কোকিল ডাকা দুপুর। মাধ্যমিকের গণ্ডি তখনও শেষ হয়নি। এলাকার সিডির দোকানে চিরকুট দিয়ে পাঠিয়েছিলাম পাড়ার দুষ্ট ছেলেটিকে।কাজ হয়নি। এরপর নিজেই গেলাম দলবল নিয়ে।দেখি গোটা পাঁচেক ছেলে নীল ছবির সিডি চাইতে না চাইতে হালিম চাচা বাড়িতে বলে দেযার ভয় দেখিয়ে ভাগিয়ে দিচ্ছিল।
কিন্তু আমরা নাছোড়বান্দা। পয়সা দিয়ে সিডি ভাড়া নেব। তাতে আবার এত ন্যাকামি, লুকানি কিসের? গোপনে তো কতজনকেই সিডি নিতে দেখি। অতঃপর জিন্সের প্যান্টে সিডি গুঁজে কাচারীতে ফিরে দরজায় ছিটকানি। তারপর............
সেই থেকে শুরু। এরপর নীল ছবি দেখা হয়েছে বহুবার বহুভাবে। যৌবনের জোয়ার আসার সঙ্গে সঙ্গে কোমল শরীরের সঙ্গ, সানিধ্য পেতে মনের আকুলি বিকুলি। ছোট খালার ছেলে হয়েছে শুনে রাগে দেখতেই যাই নি। তখনই উপলব্ধি করতাম, নরম শরীরের প্রতি প্রবল আকর্ষণ, তীব্র কামনা কাজ করছে।
আসলে যৌনতার কোনও বয়স নেই।ছোটবেলায় মায়ের সঙ্গে লোকাল ট্রেনের ভিড়ে যেতে গিয়ে যখন এক ভদ্রনারীর কোলের ওপর বসেছিলাম, তখন আমার মধ্যে একটা আলাদা অনুভূতি হয়েছিল। বড় হয়ে সেটা নিজের মতো করে বুঝেছি।আজও সেই অনুভূতি মনে আছে।
কৈশোরের নীল ছবির বদৌলতে যৌনতার ফ্যান্টাসি জন্ম নেয় মনের গহীনে। নারীর সুডৌল কোমল মাসল কাছে টানতে থাকে। মেয়েদের দৃষ্টি কাড়তে চেহারায় ফেয়ার এন্ড লাভলি মাখা, চুলগুলো সালমান স্টাইলে রাখা আর কত কি?
তার রেজাল্টও হাতেনাতে পাই।হাইস্কুলের সেকেন্ড গার্লের সঙ্গে প্রথম প্রেম ।শরীর কথা বলে ওঠে ওর সঙ্গে।মেয়েটি খুবই কনফিউজড।কয়েক মাস গভীর প্রেমে ডুবে আমায় চুমু খেলেও পরে অন্য ছেলের প্রেমে পড়ে মেয়েটি।আসলে প্রেম কখনও স্থায়ী হয়না।সকল প্রেমেরই একটা নির্দিষ্ট মেয়াদ থাকে।
বড় হতে থাকি, খুলে যায় মনের প্রান্তর।এরপর কোমল শরীরের সংস্পর্শ।তবে সেটা শরীরের জন্যেই, কেবলই ভালবাসাহীন কামনা। আসলে শরীরটা কখনও কখনও কেবলই ক্ষণিকের শান্তির আধার….