বিডিআর বিদ্রোহের নৃশংস ঘটনায় সমগ্র দেশবাসী অত্যন্ত শোকার্ত। ঘটনার বিভিন্ন বর্ণনায় দুইদিন আগের ও পরের মানুষের মতামত, সহমর্মিতা, আশা-আতঙ্ক ইত্যাদির পরিবর্তনও ঘটে গেছে। মিডিয়া এবং ব্লগেও এ পরিবর্তনের ছাপ ষ্পষ্ট। এ সব কিছুর পরেও কিছু প্রশ্ন চলে আসে ঃ-
১। রাগ ইমনের 'পিলখানার বাইরের প্রমান গুলো কি জড়ো করা যায় ?' নামক পোষ্টে 'মোসতফা মনির সৌরভ' -এর কথা দিয়েই শুরু করা যাক।
তিনি বলেছেন 'তিন ট্রাক আর্মির গাড়ীতে চোখবাঁধা জওয়ানদের নিয়ে যেতে দেখা গেছে' -কথাটি সত্য মনে হচ্ছে। কারন গতকাল বিকালে পল্লবীতে মিলাদের দাওয়াতে যাওয়ার সময় দেখলাম কিছু সাধারান মানুষ রাস্তা আটকিয়ে রেখেছেন। মিলাদ পরবর্তীতে এসে শুনি চোখ-হাত বাঁধা বিডিআর সদস্যদেরকে ক্যান্টনমেন্টে নেয়ার কথা জেনে তারা ব্যারিকেড দেয়।' ফেরার পথে দেখলাম বেনারসী পল্লীর প্রবেশ পথে শখানেক মানুষ জড় হয়েছে। ব্যাপারটি কি?
২। মিলাদটি ছিল সরকারের এক মন্ত্রীর মরহুম চাচীর। তার আত্মীয়রা ঐ সময় দ্রুত যার যার বাসায় চলে যেতে অনুরোধ করেন। তারা বলেন ক্যান্টমেন্টে জানাজায় উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। আর্মিরা সহজে মেনে নিচ্ছেনা সাধারণ ক্ষমা ঘোষণাকে। এমনকি সিনিয়র মন্ত্রীরা সেখানে না যাওয়াতে তারা আরো ক্ষিপ্ত হয়েছেন। বাসায় এসে এটিএন বাংলায় ক্ষিপ্ত এক সেনা কর্মকর্তার বক্তব্য দেখলাম। এ সংবাদ কি আর্মিকে ক্ষিপ্ত করে তোলার সহায়ক?
৩। বিরোধী দলীয় নেত্রী সাধারণ ক্ষমাকে কৌশলগত ভুল বলেছেন। ব্লগে ফিউশন ফাইভ বলছেন 'প্রাথমিক পর্যায়ে ২০-২৫ জনের মৃত্যুর পর সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করা হলে পরবর্তীতে আরো খুন করা হয় এবং রাতভর আবাসিক এলাকায় পরিবারের উপর নির্যাতন করা হয়। সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা ও আলোচনার পরেও কেন তারা এ ঘটনাগুলো ঘটালো?
৪। সেনাপ্রধান রাতেই দুইঘন্টা প্রধানমন্ত্রীর সাথে আলাপ করার পর জানানো হল স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল হবে। তাহলে কি সরকার সাধারণ ক্ষমার ব্যাপারটি বেশী ছাড় দেয়া মনে করছে?
৫। বিদ্রোহের দিন পযখন হেলিকপ্টার থেকে গুলি করা হল বা চক্কর দেয়া হল তখন কেন লাশের সারি দেখা গেলনা বা গনকবর দেখা গেলনা? আসলে ম্যাসিভ হত্যাকান্ডটি পরেই ঘটেছিল?
৬। বিডিআর সদস্যরা আত্মসমর্পনের পরে পালিয়ে গেল কিভাবে যখন বিডিআর দফতর আর্মি দ্বারা ঘিরে রাখা হয়েছিল?
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ দুপুর ২:০৯