বাংলাদেশের মানুষ শন্তিপ্রিয়। সহনশীল। হাজার বছর ধরে এদেশে বিভিন্ন ধর্মের মানুষ শন্তিপূর্ণভাবে বসবাস করে আসছে। সকল প্রকার গোঁড়ামি, অন্ধত্ব দুর করে এদেশের মানুষ ধর্মীয় সম্প্রীতির দেশ হিসেবে সারা বিশ্বে পরিচিতি লাভ করেছে। কিন্তু এই শান্তির পরিবেশকে বিঘ্নিত করতে দেশে দু'টি শক্তি তৎপর। এই অশুভ শক্তি পরস্পরের শত্রু হলেও কাজে ও কর্মে সামনভাবে তারা অশান্তির বীজ বপন করছে। আর এই শক্তি দুটি হলো জেএমবি এবং ছাত্রলীগ।
নীচে দু'টি বিপরীতমুখী দলের মিলনাত্মক কাজের বিবরণ দেয়া হলোঃ
১। দু'টো দলই বাংলাদেশে সন্ত্রাসের হোতা।
২। দু'টো দলই তাদের স্ব-স্ব আদর্শের বিপরীতে কাজ করে চলছে।
৩। জেএমবি মাদ্রাসাগুলোকে অস্ত্রাগার এবং ছাত্রলীগ সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজগুলোকে মিনি ক্যান্টনমেন্টে পরিণত করে যাচ্ছে
৪। জেএমবি ইসলামের কথা বলে ইসলামের বিপরীত পথেই মানুষ হত্যা করে ইসলাম প্রতিষ্ঠা করতে চায়। অন্যদিকে ছাত্রলীগ ধর্মনিরপেক্ষতা ও গনতন্ত্রের কথা বলে ভিন্নমত ও গোষ্ঠীর ছাত্রদেরকে হত্যা করে চলেছে।
৫। জেএমবি দেশের সমস্ত আলেমদের মতামতকে উপক্ষো করে নিজেদের মতামতকেই প্রাধান্য দিয়ে সন্ত্রাস ও হত্যাকান্ড শুরু করে। পক্ষান্তরে ছাত্রলীগ সংগঠনের নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আহবান উপেক্ষা করে সন্ত্রাস চালিয়ে যাচ্ছে।
৬।জেএমবি-র কাজে ইসলামের সুমহান আদর্শের ক্ষতি হচ্ছে, ছাত্রলীগের কাজে দেশের শিক্ষাব্যবস্থার প্রতি হুমকী সৃষ্টি হযেছে।
৭। জেএমবি অস্ত্র উৎপাদন করার ক্ষমতা অর্জন করেছে অন্যদিকে ছাত্রলীগ দেশী অস্ত্র ও আগ্নেয়াস্ত্রের ভান্ডার গড়ে তুলেছে। সাম্প্রতিক সময়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে, জাবিতে আগেন্য়াস্ত্রসহ ধরা পড়েছে ছাত্রলীগ ক্যাডার, ১ এপ্রিল যশোর এম এম কলেজে রামদা দিয়ে ছাত্রলীগের আক্রমন প্রকাশ পেয়েছে।
৮। জেএমবি ইসলামের কথা বলে নিরীহ মুসলমানদেরকেই হত্যা করছে।
আর ছাত্রলীগ দখল ও নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার জন্য নিজ দলীয় ক্যাডার ও ছাত্রনেতাদেরকেই হত্যা করছে।
৯। জেএমবির তৎপরতায় আলেমসমাজ উদ্বিগ্ন, ক্ষুব্ধ। ছাত্রলীগের তৎপরতায় সাবেক ছাত্রলীগ ও আওয়ামীলীগ নেতারা ক্ষুব্ধ ও উদ্বিগ্ন।
১০। জেএমবি এবং ছাত্রলীগ উভয়ই চরমপন্থী কমিউনিষ্টদের সহযোগিতা পাচ্ছে।
১১। দেশের সমস্ত কওমী মাদ্রসাগুলো নজরদারী করা হচ্ছে। আর ছাত্রলীগের সন্ত্রাস ঠেকাতে বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজগুলোতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
Click This Link
এই মিলের মাঝে একটি পার্থক্য এখনও আছে সেটা হলো জেএমবিকে ধরতে প্রশাসন পুরো প্রস্তুত হলেও ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদেরকে তারা প্রচ্ছন্ন ও প্রকাশ্য সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে।
বস্তুত এই উভয় দলের কর্মকান্ডে দেশে যে আতঙ্ক ও অশান্তির সৃষ্টি হয়েছে তা থেকে দেশকে মুক্ত করতে হবে অবিলম্বে।
মানুষের মনে এখন আফসোস হায় ছাত্রলীগ দেশের কথা বুঝলিনা! হায় জেএমবি ধর্মের কথা বুঝলিনা!
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা এপ্রিল, ২০০৯ দুপুর ২:০৪