Click This Link ২ মার্চ ১৯৭১, বাংলাদেশের পতাকা আনুষ্টানিক ভাবে উত্তোলনের দিন ।
Click This Link ৩ মার্চ ১৯৭১,ঘোষিত হলো স্বাধীনতার ইশতেহার .......।
Click This Link ৪ মার্চ,১৯৭১, বদলে গেল রেডিও পাকিস্হানের নাম ।
Click This Link ৫ই মার্চ ১৯৭১, কয়েদিরা জেল ভেঙ্গে যান শহীদ মিনারে ।
৬ই মার্চ ১৯৭১ । বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে সর্বাত্বক অসহযোগ আন্দোলনে উত্তাল সারাদেশ । পুরো দেশ পরিনত হয় মিছিলের দেশ হিসেবে ।
''জয় বাংলা - জয় বঙ্গবন্ধু '', ''বীর বাঙ্গালী অস্র ধর বাংলাদেশ স্বাধীন কর '' এই শ্লোগানে মুখরিত হতে থাকে কেন্দ্রিয় শহীদ মিনার, ঢা.বি. ক্যাম্পাস, পল্টন ময়দান আর ধানমন্ডির ৩২ নম্বর সড়কের বঙ্গবন্ধুর বাড়ী । সময়ের সাথে সাথে অসহযোগ আন্দোলনের গন্তব্যও স্পষ্ট হচ্ছিল । সবার মনে আকাঙ্খা কখন আসবে স্বাধীনতার ডাক । পরের দিন অথ্যাৎ ৭ ই মার্চ রেসকোর্স ময়দানের জনসভায় বঙ্গবন্ধু কি ঘোষনা দেন তার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিল সারা দেশ। একই সাথে আন্তর্জাতিক মহলের দৃষ্টি ও ছিল সেই দিকে ।
৭ ই মার্চের ভাষন ঠিক করতে এ দিন বঙ্গবন্ধু মিটিং করেন দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের সাথে ।
পুরুজাতি যখন স্বাধীনতার মন্ত্রে উজ্জীবিত তখনো বাঙ্গলীর স্বাধীনতার আকাঙ্খাকে নস্যাৎ করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ইয়াহিয়া খান । এ দিন হঠাৎ করে এক রেডিও ভাষনে ২৫শে মার্চ ঢাকায় জাতীয় পরিষদের বৈঠক বসবে বলে ঘোষনা দেন ।
ইয়াহিয়া পূর্ব পাকিস্হানী মুক্তিকামি জনতাকে ''দুষ্কৃতিকারি'' আখ্যা দিয়ে বলেন , জাতীয় ঐক্য বিনষ্ট হতে দেবোনা , ঐক্য বিনষ্টের যে কোন প্রচেষ্টা সেনাবাহিনী কঠোর হস্তে দমন করবে । কুখ্যাত জেনেরেল টিক্কা খানকে পূর্ব পাকিস্হানের গভর্নর হিসেবে ঘোষনা দেন ইয়াহিয়া ।
এ ঘোষনার সঙ্গে সঙ্গে রাজপথে নেমে আসে প্রতিবাদি ছাত্র- জনতা । স্বাধীনতার দাবী আরও জোড়ালো ভাবে উঠে আসে ।
বিকেলে বায়তুল মোকাররমের সামনে এক সমাবেশে মাওলানা ভাসানী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে সকলকে মুক্তিসংগ্রামে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহব্বান জানান ।
এ দিন সাংস্কৃতিক কর্মিরা ও রাজপথে মিছিল করেন । মিছিলে নায়ক রাজ্জাক , নায়িকা কবরি পরিচালক জহির রায়হানসহ জনপ্রিয় ব্যাক্তিরা অংশগ্রহন করেন ।
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই মার্চ, ২০০৯ ভোর ৬:০৮