শহরের সব ল্যাম্প পোষ্ট সাদা, কালো, বেগুনী, হলুদ, নীল দু:খ;
পানের পিক, হেপাটাইটিস বি ,চুমুর গন্ধ ,দ্বন্দ বিভোর স্নান আখ্যান।
শুয়ে থাকা অসম প্রেম কমলাপুর ষ্টেশন, ধুসর স্মৃতি বারুদ স্তুপে,
সুবর্ন রেখায় ছেড়া পতাকায় নগ্ন শরীর ওহে দেশ আজ স্বাধীন।
শুনেছিস সেদিন শহরটা চুরি হয়েছিল সচেতন ফাউন্টেন পেনে।
জানিস ময়না বেগমের ছেড়া সম্বল একমাত্র কম্বল দহনে।
ইয়াসমিন, ফেলানী, বান বদ্ধ অর্ধ মৃত সরিসৃপ নখ দর্পনে।
নীল ওরনা না না সেদিন তো চৈত্র মাস ছিল, চৈত্র মাস কি, হুম চৈত্র মাস। --মহুয়া, সাথে প্রথম সিগারেট, প্রলয়মত্ত চা বাগান, অযাচিত আস্ফালন।
তুই জানিসনা, ধুর, না না, আচ্ছা শার্টের পকেটটা, আসাদের শার্টটা;
শাম্মির টিপটা আছে গত বছরের মাঘ মাসে ,হুম মাঘ মাস ছিল।
দেখিসনা দুধের জলে মিশে একাকার রাস্ট্র যন্ত্র কাগজে হাত কালি।
লম্ফ ঝম্প, রবিঠাকুরের গানাতঙ্ক, মন্দ নয় বিষ বাস্প, স্যাটায়ার যন্ত্র।
সেদিন তাহার শার্টের বোতাম ওর কাছে, উ হু তার কাছে,
আর টিপটা নুইয়ে পরে আঠাবিহীন পকেটে; কি যেন হুম কি যেন।
আচ্ছা শহরটা এমন কেন ,রাধাচুড়া, মগবাজারের তাজ, পুরান ঢাকা ।
আচ্ছা মানি ব্যাগে দেখনা বাবার ছবিটা আছে কিনা? হুম রক্ত মাখা;
হাত ব্যাগে, না না, কি সে জানি ,কোথায় জানি রেখেছি দলিল দেখিসনা?
ওরা বেঁচে আছে,মা ,বাবা; কি হল দিদি, না দিদি, কেন হবে তুই তো; তুই......পতাকা পত্রিকা সংবাদ তারপর সব শেষ,,,নগ্ন নদী লাল রক্ত;
যেন যোনী বেয়ে হর হামেসাই মাসিক পত্র, খা খেয়ে যা স্বাধীনতায়;
তবুও বলি, দিস না বলি, স্বাধীনতা বুঝি ওই যে তোর ঝরাপাতায়।
আরো কিছু বলতে পারতো হিমাংক কাকতাই হুম বরিশাল থেকে চাকতাই।
কম্পিউটার ফার্মের আদালতে চোখ জ্বালা করা সন্ধ্যা। হঠাৎ করে খবরটা রুদ্রের মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়ল। কি করবে করবেটা কি। হাতের শেষ কাজটা এখনও বাকি, তারপরও যেতে হবে যাক না হয় চাকরীটা।হিমাংক যে হাসপাতালে। কত না খোঁজা তাকে, কোথাও নেই, বরিশাল থেকে চাঁটগা। কত ভাবে কোথাও পাওয়া যায়নি গত তিন বছরে। অথচ বুক পকেটে হিমাংকের মুঠো ফোন সংখ্যা। বন্ধ ছিল হুম বন্ধ ছিল। হাসপাতাল থেকে ফোন এসেছে। এলো মেলো মাতাল প্রায় অবস্থায় । হিমাংকের মা যুদ্ধাক্রান্ত যোদ্ধা,বাবা হারিয়ে গেছে রামপুরা টিভি সেন্টারে সেই তো ২৫ মার্চে। দিদি হুম একমাত্র দিদি দগ্ধ শহরের সেলাই দিদিমনি আর পাঁচ দশ জন ফেলানী। আর হিমাংক আমার বন্ধু শৈরশাসক হাসপাতালে । সব খেল, বেঁচে গেল,ভিজে গেল স্বাধীনতা।
গল্পটা হয়তো আরো সংক্ষিপ্ত ছিল.. শুন্য স্থান পুরন করুন, নামতা পরুন তিন দুখানে ছয়...............
Painting: Kazi Abdul Baset Bangladesh
পন্ডারসেন, এনফিল্ড