বাংলাদেশে বর্তমানে ১১ হাজার ৯২৫ জন বিদেশী নাগরিক কাজ করছেন বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।
সোমবার জাতীয় সংসদে সরকারি দলের সদস্য গোলাম দস্তগীর গাজীর এক প্রশ্নের জবাবে একথা জানান তিনি।যদি তাই হয় তবে -
২০১৪ তারিখের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১৩-১৪ অর্থবছরে দেশটি আয় করে ৭০ বিলিয়ন ডলার, যা ভারতের ইতিহাসে সর্বোচ্চ। এই আয়ের পেছনে যে দেশগুলোর অবদান সর্বোচ্চ, তার মাঝে বাংলাদেশ পঞ্চম।
যে পনেরটি দেশ থেকে ভারত সর্বোচ্চ রেমিটেন্স আয় করে সেগুলো হল- সংযুক্ত আরব আমিরাত, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, সৌদি আরব, যুক্তরাজ্য, বাংলাদেশ, কানাডা, নেপাল, ওমান, কাতার, শ্রীলঙ্কা, অস্ট্রেলিয়া, সিঙ্গাপুর, বাহরাইন, ইতালি এবং মালয়েশিয়া।
১. সংযুক্ত আরব আমিরাত (১৪ বিলিয়ন)
২. মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র (১১ বিলিয়ন)
৩. সৌদি আরব (৮ বিলিয়ন)
ভারত বছরে প্রায় ৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করে এই দেশে অবস্থানকারী ভারতীয়দের কল্যাণে।
৪. যুক্তরাজ্য (৪ বিলিয়ন)
বাংলাদেশ থেকে ভারতের বাৎসরিক রেমিটেন্স আয় ৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
৫. বাংলাদেশ (প্রায় ৪ বিলিয়ন)
গত কয়েক বছর ধরে বাংলাদেশ থেকে ভারতের বাৎসরিক রেমিটেন্স আয় প্রায় ৪ বিলিয়ন ডলার। এদেশে প্রায় ৫ লাখ ভারতীয় বাস করছেন। বিভিন্ন এনজিও, গার্মেন্ট এবং টেক্সটাইল প্রতিষ্ঠানে এইসব ভারতীয় কর্মরত আছেন।
এছাড়া সরকারি হিসাবের বাইরেও পশ্চিমবঙ্গ, মেঘালয়, আসাম, ত্রিপুরা এবং মিজোরাম থেকে অবৈধভাবে জীবনের সন্ধানে প্রতিবছরই প্রবেশ করছে অনেক ভারতীয়।
স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী জানান -
বাংলাদেশে বর্তমানে ভারতের ৪ হাজার ৪৬ জন, চীনের ১ হাজার ৪৮২, শ্রীলংকার ১ হাজার ৩৭৩, পাকিস্তানের ৭১২ জন, ইংল্যান্ডের ৬১৯, ফিলিপাইনের ৫২৩, আমেরিকার ৩৩৮, দক্ষিণ কোরিয়ার ৩৩৪, থাইল্যান্ডের ২৭৫, জাপানের ২৩৫, তুরস্কের ১৭০, ইন্দোনেশিয়ার ১৪৩, ফ্রান্সের ১৩৩, অস্ট্রেলিয়ার ১১২, কানাডার ১০৯, জার্মানীর ৮৩, নেদারল্যান্ডের ৮২, ইতালির ৮০, ইউক্রেনের ৭৮, সুইডেনের ৫৩, স্পেনের ৬৬, মিশরের ৪২, মরিশাসের ৩৯, উজবেকিস্তানের ৩৭, নিউজিল্যান্ডের ২৫, ভুটানের ২৪ ও অন্যান্য দেশের ৭১২ জন রয়েছেন