ইকরামুল যেন পার্থিব জীবন সাফল্যের দিঁশারি খুঁজে পেলেন।পীরের কথা মত রহমত সাহেবের সন্ধান যখন পেয়ে গেলেন তখন জীবনকে সাফল্যের সর্বোচ্চ চূড়ায় নিয়ে যেতে তার আর পিছু ফিরে তাকাতে হল না কিন্তু রহমত! তার মোবাইল নম্বর কোথায় থেকে পেলেন! খুব চিন্তায় পড়লেন আবার ভাবলেন শুনেছি পীরেরা নাকি আধ্যাত্বিক ভাবে অনেক কিছুই জানতে পারেন।হয়তো নাম্বারটি পীর সাহেব রহমতকে দিয়েছিলেন।
ইকরামুলকে রহমত যেখানে সাক্ষাৎ করতে বলেছেন সেই জায়গাটিতে ইকরামুলের কখনো যাতায়াত ছিলো না।সম্পূর্ণ অপরিচিত লোক জনের ইনফর্ম নিয়ে যেতে হচ্ছে। গ্রামের পথে পা দেয়ার সাথে সাথে ইকরামুলকে স্থানীয় লোকজনের সালাম দেয়ার হিঁড়িক পড়ে যায়। অবশ্য তাকে দেখে সহজ সরল ধর্মমনা মানুষদের সালাম না দেয়ারও কোন উপায় ছিলোনা -তার চরিত্রে যে সার্টিফিকেটই থাকনা কেন একজন পারফেক্ট মোল্লার লেবাস তার সর্বো অঙ্গ জুরে। সুরমা লাগানো চোখ জোড়া ধর্মপ্রান যে কাউকেই আকৃষ্ট করবে-তাছাড়া দেহে পরিধেয় শুভ্রতার পোষাকের বাহারীতো আছেই।
কিছুটা পথ হাটার পর পথের পথিকদের কাছ হতে কিছুক্ষণ পর পর জানার চেষ্টা করছেন-তার গন্তব্যের স্থান বা রহমতের লাগাল পাবেন কীভাবে।
-আসসালামুআলাইকুম,ভাই রহমত সাহেবকে চিনেন?
-রহমত! নাকি রহমত ভান্ডারী?
-জ্বী ঐ একই হবে হয়তো…
-ও’আচ্ছা-ঐ যে বড় তালগাছটা দেখছেন-ঐ যে পাটক্ষেত পেরিয়ে- ওখানে একটা ছোট্র দোকান আছে ওটাই রহমত ভান্ডারীর দোকান।
-ধন্যবাদ।
পথিক চলতে চলতে ভাবলেন-“এ আবার কোন হাজ্বী সাব রহমতকে খোঁজতে আইলো !
ইকরামুল পথিকের কথা মত পাট ক্ষেতের আইল ধরে হেটে চলছেন।দেহে কিছুটা ক্লান্ত ভাব এসে যাওয়ায় সেখানে দাড়িয়ে-কপালের ঘাম মুছতে কাধে ঝুলানো তার শুভ্র মাফলারটি হাতে নিতেই চমৎকে উঠলেন মাফলারের উপর বয়ে চলা বেশ কয়েকটা বিচ্ছু দেখে।তার পাশেই খেলাধুলা করছিলো কয়েকজন কিশোর।তাদের মধ্যে হতে একজন বলে উঠল।
-হুজুর ভয় পাইছেন? ভয় পাইয়েন না এগুলা কারো কোন ক্ষতি করে না।এ সব বিচ্ছু গুইসাপের মতই! বিষ নেই।
-তাই….তা রহমত ভান্ডারীর দোকানটা কোন দিকে বাবু ?
-ঐতো দেখা যায়…তাল গাছ..ওহানেতে রহমতের ছা….।ছড়ার ছন্দে কিশোররা হাসতে হাসতে চলে গেল।
ইকরামুলও লক্ষ্য করে দেখলেন একটু দুরেই একটি বড় তাল গাছের নীচে একটি টং দোকান দেখা যায়।সে এগুতে লাগল।দোকানটির আরো কিছুটা কাছাকাছি যাওয়ার পর দেখল লিকলিকে পায়জামা পাঞ্জাবী টুপি পড়া কে যেন তার দিকেই এগিয়ে আসছেন।সেও কিছুটা এগিয়ে গিয়ে সালাম দিয়ে তার সাথে হাত মেলালেন।তারপর তারা দোকানের দিকে চলে গেলেন।
কিছুক্ষণ আগেও দোকানের আশপাশে কেউ ছিলো না কিন্তু ইকরামুল আর রহমত দোকানের পাটাতনে বসার সাথে সাথে পাচ ছয় জন এসে হাজির হলেন।ইকরামুল লক্ষ্য করলেন তাদের মাঝে একজন সাধু বেশে,একজন খাদেম বেশে, একজন বৌদ্ধ ধর্মের সেবক বেশে, একজন খ্রীষ্টিয় ধর্মের ফাদার বেশে এবং আরো দু’তিন জন নন বেসে।তারা সবাই দোকানে এক সঙ্গে বসলেন।ইকরামুল যতক্ষণ বসে ছিলেন ততক্ষণে দোকানে একজন কাষ্টমারও আসেননি আর আসারও তেমন কোন লক্ষণও দেখলেন না।
তাদের সবার সাথে রহমত ইকরামুলকে পরিচয় করে দিচ্ছেন।
-জ্বী আসসালামুআলাইকুম আমি ইকরামুল..।।
একজন বলে উঠলেন।
-ও ভাই শুধু সালাম দিচ্ছেন কেন?এখানে আমরাও আছিতো!দিলে ভাল কইরা দেন।
-না মানে আমি মুসলমান তাই…
-এখানে হিন্দু মুসলিমের বলে কিছু নাইই-তাছাড়া খানকি পাড়ায় এসে ধর্মের বাণী বলে লাভ কী ভাই!
ইকরামুল অনেকটা লজ্বায় পড়ে গেলেন আবার অবাকও হলেন।এ কোথায় তিনি এসেছেন।ঈমানের বারোটাতো বাজবে দেখছেন।মনে মনে আস্তাকফিরুল্লাহ জপলেন।
সাধু বললেন শুনেন ইকরামুল ভাই-এই যে এখানে আমরা বিভিন্ন ধর্মের বিভিন্ন লোক এক সঙ্গে একত্রে-এটা হল জীবনের প্রয়োজনে ঐক্যতা-ধর্ম আমাদের কেবল ছায়া।ধর্মের লেবাসে বিচ্ছু রূপে সমাজ রাস্ট্রে আমাদের বিচরণ থাকবে,এ ক্ষেত্রে ধর্মের যা যা সংস্কৃতি আছে সবটাতেই আমাদের উপস্থিত থাকতে হবে।
খাদেম বললেন-যাই হোক ভাই ইকরামুল আপনি যখন এসেই পড়েছেন তখন ধীরে ধীরে সব বুঝে যাবেন।আমরা একটা প্লানে এগুচ্ছি তা হল জমির দালালী।দালালীতে আপনি থাকতে চাইলে থাকতে পারবেন তবে জমি ক্রয় বিক্রয়ে ভাগে যা পড়বে সেই পরিমান টাকা ইনভেষ্ট করতে হবে।।আছে কিছু মালপানি? না থাকলেও ভাগ পাবেন তবে পরিমানটা একটু কম হবে।আর হ্যা ঐতো ঐ উত্তর পাড়ায় আমরা একটা মাদ্রাসা দিচ্ছি- ইচ্ছে করলে ওখানেও আপনি থাকতে পারেন।
খাদেম সাহেব জমির ব্যাবসার লাভবানের সব কিছু সুন্দর ভাবে মগজে দিলেও ইনভেষ্ট করতে হবে তাই ভেবে তেমন একটা সায় দিলেন না ইকরামুল তবে মাদ্রাসায় আছেন বলে সম্মতি দিলেন।
কথার মাঝে একজন এসে সাধুকে ডাকছে=-
সাধু বাবা আহেন সব রেডি……
খাদেম,ফাদার বাকী সবাই চিল্লান দিয়া উঠল।
-কীরে হালারপুত! সাধুরে একা কইলি আমরা কী তোর পর নাকি?
-নানা তা অবে কেন!আপনেগো লগে মেহমানতো তাই…।।-
-আজকের মেহমান কয়দিন পর আমাদের আপণজন হয়ে যাবে-সমস্যা নেই চল….চলেন ইকরামুল ভাই।
ইকরামুল প্রথমে বুঝতে পারেনি আসলে তাকে আবার কোথায় যেতে হবে আর সেখানে তাদের জন্য কীবা অপেক্ষা করছে।তিনি লক্ষ্য করলেন তাদের বসার স্থান থেকে একটু দুরে একটি ছনের ঘরের ভেতর লাল গোঁলাপী চাঁদরে মুড়াঁনো একটি কবরের চারপাশে বেশ কয়েক জন ভক্ত আশেকান ধ্যানে মগ্ন।কেউ কলকি হাতে গাজাঁর টানে রাজা হয়ে পৃথিবীটাকে রঙীন দেখছেন,কেউ বা মদের নেশায় মত্ত হয়ে নিজেকে ভাবছেন রাজা বাদশা আর অপেক্ষাকৃত ইয়াং লোকগুলো ব্যাস্ত সময় কাটাচ্ছেন ইয়াবা সেবনে কারিগরি কাজে।
জীবনে প্রথম দেখা ইকরামুল তা যতই দেখছেন ততই যেন অবাক হচ্ছেন আর ভাবছেন মানুষগুলো এতো ঝামেলা সাবার করে এসব ছাঁইপাছ খায় কেন? জীবনে এই প্রথম এ সব সেবনে কারিগরিগুলো দেখা!আরো একটু ভাল করে দেখতে কৌতুহল বশত সে একটি চেয়ার টান দিয়ে তাদের অনেকটা কাছাকাছি বসলেন।
মদ ফেন্সির নেশা একটি বোতল হলেই চলে,গাজাঁর নেশা নারকিলের ছুবা বিশেষ ভাবে তৈরী কলকিতে দিয়ে আগুন দিয়ে টান অথবা সিগারেটের ভেতরে দিলেই সেবন চলে,হিরোইন নাকের কাজ, প্যাথটিনে কাজ সিরিজ সুচের আগায়-নেই তেমন কোন ঝামেলা কিন্তু ইকরামুলের কাছে যত ঝামেলা মনে হল বাবার নেশা মানে ইয়াবা নেশাটা।
বেশ কয়েক ধরনের অনেকটা গোলাপী সবুজ পিয়াজু রংয়ের ইয়াবা ইকরামুলের সামনেই পড়ে আছে।দুজন কাজে বেশ ব্যাস্ত।একজন একটি গ্যাসের ম্যাচ লাইটে সলতে তৈরী করছেন।বিশেষ একটি পারদ কালার সিগারেটের বাকলা কাগজ দিয়ে তৈরী ম্যাচ লাইটের সলতে, যার মধ্য দিয়ে সরু নিদিষ্ট আগুনের স্ফুলিঙ্গ বের হবে যা সেবনে ইবাবা গলনে পারফেক্ট ভাবে কাজ করবে ।এক আঙ্গুলের এক কহর ব্যাসার্ধে দশ বার ইঞ্চি লম্বা একটি পারদের কাগজ যার উপর ইয়াবাটা রেখে তার নীচ দিয়ে বিশেষ সলতে তৈরী ম্যাচ লাইটের আগুনের শিঁখায় তাপ দিয়ে ইয়াবাকে গলিয়ে ধোঁয়া বের করে।বেশ কয়েকটি কোক পেপসির মুটকা এবং একটি পাতা বাঁশির মত চিকন একটি বিশেষ শলা যা দিয়ে গলিত ইয়াবার ধোয়া পান করে থাকে।বিশেষ এই শলাটি বানাতে অবশ্যই টাকা বা ডলার লাগবে-যত বেশী দামী নোট হবে তত বেশী ভাল নেশা হবে।অর্থনৈতীক ভাবে অবস্থার পরিপেক্ষিতে অনেকে ডলারের নোটও ইউজ করেন।
ইকরামুল তাদের এমন অবিনব কারিগরি দেখছেন আর কৌতুহল বসে কিছুটা জানার চেষ্টা করছেন।বাবা সেবকরা বাবায় টান দেয়ার সাথে সাথে ঘরটি বিস্কুটের সুঘ্রানে ভরে গেল।তখনি তার মনে পড়ে,গতকালের একটি ঘটনার কথা।তার বাসার সামনে একটি চিপা গলিতে প্রায় দিনই সে বিস্কুটের এমন গন্ধ পেত কিন্তু সে বুঝতে পারতেনা আসলে এটা কীসের ঘ্রান।তাছাড়া কোন বিস্কুট বা সুগন্ধী ফ্যাক্টরীর হলে আশপাশে কোথাও তো কোন বিস্কুটের ফ্যাক্টরীও নেই তাহলে এমন সুঘ্রান কীসের!।তখন আশ্চর্য হলেও এখন এখানে এসে এ রহস্য উৎঘাটন করতে পেরে নিজেকে স্বার্থক মনে করলেন।
ইকরামুল ছাড়া বাকীরা সবাই নেশার টানে রাজা বণে গেলেন।জগৎটাকে রঙয়ের বাহারে সাজাচ্ছেন।এর মধ্যে ইকরামুল আঁছরের আযান শুনতে পেয়ে একজনকে জিজ্ঞাসা করলেন এখানে আশ পাশে কোন মসজিদ আছে কীনা।জবাব পেয়ে সে সেখান থেকে বিদায় নিয়ে বের হয়ে এলেন।
মালতী ঘরের সকল কাজ কর্ম সেরে বোরকা পড়ে পাশের এক লাইব্রেরীতে গেলেন।বলা বাহুল্য মালতী আজ যে বোরকাটি পড়ে বের হয়েছেন সেই বোরকাটি তার স্বামী কিনে দিয়েছিলেন বহু দিন আগে কিন্তু মালতী তা পরিধাণ করে বাহিরে বের হতে অনিহা দেখালে ইকরামুলও তা পরিধাণ করতে আর জোর করেনি।মালতী আজই তা প্রথম পড়ে বাড়ীর বাহির হলেন।লাইব্রেরীর দোকানদারের নিকট গিয়ে খুব আস্তে আস্তে একটি বই চেয়ে বললেন বইটি যেন কাগজ দিয়ে মুড়ে প্যাকেট করে দেন। দোকানদার ঠিক তাই করলেন।মালতী বইটি হাতে নিয়ে দাম চুকিয়ে এদিক সেদিক তাকিয়ে সতর্কতায় বাসায় ফিরে এসে বোরকাটি খুলে সোফার উপরে রেখে বইটি পড়া শুরু করে দিলেন।এদিকে বিকাল গড়িয়ে সন্ধ্যা হয়ে এলেও তার সেদিকে কোন খেয়াল নেই।খেয়াল নেই সেই সাত সকালে বাহিরে বেরিয়ে পড়া স্বামীর ফিরে আসার কথা।হঠাৎ কলিং বেল্টের শব্দে চমকে উঠেন মালতী।মনে পড়ল স্বামী হয়তো ফিরে এসেছেন।বইটি আচঁলে এক হাতে লুকিয়ে অন্য হাতে দরজা খুললেন।ইকরামুলকে দেখে মালতী অবাক হলেন।
-আসসালামুআলাইকুম… এ কী অবস্থা করেছো শরীরের?
ইকরামুল স্ত্রীর হঠাৎ সালাম দেয়া দেখে অবাক হলেও স্বাভাবিক ভাবে উত্তর দিলেন।
-আর বলোনা দুনিয়াবী;এতো ঝামেলার!বলতে বলতে ওয়াস রুমে যাবেন ঠিক সেই সময় মনে পড়ল।আজ হঠাৎ সালাম দেয়ার মানেটা কী!
-আচ্ছা আজকে এই প্রথম তুমি আমাকে সালাম দিলে কারনটা কী?
-সালাম দিতেকী নিষেধ আছেনি?
-তাওতো কথা!তা তোমার আচঁলে কী কিছু লুকাচ্ছো?
-কীযে বকবক করছে….যাওতো ওয়াসরুম থেকে ফিরে এসো ।
ইকরামুলের হাতে তোয়ালেটা ধরিয়ে দিয়ে অনেকটা ভলবাসার ধাক্কায় ওয়াস রুমে পাঠালেন।ইকরামুল ওয়াস রুম থেকে বের হতে চোখ পড়ল সোফায় রাখা বোরকার দিকে অতপর মৌনতায় ডিনার টেবিলে গিয়ে পাশাপাশি দুজনেই ডিনার করছেন।ডিনারের এক পর্যায় তাদের কথপোকথন।
-আচ্ছা,সোফায় দেখলাম বোরকা!কী বিশেষ কোথাও গিয়েছিলে নাকী?
চমকে গিয়ে মলতী কথা যেন আটকে গেছে।কী বলবেন বুঝতে পারছেন না।অবস্থা বেগতি দেখে ইকরামুল নিজেই আবার বললেন।
-না থাক কিছু বলতে হবে না আমি যা বুঝার বুঝে গেছি।
-মানে তুমি কী বুঝলে?
-না ভয় পেয়োনা পরকীয়া ভাবনা!
-তাহলে?
-তোমাদের মেয়েদের ঐ একটাই দোষ স্বামীরা কিছু বললেই কেবল যত নেগেটিভ চিন্তা করো।
-হ তোমারে কইছে বাবু খাইছো! বাদ দাও ওসব কথা-তুমি যে গেলে সেই সকালে এলে সন্ধ্যায়!তা কী করলে?
-দাড়াও হাতটা ধুঁয়ে নিইই…বলে বেসিনের দিকে গেলেন ইকরামুল।হাত ধোয়া শেষে ফিরে এসে তোয়ালেতে হাত মুছতে মুছতে।
জানো পৃথিবীর মানুষগুলো বড় আজব।দুনিয়াবী আরামের জন্য মানুষ কতটা ছদ্মবেশী হতে পারে।এরা ধর্মকেও ছাড়েনা।ধর্মকে সরলতাকে পুজিঁ করে এরা অমানুষের রূপ নেয় ।ধর্মে কর্মে অর্থে এই তিনটিতেই সমান দক্ষতা তাদের অথচ এরাই আবার আমাদের সমজপতি,রাজা বাদশা।কোন ধর্মই কিন্তু মানুষ মানুষকে ঠকাতে,খুন রাহজানি,ভুল পথে বা অনিষ্টের পথে চলতে বলে না।সব ধর্মেই শান্তির কথা-শান্ত থাকার কথা বলা আছে,বলা আছে অন্য ধর্মের ্প্রতি সহনশীলতা হওয়া বা ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি না করা-আর মানুষকে মানুষ হিসাবে চিন্তা করাই ্প্রতিটি ধর্মের মুল কথা। তবুও এই আমরাই ধর্মের বাণীগুলো কগজে রেখে দিয়ে অন্তরে স্থান না দিয়ে দুনিয়াবী বাহাদুরীর নগ্ন চাষ করে নিজেরাই নিজেের বিপদ ডেকে আনি।
-মাশাল্লাহ্ তোমার ভেতরের এই মানুষটির আমিত্ব টিকে থাকবে তো?
-এটাই এখন চিন্তার বিষয় এতো অমানুষের ভিরে কতক্ষণ মানুষের কাতারে থাকতে পারি।
চলবে…
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা জুলাই, ২০২১ সকাল ১০:২৯