এই লেখাটি মন্তব্য হিসেবে দিয়েছিলাম। এখন পোষ্টে লিখছি।
আমাদের স্বাধীনতার ইতিহাস নিয়ে বর্তমানে খুব বেশী চর্চা নেই। দশ-বারো বছর আগে যে ধরনের আলোচনা তর্ক-বিতর্ক চলতো এখনও ঠিক একই ভাবে তা চলছে। এখানে আবেগ দিয়ে অনেক কিছু র্নিধারিত হয়। অনেক ঘটনার তথ্য অজানাই থেকে যাচ্ছে। এখন মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে এদেশের কেউ তেমন কোন গবেষণা করেন না। কারণ গবেষণার অনেক উপাদান থাকলেও পক্ষপাতিত্বের অভিযোগে দুষ্ট। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষ এবং বিপক্ষ উভয় শক্তিই এখন দেশের জন্মের ইতিহাসের অজানা দিক, ঐতিহাসিক তথ্য সংগ্রহ, জানা এবং তা বিকশিত করার চেয়ে নিজস্ব অস্তিত্বের সংগ্রামে রত। অথচ গবেষণা হয় সবসময় ভুল-শুদ্ধ সবরকমের তথ্য সংগ্রহরে মাধ্যমে।
গবেষক সবসময় দ্বান্দিক তথ্য যোগাড় করে, আলোচনা করে তার সিদ্ধান্তে পৌছেন। কিন্তু তিনি কিভাবে তা করবেন, যখন তার মতামত কেউ সাদরে গ্রহণ করবে এবং অন্য কেউ তাকে নতুন অভিধায় ভূষিত করে তাকে বাদ দাও, ব্যান কর, বর্জন কর দাবী তুলবে? এই ব্লগেই দাবী করা হয়েছে যে কেউ মুক্তিযুদ্ধের শহীদ সংখ্যা নিয়ে কিছু গবেষণা করতে পারবেন না, কেউ যুদ্ধাপরাধীদের বিচার দাবী করলে অন্য কেউ তা নিয়ে নিজের বিরুদ্ধ মত প্রকাশ করতে পারবেন না। এভাবেই আমাদের ইতিহাসকে এক কেন্দ্রীকতায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। আর এজন্যই দু'পক্ষই তাদের নিজস্ব ধারনার বাইরে নতুন চিন্তা করার, আলোচনা করার, কথা বলার আর কিছুই পাচ্ছে না।
গবেষণার এ দৈন্যতা দুর করতে এখন এ ধরনের গবেষণা হচ্ছে আমেরিকার বিশ্ববিদ্যালয়ে। আমেরিকার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে একাত্তরের গণহত্যা বিষয়ে গবেষণার জন্য বিভাগ খোলা হয়েছে। তারা গবেষণা করবেন এবং আমাদের বিরুদ্ধ মত হলেও হয়তো আমরা তা সাদরে গ্রহণ করব। কিন্তু এ আলোচনা আমাদের দেশের কেউ করলে তা গ্রহণ করা হবে না। এভাবে কয়েকবছর পর হয়তো আমরা আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস শিখব আমেরিকার ছাত্রদের কাছ থেকে।
প্রবাদ বাক্য 'পরের বাড়ীর পিঠা খেতে বড় মিঠা'।