আধুনিক এনার্জি সেভিং বা এলইডি লাইট আসার আগে সবার
বাড়ি আলোকিত করতো গতানুগতিক ইনক্যান্ডিসেন্ট
বাল্ব। বেশি বিদ্যুৎ খরচ করতো। আলোও কম ছিল।
পরে টিউব লাইটকে ছাড়িয়েও জনপ্রিয় হয়ে ওঠে
আধুনিক এলইডি লাইট। সেই ফিলামেন্ট বাল্বগুলো
ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন নিষিদ্ধ করেছে সেই কবে।
কিন্তু তা আবারো ফিরিয়ে আনতে চাইছেন
গবেষকরা।
স্যামাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনলজির গবেষকরা
আগের ফিলমেন্ট বাল্বকে আরো বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী
করতে চাইছেন। এর জন্যে ফিলমেন্টকে বিশেষ
স্বচ্ছ কাচের কাঠামো দিয়ে ঢেকে দেবেন।
এতে বাড়তি এনার্জি ফেরত যাবে। বেশির ভাগ শক্তি
মূলত তাপ উৎপাদনে খরচ হতো। তার 'রিসাইক্লিং লাইট'
প্রযুক্তি ব্যবহারের কথা বলছেন। এ পদ্ধতিতে
উৎপাদিত শক্তি বাতাসে ছড়িয়ে যাবে এবং আবার
ফিলমেন্টে ফেরত আসবে। এতে আবারো
আলো উৎপাদিত হবে।
গবেষক প্রফেসর মারিন সলজাসিক জানান, ওই বাল্বে
যে এনার্জির অপচয় ঘটতো, নতুন পদ্ধতিতে তাকেই
আবারো কাজে লাগানো হবে। এসব বাল্বে আলো
উৎপাদনে মাত্র ৫ শতাংশ শক্তি ব্যয় হয়। বাকি ৯৫
শতাংশের অপচয় ঘটে। আধুনিক ফ্লুরোসেন্ট বা
এলইডি বাল্বে এনার্জি কাজে লাগে ১৪ শতাংশ। কিন্তু
নতুন পদ্ধতিতে সেই পুরনো বাল্বে ৪০ শতাংশ শক্তি
কাজে লাগবে। এর আলো আধুনিকগুলোর চেয়ে
অনেক বেশি প্রাকৃতিক বলে মনে হবে। কালার
রেন্ডারিং ইনডেক্সে পুরনো ইনক্যান্ডিসেন্ট
লাইটের রেটিং ছিল ১০০। দিনের বেলা প্রাকৃতিক
আলোয় যেমনটা দেখা যায়, এ লাইটে তেমটাই
দেখা যেত। কিন্তু আধুনিক এলইডি লাইটের রেটিং ৮০।
প্রধান গবেষক আইভান সেলানোভিক জানান,
পরীক্ষারত এই লাইটটি আগের ধারণার প্রমাণ। একই
পদ্ধতির প্রয়োগেই পারফরমেন্স বৃদ্ধি করা যায়। এ
বাল্বের একটি উল্লেখযোগ্য ফিচার হলো, এর
থেকে আদর্শমানের আলোর প্রায় কাছাকাছি
আলো পাওয়া গেছে। এর আলোর বৈশিষ্ট্যের
কারণেই বাল্বটি দীর্ঘকাল টিকেছিল।
আবিষ্কারক থমাস আলভা এডিসন প্রথমবারের মতো
বাণিজ্যিকভাবে এ বাল্বের পেটেন্ট করেন ১৩০
বছর আগে। ট্যাংস্টেনের সরু-পাতলা তারকে উত্তপ্ত
করা হয় প্রায় ২৭০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপে। এই প্রচণ্ড
গরম তার থেকে যা বের হয় তাকে বলা হয় ব্ল্যাক বডি
রেডিয়েশন। এখান থেকে এক উষ্ণ ও শান্তিময়
আলো ছড়িয়ে পড়ে যা প্রাকৃতিক আলোর মতোই
দেখায়।
এই বাল্বে একটাই সমস্যা ছিল। প্রচুর শক্তির অপচয়
ঘটতো। তাই ব্রিটিশ সরকার ২০০৭ সালে ঘোষণা দেয়
যে ২০১১ সালের মধ্যে এই লাইট উৎপাদন বন্ধ
করতে হবে। তবে কারখানায় ব্যবহারের অজুহাতে
এগুলোর উৎপাদন চলছিল।
আধুনিক বাল্বগুলোর ব্লু লাইট বেশ ক্ষতিকর। এই
আলো প্রযুক্তি যন্ত্রের পর্দা থেকে বের হয়।
এটি মস্তিষ্ক উত্তেজিত করে এবং এতে ঘুম আসে
না। তাই সেই আগের বাল্ব যদি আরো কার্যকর হয়ে
ফিরে আসে তবে তো কথাই নেই। সূত্র :
টেলিগ্রাফ ৷
আরও বিজ্ঞান প্রযুত্তি সম্পর্কে টিউনস পেতে
আমাদের ফেজবুক পেজে লাইক দিয়ে সাথেই থকুন ৷
আমাদের ফেজবুক পেজে এখানে ক্লিক করুন