অসংখ্য নিরপেক্ষ ও বিদেশী পর্যবেক্ষক এর বিবৃতি থেকেও পাকিস্তান বাহিনী ও তাদের এদেশীয় দোসরদের বিরুদ্ধে গনহত্যা মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ যুদ্ধাপরাধ পরিকল্পিত হত্যাকান্ড ধর্ষন ও অগ্নিসংযোগের ভুড়ি ভুড়ি প্রমান মেলে । বিদেশী সাংবাদিক ও পর্যবেক্ষক দের লেখা গুলো দুই কিস্তিতে এখানে তুল ধরছি । আজ পড়ুন প্রথম কিস্তি ।
দ্যা টাইমস পত্রিকায় পিটার হ্যাজেলহার্ষ্টঃ
লন্ডন ২ জুন , ১৯৭১ : ''প্রাপ্ত তথ্যে নিশ্চিত ভাবে প্রতিয়মান হয় যে , ২৬মার্চ ঢাকায় পাকিস্তান সেনাবাহিনীর আপারেশন ছিল সুসংগঠিত পরিকল্পনার অংশ যার উদ্দেশ্য হলো অধিবাসীদের মধ্যে আতংক সৃষ্টি করে বশ্যতা স্বীকার করানো । নিশ্চিত ভাবে এটা পাকিস্তান সরকারের ঐ দাবি কে অসার প্রমান করে যাতে বলা হয়েছিলো যে , '' পাক বাহিনী কেবল সশস্র প্রতিরোধ গড়ে তোলা বিদ্রোহিদের উপরই হামলা চালিয়েছে '' ।
ডেইলি টেলিগ্রাফঃ সায়মন ড্রিং
লন্ডন ৩০ মার্চ, ১৯৭১ ; '' সামরিক দমনাভিযানের ভয়াবহতা যথাযতভাবেই অনুধাবন করা যেতে পারে - ছাত্ররা তাদের বিছানায় মরে পড়ে রয়েছে , নারী ও শিশুরা তাদের বাড়ীতে জীবন্ত পুড়ে দগ্ধ ........''।
টাইম পত্রিকায়ঃ ড্যান কেগিন
লন্ডন ৩ মে , ১৯৭১ ; ''এক বৃদ্ধা জুমার নামাজকে কার্ফুর চাইতে অধিক গুরুত্বপূর্ণ মনে করেছিলেন । তাকে মসজিদে প্রবেশ করার সময় গুলি করে হত্যা করা হয় ''।
নিউজ উইকে ; টনি ক্লিফটন
২আগষ্ট, ১৯৭ ''এটা মনে হয়েছে যেন রুটিন মাপিক অনুরোধ , হালুয়াঘাট গ্রামের যুবকদেরকে জড়ো করা .... এক পাকবাহিনীর মেজর তাদের খবর দিলেন তার আহত সৈন্যদের জন্য রক্তের প্রয়োজন । তারা কি রক্ত দিতে পারবে ? যুবকদের চৌকিতে শুইয়ে তাদের শিরায় সুঁই ঢুকিয়ে দেয়া হয় এবং আস্তে আস্তে তাদের দেহ থেকে সব রক্ত বের করে নেওয়া হয় যে পর্যন্ত না তারা মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে ''।
মন্তব্য ঃ এর পর ও আমরা স্বাধীনতা বিরুধীদের ক্ষমা করবো ?
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে জানুয়ারি, ২০০৯ রাত ৮:৪৯