হ্য এটা আর কোন দেশের কথা নয় আমাদের বাংলাদেশের কথাই বলছি।
আমি মাত্র কলেজে পরি দেশ-টেশ নিয়ে এতটা ভাবি না।কিন্তু গত কয়েকদিন আগে টিভি দেখে নিজের দেশের মানুষের উপর লজ্জা এসে গেল।
বিটিভিতে সংসদ অধিবেশন সরাসরি সম্প্রচার চলছিল, কখনও অধিবেশন তেমন একটা দেখা হয় না কিন্তু ঐ দিন আর চ্যানেল পরিবর্তন করতে পারলাম না।
দেখলাম একজন নারী সংসদ সদস্য খুব চিৎকার চেচামেচি করছেন আর ওদিকে স্পিকার বলে যাচ্ছেন “আপনাকে আগে-ই বলা হয়েছে এরকম ভাষা সংসদে বলতে দেয়া হবে না” কিন্তু সাংসদ চিৎকার করেই যাচ্ছেন, উনার মাইক পূর্বেই বন্ধ করা হয়েছে তবুও তিনি চালিয়ে যাচ্ছেন, এক পর্যায়ে অন্য একজন সাংসদ এসে উনাকে শান্ত করেন।
যেহেতু আমি ঐযায়গা থেকেই দেখা শুরু করেছিলাম তাই উনার চিৎকার করার কারন জানতে পারিনি কিন্তু স্পিকারের মন্তব্যে বুঝতে পেরেছিলাম যে উনি নিশ্চই অমার্জিত ভাষা ব্যবহার করেছিলেন।
যাই হোক উনার ব্যাবহার দেখে মনে হচ্ছিলো বস্তির কোন নারী তুমুল ঝগড়ায় লিপ্ত হয়েছে।
শুধু কি তাই,
স্পিকারের দেয়া সময়ের মধ্যে একজন সাংসদকেও নিজের বক্তব্য শেষ করতে দেখলাম না, এমনকি মাইক বন্ধ করে দেয়ার পরও অনেকে চালিয়ে যান।
কি এমন জরুরি কথা?
সরকার দলের সাংসদরা বিরোধী দলের আর বিরোধী দলেররা সরকারের সমালোচনাই করে যাচ্ছেন।
এছারাও সংসদে উনাদের বিভিন্ন উদ্ভট কান্ড কীর্তি মাঝে মাঝে রাতের সংবাদে দেখতে পাওয়া যায় যা দেখে মোটামুটি সার্কাস কিংবা কৌতুক দেখার শখ মিটে যায়।
উনাদের এই হাস্যকর কান্ড দেখে মনে কয়েকটা প্রশ্ন জাগলো,
কি দেখে আমরা উনাদের রাষ্টের সর্বোচ্চ পর্যায় সংসদে পাঠালাম?
আর কি জন্যই বা পাঠালাম?
যে দেশের সাংসদদের মধ্যে নিয়মানূবর্তিতা নেই সে দেশের সাধারন মানুষ কিভাবে নিয়ম মেনে চলবে?
বাইরে যাই হোক অন্তত সংসদ ভবনের ভেতর উনাদের কাছ থেকে এরকম ব্যবহার কাম্য নয়।
(আমি এই প্রথম ব্লগ লিখলাম তাই আশা করি পাঠক ভাষাজনিত এবং বানানজনিত ভুলগুলোর জন্য ক্ষমা করবেন এবং ধরিয়ে দেবেন)