, আমি অবশ্যই রূপকথার কোন খারাপ চাই না। কিন্তু, বিষয়টি পরিষ্কার হওয়া জরুরী। আমি সৎ উদ্দেশ্যেই আমার আজকের ষ্ট্যাটাসটি দিয়েছি।
বিডিহটনিউজের পাঠকদের জন্য সাঈদ ইসলামের ষ্ট্যাটাসটি দেওয়া হলো:
আলাপের এক পর্যায় আমাকে বলা হল, আপনি দেশ ও জাতির শত্রু, সরকার বিরোধী কাজ করেছেন, আপনি একজন খুবই খারাপ লোক। এছাড়াও তিনি প্রশ্ন করে জানতে চেয়েছেন আমি কোথাকার কোন এজেন্ট হয়ে কাজ করছি কি না।
রূপকথা দেশের আইকন, পাবলিক ফিগার, স্কুলের পাঠ্যপুস্তকে তার বিষয়ে লেখা আছে। বাংলাদেশের প্রায় সবকয়টি পত্রিকা, টিভি মিডিয়ার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক পত্র পত্রিকায়ও তার খবর এসেছে বিগত কয়েক বছরে। কিছুদিন আগেও সমকালে প্রকাশিত তার থ্রি ডি ও ১০০ পর্বের গেইম তৈরি করার বিস্ময়কর খবর পড়েছি। তাকে নিয়ে লেখা অস্বাভাবিক কিছু নয়। আমি সরকারের বিরুদ্ধেও লিখে থাকি।
গত ২ অগাস্ট এ প্রিয় টেক ব্লগ এ রূপকথার অন্য কথা শিরোনামে প্রকাশিত আমার লেখাকে ভিত্তি করে রূপকথার বাবা, জনাব ওয়াসিম ফারহান, আমাকে সরাসরি ফোন করেন। প্রথমবারে তার সাথে কথা না হলেও পরেরবারের কথায় তিনি বলেন আমি যা লিখেছি তার সবই মিথ্যে, বানোয়াট এবং উদ্দেশ্য প্রণোদিত। তিনি দাবি করেন তার বাসায় আমার কখনও যাওয়া হয়নি, যদি যাওয়া হত তাহলে তার সাথে আমার নিশ্চয়ই দেখা হত। আমি তাকে বলি যেদিন আমি তার বাসায় গিয়েছিলাম সেদিন তিনি তার বাড়িতে উপস্থিত ছিলেন না। তিনি আমাকে লেখাটি সরিয়ে ফেলে পুরো দেশ ও জাতির কাছে আমার ক্ষমা চাইতে বলেন, নতুবা তিনি আমার বিরুদ্ধে আইগত ব্যাবস্থা গ্রহণ করবেন। আপনি কি আমাকে হুমকি বা ভয় দেখাচ্ছেন প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, আপনি যদি এটাকে হুমকি বা ভয় দেখানো মনে করেন তাহলে তাই। তার আগে তিনি রিপ্লিজ বিলিভ ইট ওর নট এর প্রসঙ্গ টেনে বলেন, রূপকথার যদি বিস্ময় বালক না হয়ে থাকে তাহলে ওরা তাকে কেন ওয়ান্ডার বয় উপাধিতে কমিক করল। রিপ্লিজ বিলিভ ইট ওর নট এ রূপকথার বিষয়ে বর্তমানে এমন কিছু নেই, গুগল সার্চ করেও কিছু পাওয়া যায়নি বলা হলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমরা ওদের সাথে যোগাযোগ করেছি, এবং ওরা জানিয়েছে তাদের সার্ভার আপডেট করার পর থেকে ওটা আর পাওয়া যাচ্ছে না। আমি তাকে বোঝানর চেষ্টা করি এবং বলি, রিপ্লিজ এর মত এমন একটি সংস্থার সাইটে এ ধরনের ভুল হবার কথা নয়, এমনও হতে পারে তারা কোন এক কারণে একটি সময়ে রূপকথা বিষয়ক কমিকটি সরিয়ে ফেলেছে।
আলাপের পুরোটা সময় জুড়ে তিনি উত্তেজিত ছিলেন, আমি তাকে শান্ত করার চেষ্টা করেছি।এ ধরনের লেখার ফলশ্রুতিতে একজন বাবার এমন প্রতিক্রিয়া করবে এটাই স্বাভাবিক। আমার কাছে অস্বাভাবিক কিছু মনে হয়নি। আমি তার স্থানে হলে হয়ত তাই করতাম। তিনি উত্তেজিত হয়ে কথা বললেও তার ভাষা ছিল সুন্দর ও অভিযোগও স্পষ্ট। আমাকে তিনি আপনি একটা খারাপ খারাপ লোক বললেও তার এই কথাটি শুনতে আমার একটুও খারাপ লাগেনি।
ব্লগের লেখাটিতে রূপকথাকে নিয়ে আমার বাস্তব অভিজ্ঞতা ও পর্যবেক্ষণ সংক্ষেপে লিখছি, কোন ধরনের ব্যাক্তিগত মতামত দেইনি। রূপকথা একজন পাবলিক ফিগার, দেশের আইকন। বাক স্বাধীনতা থেকে পাবলিক ফিগার প্রসঙ্গে আমি আমার পর্যবেক্ষণ লিখতেই পারি। এটা আমার নাগরিক অধিকারের মাঝে পরে। ব্লগে আমরা কত কি না লিখই। তারপরও আমার লেখায় ভুল থাকতে পারে। রূপকথার বাবা,ওয়াসিম ফারহান, আমাকে চ্যালেঞ্জ করেছেন, বলেছেন তার বাসায় গিয়ে তার কর্ম ক্ষমতা যাচাই করতে এবং জাতির কাছে ক্ষমা চাইতে।
আমি জাতির উদ্দেশ্যে বলছি, আমার লেখার তথ্যগুলকে ভুল প্রমাণ করা হউক। নিউজ রিপোর্টারদের নিউজ এর মাধ্যমে নয়, রূপকথাকে একটি পাবলিক প্লেইসে আনা হউক, যেখানে উপস্থিত থাকবে সব ধরনের মিডিয়া, থাকবে কয়েকজন প্রকৃত গেইম ডেভেলপারের ও প্রথম সারির বিশেষ দুই চারজন সিনিয়র প্রোগ্রামার। সেখানে জনসম্মুখে রূপকথার প্রাগ্রামিং ক্ষমতা বা দক্ষতা যাচাই করা হবে, হবে তার সাথে আলাপ। প্রশ্ন করা হবে তাকে তার কাজ কর্ম খেলাধুলা বিষয় নিয়ে। তাকে কাগজে কলমে লিখতে ও পড়তে দেয়া হবে। রূপকথা যদি এই যাচাই এ সফল হয় তাহলে নিঃসন্দেহে সে বিস্ময় বালক এবং আমাদের গর্ব। আমি তার বাবার দাবি অনুযায়ী তখনই জাতির কাছে হাত জোর করে ক্ষমা চাইবো, হব অনুতপ্ত।
সূত্র: view this link