খুশির ব্যাপার হত যদি এই গানটির প্রাসংগিকতা যদি না থাকত বা ফুরিয়ে যেত । কিন্তু হায় আমরা কেমন বর্বর হয়ে যাচ্ছি দিনকে দিন । নোয়াখালির মিলনকে যেভাবে পুলিশের সহায়তায় গনপিটুনি দিয়ে হত্যা করা হয় কিংবা আমিনবাজারের ঘটনা ? কবীর সুমনও নিশ্চয়ই এই গানটির এই সময়োপযোগিতা দেখে খুশি হবেন না ।
‘একখানা ইট যদি পাওয়া যেত
নোংরা মুখটা করতাম থেতো’
ভাবতে ভাবতে গেল একজন
ক্ষত-বিক্ষত ছেলেটার কাছে ।
যেন দুজনের শত্রুতা আছে ।।
তলপেটে লাথি কয়েক ডজন
কষানোর পর আরো একজন,
হাঁপাতে লাগল দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে
ক্ষত-বিক্ষত ছেলেটার কাছে ।
যেন দুজনের শত্রুতা আছে ।।
চেলাকাঠ দিয়ে ফাটানো মাথা,
দেখতে দেখতে শার্টের হাতা
গুটালেন যিনি তিনিও মানুষ ।
ক্ষত-বিক্ষত ছেলেটার মুখে
থুতু ফেললেন একটু ঝুঁকে ।
নাকমুখ দিয়ে গড়ানো রক্ত
দেখতে দেখতে শক্তপোক্ত;
একজন দেন টীকাটিপ্পনি,
ক্ষতবিক্ষত ছেলেটার কানে
ঢুকল কতটা ভগবান জানে ।
সিগারেটে দুই উরুতে ছ্যাকা
দগদগে পোড়া চামড়া দেখা
উতসুক মাছি বসেছে তাতে
ক্ষতবিক্ষত ছেলেটার পেটে
কে যেন দিয়েছে মাংস কেটে।
ডটপিন দিয়ে খোঁচানো চোখে
শহরের হাওয়া গন্ধ শোঁকে
গণপিটুনির আজব গন্ধ ।
ক্ষতবিক্ষত ছেলেটার গালে
পথচারি তার দেশলাই জ্বালে ।
প্যাঁচ দিয়ে দিয়ে ভাঙ্গা দুই হাত
উপড়ানো নখ, উপড়ানো দাঁত
উদাসীনভাবে দেখেছে লোকে
ক্ষতবিক্ষত ছেলেটার লাশ ।
দেখছে জনতা, বলছে সাবাশ ।।
মাঝে মধ্যেই এখানে ওখানে
পিটিয়ে মারার ব্যস্ত শশ্মানে, পুড়ছে কে?
প্রশ্ন অনেক, উত্তর নেই
এই অসহ্য সময়টাকে কাঁদতে দে ।
মাঝে মধ্যেই এখানে ওখানে
পিটিয়ে মারার ব্যস্ত শশ্মানে, পুড়ছে কে?
প্রশ্ন অনেক, উত্তর নেই
এই অসহ্য সময়টাকে কাঁদতে দে ।
কাঁদতে দে, কাঁদতে দে
কাঁদতে দে, কাঁদতে দে।।
(লেখা, সুর ঃ কবীর সুমন, গায়কও তিনি)
গানটি লেখাতে চোরকাঁটার ন্যায় ভুল থাকলে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টি প্রার্থনীয় । গানটির ডাউনলোডের লিঙ্কঃ
১। মিডিয়াফায়ার লিঙ্ক
www.mediafire.com/?yyytawm35zw
২। আরেকটি লিঙ্ক
View this link
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ১১:৪৮