বিএ পাস করেও এক যুবক দীর্ঘদিন ধরে
চাকরি পাচ্ছে না। মামা-খালুর জোর
না থাকলে কি আর আজকাল চাকরি হয়?
হঠাৎ একদিন চিড়িয়াখানায় তার
একটা চাকরি হয়ে গেল।
চিড়িয়াখানার বাঘটা হঠাৎ করে
মারা যাওয়ায় খাঁচাটা শূন্য পড়ে
আছে।
কর্তৃপক্ষ বলল, তুমি যদি খাঁচার ভেতর
একটা বাঘের পোশাক পরে বাঘের
মতো তর্জন-গর্জন দিতে পার, তাহলে
মাসে আট হাজার টাকা পাবে।
অগত্যা বেকার ছেলেটা তাতেই
রাজি।
রোজ চিড়িয়াখানা খোলার আগে সে
বাঘের পোশাক পরে খাঁচায় ঢুকে
পড়ে। দর্শক এলে তাদের তর্জন-গর্জন ও
আরো নানা কায়দা-কুসরত দেখিয়ে
ভীষণ আনন্দ দেয়। দেখতে দেখতে
চিড়িয়াখানার দর্শক বেড়ে গেল।
বাঘের খাঁচার সামনে বিরাট ভিড়।
চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষও খুশি হয়ে বেতন
বাড়িয়ে দিল।
ভালোই চলছিল দিন। হঠাৎ একদিন
হলো বিপত্তি। বাঘের খাঁচার পাশেই
ছিল সিংহের খাঁচা। দুই খাঁচার মধ্যে
একটা লোহার জালের বেড়া। একদিন
সেই বেড়া ধরে লাফিয়ে নেচে-কুদে
মজা দেখাতে গিয়ে পুরনো বেড়া
ভেঙে সে গিয়ে পড়ল সিংহের খাঁচার
ভেতর। এখন কী হবে? পৈতৃক প্রাণটা বুঝি
আজ সিংহের হাতেই গেল। ভয়ে জবুথবু
হয়ে খাঁচার এক কোণে বসে দোয়া-দরুদ
পড়তে লাগল বেচারা।
এদিকে সিংহটাও কিছুক্ষণ চুপ করে বসে
থেকে ধীরে ধীরে উঠে দাঁড়াল।
তারপর আস্তে আস্তে এগিয়ে আসতে লাগল
তার দিকে। ভয়ে তো তার প্রায় হার্ট
অ্যাটাক হওয়ার জোগাড়। এদিকে
সিংহটা একেবারে কাছে চলে
এসেছে। প্রাণের মায়া ছেড়ে দিয়ে
ছেলেটা যখন উঠে দাঁড়াল, ঠিক তখন
সিংহটা বলে উঠল, ভাই, এত ভয় পাবেন
না, আমিও বাংলায় অনার্স।