পায়ে হেঁটে ফিরত বাড়ি, হঠাৎ শুনি তিনটি গাড়ি
কদিন আগেও পাড়ার মোড়ের চায়ের দোকানদার,
কলার ধরে তিরিশ টাকা, আদায় করল চোখে দেখা
বল্ল আরো- যারে ব্যাটা, পাবি না বাকী আর।
ঘরে তিনটি ছেলে মেয়ে, দিন কেটে যায় খেয়ে না খেয়ে
বউটা করে বাসায় বাসায় বুয়াগিরির কাজ,
আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ সে, বনানীতে বাড়ি আছে
যার তাঁর সাথে কথা বলার সময় নেই তাঁর আজ।
ফোনের পরে ফোন বারেবার, মনে হচ্ছে আজব কারবার
ছেলে মেয়েরা চড়ে বেড়ায় পৃথক পৃথক গাড়ি,
শুনছি নাকি আগামী মাসে, গুলশান দুইয়ের লেকের পাশে
কিনতে যাচ্ছে আরও একটি বিলাশ বহুল বাড়ি।
সবাই বলে ব্যাপার আজব, পাড়ার লোকে ছড়ায় গুজব
আলাদিনের চেরাগ ছাড়া কেমনে এত টাকা?
নামি দামী হোটেলে সে, কি জানি কি মিটিং করে
পাড়ার মোড়ে ভুলেও তারে, যায়না যে আর দেখা।
সে দিন দেখি কাগজ জুড়ে, অনেক লেখা তাকে নিয়ে
বিখ্যাত আজ হয়ে গেছে ছিল হাবা গোবা,
পেপার পড়েই জানা গেল, এত টাকার উৎস ছিল
যুব সমাজ ধ্বংসকারী সর্বনাশা বাবা।
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই মে, ২০১৯ রাত ১১:১১