রামুর ঘটনার সাথে মিল রেখে অনেক কষ্ট করে সময় নিয়ে মুসলিম শাসিত সমাজে অমুসলিমদের অধিকার শিরনামে গতকাল সকালে একটি সিরিয়াস পোষ্ট দিয়েছিলাম। কিন্তু মডারেটরদের পছন্দ হয়নি তাই দ্রুত পোষ্টটি হারিয়ে যায়। তাই সিরিয়াস পোষ্ট বাদ দিয়ে আজ আবার দিলাম সেই সিরিয়াল পোষ্ট। TOP TEN IN WORLD POST.
আজকের পর্বে আপনাদের জানাবো বিশ্বের সর্ববৃহত ১০টি শোক যাত্রা সমন্ধে।
১০) মহাত্না গান্ধি: (ভারত)
- তাকে অনেকে গ্রেট সোল হিসেবে চিনে থাকে। তাকে ইন্ডিয়ার জনক বলা হয়। ১৯৪৮ সালে তিনি মৃত্যুবরন করেন। তাকে বিদায় দিতে প্রায় ২০ লাখ ভক্ত জড়ো হয়।
০৯) ভিক্টর হুগো: (ফ্রান্স)
- তিনি কোন সেলেব্রেটি ছিলেন না। তিনি কেবল মানুষকে সুন্দর সুন্দর কথা বলতেন ও লিখতেন। তার শেষ যাত্রায় সংগি হয়েছিল প্রায় ২৫ লক্ষ মানুষ।
০৮) জামাল আব্দুন্নাসের: (মিসর)
- অক্টোবর ১৯৭০ সালে মিসরের ততকালিন জনপ্রিয় প্রেসিডেন্ট জামাল আব্দুননাসের মৃত্যু বরন করেন। তিনি ১৯৫২ সালের ঐতিহাসিক মিশরীয় বিপ্লবের নেতা ছিলেন। তিনিই আধুনিক মিসরের রুপ রেখা তৈরি করেছিলেন। তার মৃত্যুতে তাকে বিদায় জানাতে প্রায় চার মিলিয়ন মানুষ কায়রোতে জড়ো হয়।
০৭) উম্মে কুলসুম। (মিসর)
- উম্মে কুলসুমকে আরবের কুকিল বলা হয়। তিনি একসাথে লেখক, গায়ক, এবং সুরকার ছিলেন। তিনি অভিনয়ও করতেন। তার গাওয়া গান আজও আরবের প্রতিটি ঘরে পাওয়া যাবে। ১৯৭৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে তিনি ইহকাল ত্যাগ করেন। তাকে বিদায় জানাতে আরবের বিভিন্ন দেশ থেকে ভক্ত এসে কায়রোতে জমা হয়। তার শেষ বিদায় অনুষ্ঠানে প্রায় সারে চার মিলিয়ন মানুষ সমবেত হয়েছিল।
০৬) কিম জং ই-২। (উত্তর কোরিয়া)
- তিনি উত্তর কোরিয়ার জনপ্রিয় এক বিপ্লবি নেতা ছিলেন। ২০১১ সালের ডিসেম্বর মাসে তিনি হার্ট এ্যটাকে মৃত্যবরন করেন। তাকে বিদায় জানাতে প্রায় পাঁচ মিলিয়ন মানুষ একত্রিত হয়েছিল।
০৫) পোপ জন পল-২। (ইটালি)
- ২০০৫ সালের সাত এপ্রিল তিনি মারা যান। রোমের রাস্তায় গাড়ির জ্যামের কারনে মানুষ প্রবেশ করতে পারছিল না। তারপরও তার শেষ বিদায়ে প্রায় চার মিলিয়ন মানুষ জমায়েত হয়েছিল।
০৪) কোন্জেভারাম নাটারাজান ''আন্নাদুরাই''। (ভারত)
- তিনি ১৯৬৭ থেকে ১৯৬৯ পর্যন্ত তামিল নাডুর চিফ মিনিস্টার ও একজন জনপ্রিয় রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ছিলেন। তিনি যে কত জনপ্রিয় ছিলেন সেটা তার জিবদ্দশায় বুঝা যায় নি। তার শেষ যাত্রায় তার সাথি ছিল ১০ মিলিয়নের উপরে ভক্তকুল।
০৩) মাইকেল জ্যাকসন: (আমেরিকা)
- মাইকেল জ্যকসনের কথা কে বা না জানে। সে কোটি মানুষের মনের প্রিন্স ছিল। তার মৃত্যুর পরবর্তি আনুষ্ঠানিকতা পারিবারিক ভাবে প্রাইভেট ছিল। ফলে তার দেহ পাবলিকের সামনে আনা হয়নি। কিন্তু টেলিভিষনে সারা বিশ্ব থেকে কোটিকোটি মানুষ লাইভ দেখেছিল। লসএ্যন্জেলসের রাস্তা ঘাট সেদিন বন্ধ ছিল। তারপরও বিভিন্ন রাস্তার মোরে কিংবা চত্তরে লক্ষ লক্ষ মানুষ তার দেহ বহনকারি গাড়ি বহর দেখার অপেক্ষায় ছিল।
০২) এ্যয়টন সেন্না। (ব্রাজিল)
- সে একজন কার রেসার ছিল। তারপরও পেলে রোমারিওর চেয়ে সে কোন অংশে কম জনপ্রিয় ছিলো না। তার অকাল মৃত্যু তার ভক্তদের নিকট একটি ট্রাজেডি ছিল। তাকে শেষ বিদায় জানাতে সাও পাওলোর রাস্তা ঘাট সব লোকে লোকারন্য ছিল। তার মৃত্যুর পরবর্তি তিনদিন দেশটিতে সরকারি ছুটি ছিল।
০১) প্রিন্সেস ডায়না। (ইংল্যান্ড)
- প্রিন্সেস ডিয়ানা বা ডায়না ছিলেন প্রিন্সেস অফ পিপল। তার আকস্মিক মৃত্যুতে বিশ্ব চমকিয়ে গিয়েছিল। আর বৃটেনে নেমে এসেছিল শোকের ছায়া। সেপ্টেম্বর মাসের সাত তারিখ ১৯৯৭ সালে তাকে ইহকাল থেকে চির বিদায় দেয়া হয়। তার বিদায়ের লগ্নে লন্ডনের মানুষ সবাই রাস্তায় নেমে এসেছিল। সারা বিশ্ব থেকে টিভি পর্দায় চোখ রাখছিল কোটি কোটি মানুষ।
কেবল তার সমাধিস্থলেই জড়ো হয়েছিল তিন মিলিয়ন ভক্ত।
ছোট বেলার একটি দেয়ালিকার কথা মনে পরে গেল,,, এমন জীবন তুমি করিবে গঠন মরিলে হাসিবে তুমি কাদিবে ভূবন''।
পূর্ববর্তী টপ টেন পর্ব-১)-> পর্ব-২)-> পর্ব-৩)-> পর্ব-৪)-> পর্ব-৫)-> পর্ব-৬)-> টপটেন ইন ওয়ার্লড কেমন লাগছে জানাবেন কিন্তু......
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০৫