রোজ রোজ রাত জেগে ফেসবুক করো না,
মধ্য বয়সের আগে বুড়ো ভাম হয়ো না।
টগবগে যুবকের পীঠ কেন কুজো হয়?
পনেরয় ডাক্তার চশমা লাগাতে কয়!
টেনশানে আয়ু শেষ আহহারে ফেসবুক,
দাদু নানুদের মত চোয়ালটা ভাঙা মুখ।
পেজে পেজে ঘোরাফেরা কেন আজ কি কারন?
এলো এলো এই বুঝি এলো নোটিফিকেশন!
হলো বুঝি ভাইব্রেট চেক করা বারেবার
ভয়ানক আসক্তি বলেছেন ডাক্তার।
কমোডেও বসে বসে চলছে ভিডিও চ্যাট
নাওয়া খাওয়া ঠিক নেই এ যে বড় সংকট।
ক্লাস শেষে কলেজে অফিসেও যেতে লেট,
বাথরুম চেপে রেখে স্ট্যাটাস আপডেট।
পোস্ট দিয়ে বসে থাকা হা করে সারাক্ষণ,
লাইক পেলে হাসি ফোটে কমেন্টে ভরে মন।
দু-জনার একই ঘর নামে এক বিছানা,
দিন যায় মাস যায় হু হা ছাড়া কথা না।
ঘরে ঘরে অশান্তি প্রাইভেসি নিয়ে আজ,
কত ঘর ভেঙে গেল বলতেই লাগে লাজ।
দুই দিকে মুখ করে প্রতি রাত কেটে যায়,
কথা কাটাকাটি শুধু কে কার দোষ পায়।
খুব সাবধানে হাটো অনলাইন সরণী,
প্রয়োজন ছাড়া নয় ফেসবুক কলোনি।
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে মে, ২০১৯ সকাল ১১:০৫