একাত্তুরের রক্তলোলুপ হায়েনা এসেছিল এবার নতুন সাজে। এবারে “ছিনাথ বহুরুপী”র মতো এসেছে বালক/বালিকাদের ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে গৃহযুদ্ধ বাঁধিয়ে রক্তের বন্যা বইয়ে দিতে। উদ্দেশ্য বাংলাদেশকে ব্যার্থ রাষ্ট্র হিসেবে দেখানো। নিজস্ব অর্থনৈতিক সিস্টেম থাকার কারনে দেশের যে কোন দলের চেয়ে জামাত অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী দল। তাদের প্রচার কর্মীদের মাসোহারা দিয়ে গাইড লাইন মাফিক পরিচালনা করা হয়।ফেজবুক, টিকটক, ব্লগে তারা বহুকাল থেকেই সক্রিয়।
এদের প্রথম উদ্দেশ্য আওয়ামীলীগকে ফ্যাসিষ্ট দল হিসেবে বিশ্ব এবং জনতার সামনে তুলে ধরা। মহান মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী দলটিকে যদি ফ্যাসিষ্ট বানানো যায়- তাহলে - উল্টানো যাবে বাংলার ইতিহাস। জাতীর জনকের মাজারে বুলডোজার চালানো যাবে আর মোনাফেক ও ইসলামের দুশমন গো আযম, সাঈদীর লাশ পুতে রাখার স্থান হবে মাজার। বাহ! কি চমৎকার প্লান।
কোটা সম্পর্কিত রায় হওয়ার পুর্বেই কে, কারা এবং কেন ছাত্রদের বরাত দিয়ে “কমপ্লিট শাটডাউন” নামক বিভিষীকা ছড়ানো হলো ? এর তদন্ত হওয়া আবশ্যক।
দেশে দুর্নীতি, বেকারত্ব, মৌলবাদ ছাড়া আর কোন সমস্যা নেই। এগুলো দুর করার বা সমাধানের প্রক্রিয়া চলমান আছে। গদীতে জিয়া-এরশাদের মতো উড়ে এসে, জুড়ে বসার পরিবেশ এখন নাই। দেশের সংখ্যা গরিষ্ঠ মানুষ গনতান্ত্রিক প্রক্রিয়া চলমান রাখার পক্ষে। গৃহযুদ্ধ বাধিয়ে দেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিনত করার জামাত-শিবিরের ষড়যন্ত্র দেরিতে হলেও শান্তিপ্রিয় সাধারন জনতা উপলব্ধি করতে পেরেছে।
মাঝখানে উম্মাদণা ছড়িয়ে আড়াইশ মানুষের জীবন ছিনিয়ে নিয়েছে প্রতিক্রিয়াশীল মোনাফেক, গুজুব সৃষ্টিকারী, টিকটকার ও ভাড়াটে খুনিরা।
একটি ভুল ও আক্রোশ মুলক ইস্যুতে এতোগুলো মানুষ কেন ? একজন মানুষের মৃত্যুও কাম্য নয়। কিন্তু জামাত-বিএনপির মাষ্টার মাইন্ডরা তা করতে পেরেছে। দেশের সবচেয়ে সফল সরকারের গায়ে একটি কলন্ক লাগাতে পেরেছে।
ছাত্রদের চমৎকার ভাবে ব্রেন-ওয়াশ করে মাঠে নামাতে পেরেছে। কার সাথে কত টাকায় রফা হয়েছে জামাত-বিএনপির সাথে - একদিন বের হবে । তারা ভাড়াটে খুনি, ধর্মান্ধ কিছু ট্রান্স রাজাকার ও বালক-বালিকাদের ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে গৃহযুদ্ধ বাধানোর চেষ্টা করেছে । আদালতের রায়ের অপেক্ষা না করে “কমপ্লিট শাটডাউন” ডাকা হয়েছিলো কার স্বার্থে ? এ প্রশ্ন হয়তো কেয়ামত পর্যন্ত বাতাশে ভেসে বেড়াবে।
বাংলাদেশের মৌলবাদের প্রকৃত শক্তি ও মদদ দাতাদের চেহারা উন্মোচনের জন্য খুব দ্রুত জামাত/শিবির ও তাদের অঙ্গ সংগঠন গুলি নিষিদ্ধ করা দরকার। ভবিষ্যতে আবারোও কোটা কান্ডের মতো তিলকে তাল বানিয়ে অনেক মানুষ হত্যা ও গৃহযুদ্ধ বাঁধানোর চেষ্টা করবে।
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে জুলাই, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:২৫