somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বাংলা সাহিত্যে উজ্জ্বল নক্ষত্র দীপু মাহমুদ এবং "আলমপনা"

২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১০:২৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


আমার সাহিত্যাঙ্গনে সাহিত্য সম্পর্কিত কিংবা সাহিত্যের তেমন কেউ নই।একদম সাধারন একজন আজীবন কামলা খাটা চাকুরী জীবি মানুষ তবে মনে আছে সাহিত্য সম্পর্কে,
সাহিত্য সংশ্লিষ্ট যে কোন উদ্দ্যেগের সহিত অংশগ্রহণ করার প্রবল ইচ্ছে।আর আছে বাংলা সাহিত্যাঙ্গনে উঠতি বেশ কয়েকজন উজ্জ্বল নক্ষত্র কবি সাহিত্যিকদের সাথে সখ্যতা ।তাদের মধ্যে অন্যতম হলেন,হালের জনপ্রিয় সাহিত্যিক উপন্যাসিক দীপু মাহমুদ।সাহিত্যের বিভিন্ন শাখা উপন্যাস,ছোট গল্প, কবিতা, নাটক, ইতিহাস, প্রবন্ধ, শিশু সাহিত্য,সাইন্স ফিকসনস এ তার অবাধ বিচরণ।কখনো শিশু-কিশোরদের মাঝে,কখনও সাইন্টিফিকসনের মাঝে,কখনও মাটির মমতায় জীবনের কথায়,কখনো বা ঐতিহাসিক মাঠে ময়দানে।এত সব গুণি মানুষটির সম্পর্কে আমার মতন অনভিজ্ঞ কলমবাজ কি আর লিখতে পারে তাও যদি তার সাথে সরা সরি সাক্ষাৎ হত।এ যাবৎকাল তার সম্পর্কে যতটুকু জেনেছি তার প্রকাশিত বইগুলো পড়ে,অনলাইনে ফেবুকের মাধ্যমে তিনি একজন অসাধারন লেখক।আমার এখনো সেই সৌভাগ্য হয়নি তার আলিঙ্গনে নিজেকে ধন্য করার।তবু তৃপ্ত ভাল থাকুন সব সময় বাংলা সাহিত্যাঙ্গনের এ সব বরপুত্ররা।আপনাদের মতন গুণি লেখকদের আরো বেশী প্রয়োজন।
তার সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত পরিচিতি:
পুরো নাম: রেজা মাহমুদ আল হুদা(দীপু মাহমুদ)
পিতা: প্রফেসর মোহাম্মদ কামরুল হুদা
মাতা: মিসেস হামিদা বেগম।
এই গুণি লেখকটির জন্ম হয়েছিলো ১৯৬৫ সালের ২৫ মে কুষ্টিয়া জেলায়।
লেখাপড়া: কুষ্টিয়া জিলা স্কুল,কুষ্টিয়া সরকারি কলেজ,রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ও রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়,কলকাতায়।এ ছাড়াও আহছানউল্লা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শিক্ষা বিষয়ে উচ্চতর ডিগ্রি অর্জন করেছেন এবং পিএইচডি করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের আমেরিকান ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি হতে ।
প্রকাশিত গ্রন্থ সংখ্যা: প্রায় পঞ্চাশের অধিক এর মধ্যে বেশ জনপ্রিয় ও সাহিত্য প্রেমিদের মনে ঠায় করে নেয় যে সব বইগুলোর মধ্যে -{@ স্বপ্নযাত্রা ১৯৭১,ফেরা হয় না,তবু ভালোবেসো এবং ফিরে এসো কমেলা।ছোট গল্প সংকলন- উত্তর পুরুষ, মেঘ জড়ানো দিন ও তরব আলির চাদর।শিশু সাহিত্য-নিতুর ডায়েরি ১৯৭১,
বুসেফেলাস,বারো ভূত, বাঘের মন খারাপ,নিতি মেঘ হবে,এক যে ছিল ছোট পাখি,নয় পরি,দুই জন্ম,মিরুর স্বপ্ন খাতা,মাহিনের জুতো জামা,কিটি, রিকি,পুতলি ও ছেলেধরা, ছোটকু, রায়া ও ছোটকু এবং আরও কিছু শিশুতোষ বই।ইতিহাস- ১৯৭১ দক্ষিণ পশ্চিম রণাঙ্গন,মুক্তি যুদ্ধের কিশোর ইতিহাস: যেভাবে স্বাধীন হলো চুয়াডাঙ্গা জেলা ও ভাষা আন্দোলনের কিশোর ইতিহাস: চুয়াডাঙ্গা জেলা,এ ছাড়া এ বছর ২০১৯ এ বই মেলায় প্রকাশিত হবে "আলমপনা" নবাব সিরাজদৌল্লার জন্ম হতে মৃত্যু পর্যন্ত অজানা কাহিনী।
স্বীকৃতি: লেখা লেখির স্বীকৃতি স্বরূপ পেয়েছেন শিশু সাহিত্যিক মোহাম্মদ নাসির আলী স্বর্ণ পদক, সুনীতি অ্যাওয়ার্ড , গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা অধিদপ্তরের বিশেষ সম্মাননা,অগ্রনী ব্যাংক শিশু সাহিত্য পুরষ্কার,মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক দেশ পান্ডুলিপি পুরষ্কার,আনন্দ আলো শিশু সাহিত্য পুরষ্কার,আবু হাসান শাহীন সাহিত্য পুরষ্কার।
স্ত্রী রূপা,যমজ দুই পুত্র সন্তান খালিদ ও গালিব।যাদের নিয়ে দীপু মাহমুদের লেখা লেখির নিজস্ব ভুবন।বর্তমানে তিনি একটি আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থায় শিক্ষা বিভাগে ও ব্রাকে কর্মরত।
এবার ২০১৯ এর বই মেলায় প্রকাশিত হচ্ছে বহুল আলোচিত চিরচেনা মুখ নবার সিরাজদৌল্লার ইতিহাস ভিত্তিক বই যেখানে কাহিনীর ভিন্নতা খুজেঁ পাওয়াযায়।তার মুখ থেকেই শুনুন বইটি রচনায় তাকে কতটা ভাবিয়ে তুলেছিল।
"আলমপনা" উপন্যাস লেখার জন্য ইতিহাসের অনেকগুলো বই পড়তে হলো। হতভম্ব হয়ে গেছি। ইংরেজরা নিজেদের দোষ ঢাকতে পয়সা দিয়ে প্রচুর মিথ্যা ইতিহাস লিখিয়েছে। নবাব সিরাজউদদৌলার ওপর দোষ চাপিয়েছে। প্রমাণ করার চেষ্টা করেছে তিনি ছিলেন বীভৎস চরিত্রের, অর্বাচীন, নিকৃষ্ট। ইংরেজ প্রভুদের মনতুষ্টির জন্য লেখা হয়েছে অলীক কাহিনি। আমি বিস্মিত হয়েছি সিরাজউদদৌলার অসাধারণ সৌন্দর্য দর্শনে। মুগ্ধ হয়েছি তার সাহস, সরলতা আর দেশপ্রেমে। এসব কথা লিখেছি আমি আমার "আলমপনা" উপন্যাসে। ভেবেছিলাম তরুণ সিরাজউদদৌলা থেকে শুরু করব উপন্যাস।ইতিহাস পড়ে দেখি সিরাজউদদৌলার পিতা মহ নবাব আলিবর্দি খাঁ দারুন এক ইন্টারেস্টিং চরিত্র।তাঁকে নিয়ে উপন্যাস শুরু করলাম।সিরাজউদদৌলা তখন ছোটো।"আলমপনা" উপন্যাস শুরু হলো সিরাজউদদৌলার জন্ম থেকে।তাঁর তারুণ্য, বিয়ে, প্রেম, রাজ্যশাসন।পলাশীর ষড়যন্ত্র,প্রহসন,মৃত্যু পেরিয়ে ইতিহাসে আড়ালে পড়ে যাওয়া সিরাজউদদৌলার পুত্রের কাহিনি হয়ে উঠল "আলমপনা"। আর এসেছে শরফ-উন-নিসা, লুৎফ-উন-নিসা এবং আলেয়ার মতো বুদ্ধি দীপ্ত ও তেজস্বী নারীদের কথা।আমি ইতিহাসকার নই।ইতিহাস রচনা আমার অভিপ্রায় নয়।আমি উপন্যাস লিখছি।ইতিহাসের কাহিনিনির্ভর উপন্যাস।নবাব সিরাজউদদৌলা উপন্যাসে এসেছেন ঘটনার ঐতিহাসিক প্রয়োজনে।এ উপন্যাসের অন্যতম প্রধান চরিত্র নবাব সিরাজউদদৌলার পুত্র জমিদার যুগল কিশোর রায়চৌধুরী। যিনি দীর্ঘকাল ছিলেন আমাদের জানার অন্তরালে।
লেখক আলমপনা লিখতে গিয়ে আরেকটি দৃশ্যে থমকে যান।পিতামহ নবাব আলিবর্দি খাঁ এর মান্যতা দেখে এবং নবাব সিরাদৌল্লাহ পদের মর্যাদা দিতে দেখে।গোরুর গাড়ি থেকে নেমে এসেছেন সিরাজউদদৌলা।নবাব আলিবর্দি খাঁ দাঁড়িয়ে আছেন সামনে।সামান্য পথ।সিরাজউদদৌলা সেই অল্প পথটুকু ছুটে গেলেন।তিনি নিচু হয়ে নবাব আলিবর্দি খাঁর পায়ে চুমু দিয়েছেন।নবাব আলিবর্দি খাঁর চোখ ভরতি পানি।তিনি চোখের পানি আটকে রাখতে পারছেন না।তার চোখ বেয়ে অঝোর ধারায় পানি নেমে আসছে। তিনি শিশুর মতো আচরণ করছেন। সিরাজউদদৌলাকে জড়িয়ে ধরেছেন। বুকের ভেতর শক্ত করে চেপে ধরে বারবার তার গালে, গলায়, কপালে চুমু খাচ্ছেন।
পর্দা ঘেরা গোরুর গাড়িতে বসে আছে বেগম লুৎফ-উন-নিসা।সে মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে আছে।এমন সুন্দর দৃশ্য কোনো দিন দেখেনি।আর কোনোদিন দেখবে কিনা জানে না।
-উপন্যাস "আলমপনা"।বইটি প্রকাশিত হওয়ার আগেই আলোচনায় আসে দেশের বিভিন্ন অনলাইন মাধ্যমগুলোতে।নিউজ প্রকাশিত হয় জনপ্রিয় অনলাইন পত্রিকা নব বার্তায়ও দেশ বার্তা সহ দেশের আলোচিত বিভিন্ন ব্লগ,ফেবুক পেইজ গুলোতে।

লেখকের পূর্বে প্রকাশিত অন্যান্য বইগুলোও এবারের বই মেলায় পূর্ণমুদ্রণ হবে।পাওয়া যাবে বই মেলায়।প্রকাশিত তার অনেকগুলো বইয়ের মধ্যে বেশ কয়েকটা বই পাঠকদের ভাবিয়ে তুলেন।লেখকের বিচক্ষণতা তার কলমে শব্দ,বাক্যবাজিতে চরিত্রগুলোকে বাস্তবতার নিরিখে মুন্সিয়ানার পরিচয় দিতে দেখা যায়।লেখকের আরেকটি বিষয় আমাকে গর্বিত করে।তা হলো মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক প্রকাশিত বইগুলো।তার লেখা পড়লে মনে শিহরণ জাগে।মনে হয় সবগুলো ঘটনা যেন এখানে আমারি সাথেই ঘটছে।মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক বইগুলোর মধ্যে অন্যতম.....।
স্বপ্ন যাত্রা

গুলির শব্দ হচ্ছে। ঠা ঠা ঠা ঠা। আওয়াজ হচ্ছে প্রচণ্ড। নূরুলকে শক্ত করে জাপটে ধরেছে বিনুদি। তারা খড়ের গাদার ভেতর তলিয়ে যাচ্ছে। বিনুদি প্রবলভাবে আঁকড়ে ধরে আছে নূরুলকে। বিনুদির ভালোবাসা ওর পুরো শরীর জুড়ে আছে। বিনুদির বুকে শিউলি ফুলের তীব্র সুবাস।বিনুদি বলেছিল,ভালোবাসলে বুকের ভাঁজে সুঘ্রাণ জন্মে।বিনুদি তাকে ভালোবাসে। বিনুদির বুকে শিউলি ফুলের সুঘ্রাণ জন্মেছে। নূরুল বিনুদির সুবাসিত বুকে মুখ গুঁজে চুপচাপ শুয়ে থাকল। আলতার মুখে হারিকেনের আলো এসে পড়েছে। সে স্থির তাকিয়ে আছে।শান্ত গলায় বলল,'দেশ একদিন স্বাধীন হবে।সবাই তখন কত আনন্দ করবে। কেউ ফিরে পাবে তার স্বামী, কেউ ফিরে পাবে সন্তান। সকলেই ফিরে যাবে তার স্বজনের কাছে। আমি সেদিন কার কাছে ফিরব?'আলতার চোখ ভরা পানি। সেই পানি গড়িয়ে পড়ছে গালে।আলতা কাঁদছে।সে ভোরের প্রতীক্ষায় আছে।
নিতুর ডায়েরি ১৯৭১
১৬ ডিসেম্বর। সকাল থেকে লোকমুখে খবর আসতে লাগল, দেশ স্বাধীন হয়ে যাচ্ছে। বিকেল নাগাদ খবর এলো,ঢাকায় পাকিস্তানি সেনাবাহিনী আত্মসমর্পণ করেছে।
আমি ঘরের দরজা ধরে দাঁড়িয়ে ছিলাম।আব্বাকে দেখে খুব কষ্ট হলো।ঘরের বারান্দার পিলারে ঠেস দিয়ে চুপচাপ বসে আছেন।আব্বার দৃষ্টি উদাস।কেমন যেন থমকে থাকা চোখে তাকিয়ে আছেন তিনি।বিস্ময়,কষ্ট আর বিষণ্ণতা মেশানো শূন্য দৃষ্টি তার।আব্বার চোখ দিয়ে টপটপ করে পানি গড়িয়ে পড়ছে।আব্বা কাঁদছেন।বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা।নিতুর ডায়েরি ১৯৭১
এ ছাড়াও লেখকের অন্যান্য বইগুলোর মধ্যে ভিন্ন মাত্রার সাইন্সফিকসনস এবং শিশু কিশোরদের বইগুলো বেশ পাঠক সমাধিত হয়।
মুক্তিযুদ্ধে সাধারন একজন
২০ জানুয়ারি, ১৯৬৯ সাল।... কবিরের সঙ্গে দৌড়াচ্ছে ১৪/১৫ বছরের একজন ছেলে। সে আকুল হয়ে কাঁদছে।
কবির বলল, 'তুমি কাঁদছ কেন?'
সেই ছেলে বলল, 'আসাদ ভাই মারা যাচ্ছেন।'
'আসাদ ভাই তোমার কেমন ভাই?'
'আপন ভাই।'
'তোমার নাম কী?'
'গোপাল দাস।'
কবির বিভ্রান্ত হয়েছে। গোপাল দাস বলছে আসাদুজ্জামান তার আপন ভাই! একজন হিন্দু আর একজন মুসলমান। কবির আবার জিগ্যেস করল, 'তুমি কী করো?'
গোপাল দাস বলল, 'আমি মধুর ক্যান্টিনের বয়। অল্পদিন হলো এখানে কাজে লেগেছি।'
... হাসপাতালের ইমারজেন্সি গেটের সামনে সহযোদ্ধাদের হাতের ওপর শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন আসাদুজ্জামান। শহিদ হয়েছেন তিনি। আসাদুজ্জামানের নাম হয়ে গেল শহিদ আসাদ।
গোপাল দাস ধীরে ধীরে কবিরের গায়ের ওপর ঢলে পড়ল। মনে হয় সে অজ্ঞান হয়ে গেছে। তার জ্ঞান ফেরানো দরকার। গোপাল দাসকে কোলে তুলে নিয়ে কবির দৌড়াচ্ছে। তখন মিছিলে তীব্র শ্লোগান, শহিদের রক্ত বৃথা যেতে দেব না। আসাদ ভাইয়ের মন্ত্র, জনগণতন্ত্র।
এই কাহিনি আমি লিখেছি "মুক্তিযুদ্ধে সাধারণ একজন" উপন্যাসে। আজ ২০ জানুয়ারি। আজ শহিদ আসাদ দিবস। বিনম্র শ্রদ্ধা আর বুকভরা ভালোবাসা শহিদ আসাদের জন্য। আমাদের বুকে জেগে থাক শহিদ আসাদের সাহস।
শ্যামসুন্দর
"শ্যামসুন্দর মাঠের ওপাশে তাকাল।সে জানে তাকে কী করতে হবে।তিন বছর সে দৌড়েছে এই মাঠে। শুধু গত বছর দৌড়াতে পারেনি।এ বছর আবার দৌড়াবে।
তুতুন উবু হয়ে নিজের মাথা ঘোড়ার মাথার কাছে নিয়ে এল।ঘোড়ার কানের কাছে মুখ এগিয়ে ফিসফিস করে বলল, শ্যামসুন্দর দৌড়ে আজ পর্যন্ত হারেনি।শ্যামসুন্দর শুধু নিজে জেতেনি।সে এই গ্রামকে জিতিয়ে দিয়েছে।"
অপূর্ব!লেখকের গ্রাম নিয়ে ভাবনাগুলো।আগে আমাদের গ্রামাঞ্চলে বিভিন্ন রকমের বার্ষিক খেলাধূলার প্রচল ছিলো,যাকে ঘিরে পুরো গ্রাম আনন্দে মেতে উঠত।কিছু কুটবুদ্ধি লোকের গুটিচালে বর্তমানে তা কেবলি ইতিহাস।সেই ইতিহাসকে মাটির টানে পরম মমতায় তুলে ধরেছেন তার এই শ্যামসুন্দর বইটিতে।
বরপুত্র
যোবায়ের হাসান বালুতে পা ডুবিয়ে বসে আছেন। সামনে ঈশানী। তেজি আকর্ষণ আছে তার ভেতর। সে একদৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। কবি-সাহিত্যিকরা সাধারণত পাঞ্জাবি পছন্দ করেন। যোবায়ের হাসান পরেন শার্ট-প্যান্ট। বয়স ষাট পেরিয়েছে। চোখ দুটো বেশ উজ্জ্বল। চশমার ওপাশে সেই চোখ অদ্ভুত দীপ্তিময়। যোবায়ের হাসানের দিকে তাকিয়ে থাকতে গিয়ে ঈশানীর বুকের পাঁজরের নীচে কেমন যেন ছটফটানি শুরু হয়। সেখানে কিছু লাফাচ্ছে। কী লাফাচ্ছে ঈশানী জানে না। তার গলা শুকিয়ে এসেছে।
লেখকের প্রকাশিত ও আলোচিত অন্যান্য বইগুলোর মধ্যে:ভূমিরেখা,নয়ন,সমুদ্র ভয়ঙ্কর,পুতলি ও ছেলে ধরা,মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক কিশোর উপন্যাস-উড়াল বালক,ভবঘুরে আকাশচারী,ভূ,গহীনে যাই,লেভ তলস্তয়ের গল্প,নীলার রোবট বন্ধু,লিউনার্দো দ্যা

ভিঞ্চির গল্প,অ্যাকোয়া,ছোটদের-ইশকুলে পল্টু রাজা,নির্বাচিত কিশোর গল্প,তবুও ভালবেসো,মুক্তিযুদ্ধের কিশোর গল্প,সত্যি রাজা,সেরা কিশোর গল্প,ঈশপের গল্প,তুতুনের কালো ঘোড়া প্রমুখ।
আলোচিত "আলমপনা" ছাড়াও ২০১৯ এ বই মেলায় প্রকাশিত অন্যান্য নতুন বইগুলো হল।
সেরা কিশোর গল্প,ফরোফিফটিটুবি,কিশোর সমগ্র,কাঠের ঘোড়া,সাইন্স ফিকসনস-ইমি এবং আরো অন্যান্য বই প্রকাশের অপেক্ষায়।
বই হলো মনের দর্পন।যত বেশী বই পড়বেন ততই আপনার মস্তষ্কের তথ্য ভান্ডার সম্মৃদ্ধি হবে যা হতে আপনি আপনার সন্তানকে শিক্ষা দিবেন আবার আপনার সন্তানেরা অন্যদের জ্ঞান দানের মাধ্যমে একটি অশিক্ষিত জাতিকে শিক্ষিত করে তুলবে।





সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১০:২৯
১টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ফখরুল সাহেব দেশটাকে বাঁচান।

লিখেছেন আহা রুবন, ০১ লা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:৫০





ফখরুল সাহেব দেশটাকে বাঁচান। আমরা দিন দিন কোথায় যাচ্ছি কিছু বুঝে উঠতে পারছি না। আপনার দলের লোকজন চাঁদাবাজি-দখলবাজি নিয়ে তো মহাব্যস্ত! সে পুরাতন কথা। কিন্তু নিজেদের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হচ্ছে।... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। প্রধান উপদেষ্টাকে সাবেক মন্ত্রীর স্ত্রীর খোলা চিঠি!

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০১ লা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:০৩




সাবেক গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনকে মুক্তি দিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে খোলা চিঠি দিয়েছেন মোশাররফ হোসেনের স্ত্রী আয়েশা সুলতানা। মঙ্গলবার (২৯... ...বাকিটুকু পড়ুন

কেমন হবে জাতীয় পার্টির মহাসমাবেশ ?

লিখেছেন শিশির খান ১৪, ০১ লা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:৫৬


জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বিক্ষুব্দ ছাত্র জনতা আগুন দিয়েছে তাতে বুড়ো গরু গুলোর মন খারাপ।বুড়ো গরু হচ্ছে তারা যারা এখনো গণমাধ্যমে ইনিয়ে বিনিয়ে স্বৈরাচারের পক্ষে কথা বলে ,ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ হওয়াতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

দ্বীনদার জীবন সঙ্গিনী

লিখেছেন সামিউল ইসলাম বাবু, ০২ রা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১২:১৩

ফিতনার এই জামানায়,
দ্বীনদার জীবন সঙ্গিনী খুব প্রয়োজন ..! (পর্ব- ৭৭)

সময়টা যাচ্ছে বেশ কঠিন, নানান রকম ফেতনার জালে ছেয়ে আছে পুরো পৃথিবী। এমন পরিস্থিতিতে নিজেকে গুনাহ মুক্ত রাখা অনেকটাই হাত... ...বাকিটুকু পড়ুন

জাতির জনক কে? একক পরিচয় বনাম বহুত্বের বাস্তবতা

লিখেছেন মুনতাসির, ০২ রা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৮:২৪

বাঙালি জাতির জনক কে, এই প্রশ্নটি শুনতে সোজা হলেও এর উত্তর ভীষণ জটিল। বাংলাদেশে জাতির জনক ধারণাটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ, যেখানে একজন ব্যক্তিত্বকে জাতির প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে মর্যাদা দেওয়া হয়। তবে পশ্চিমবঙ্গের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×