অত্যন্ত শীতল ওই নক্ষত্রের নাম ট্রাপিস্ট-১। এ ধরনের কোনো নক্ষত্রকে কেন্দ্র করে কোনো গ্রহ থাকার বিষয়টি গবেষকেদের বিস্মিত করেছে। তাঁরা বলছেন, একটি নক্ষত্র হতে গেলে যে বৈশিষ্ট্য থাকতে হয়, এর খুব সামান্যই আছে ওই নক্ষত্রের মধ্যে। নক্ষত্রটির তাপমাত্রা সূর্যের অর্ধেক আর ভরের দিক থেকেও সূর্যের ১০ ভাগের ১ ভাগ। এর রং লাল। এটি বৃহস্পতি গ্রহের প্রায় সমান। পৃথিবী থেকে খালি চোখে কিংবা সাধারণ টেলিস্কোপ ব্যবহার করে দেখা প্রায় অসম্ভব।
ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজিসের গবেষকেরা ট্রাপিস্ট নামের টেলিস্কোপ ব্যবহার করে ওই নক্ষত্র ও গ্রহগুলো পর্যবেক্ষণ করেন। গবেষকেরা বলেন, ছোট ছোট এই নক্ষত্র ও কিছু বাদামি বামন নক্ষত্র দীর্ঘদিন টিকে থাকে। আমাদের মিল্কি ওয়ে ছায়াপথে এ ধরনের অনেক নক্ষত্র দেখা যায়।
গবেষকেরা বলছেন, নক্ষত্রটিকে ঘিরে যে গ্রহগুলো আছে, তা যে পরিমাণ তেজস্ক্রিয়তা গ্রহণ করে, তা সূর্য থেকে পৃথিবী যে পরিমাণ তেজস্ক্রিয়তা গ্রহণ করে তার চার গুণ। অর্থাৎ, এসব গ্রহ ‘হ্যাবিটেবল জোন’ এর মধ্যে পড়ে। হ্যাবিটেবল জোন হচ্ছে, কোনো গ্রহ যে নক্ষত্রকে কেন্দ্র করে ঘুরতে থাকে, তা থেকে গ্রহের দূরত্ব, তাপমাত্রা, পানি থাকার সম্ভাবনা বা প্রাণের উদ্ভব ঘটার সম্ভাব্য অঞ্চল।
গবেষকেরা বলছেন, পৃথিবীসদৃশ তিনটি গ্রহের মধ্যে দুটি গ্রহ নক্ষত্রের কাছাকাছি থাকায় এগুলোতে পৃথিবীর মতোই দিন ও রাতের প্রক্রিয়া চলে।
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই মে, ২০১৬ বিকাল ৫:১৬