somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ব্রেস্ট স্টুডেন্ট (কিঞ্চিত লুলীয় পোস্ট)

১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১১ সকাল ১১:০২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

যখন সাভার ক্যান্টনমেন্ট পাব্লিক স্কুল এন্ড কলেজে ক্লাস নাইনে উঠলাম তখন আমাদের স্কুলের ইংলিশ টিচার আইরিন ম্যাডাম জয়েন করেন। বিপদজনক সুন্দরীX((। একজন সেনা কর্ম কর্তার বিবাহিত স্ত্রী। বিভিন্ন কারনে আইরিন ম্যাডামেরে সবাই ভয় পায়-আমিও ভয় পাই। ম্যাডামের শালীও আমাদের ক্লাসমেট-তার দিকেও আমরা তাকাইনা ডরে। একবার কোনো এক সিনিয়র ছাত্র একটি চিঠি ছুড়ে মেরেছিল-তারপর সেই ছাত্রকে ওর ভাই চরম প্যাদানী দিয়ে স্কুল থেকে বহিস্কার করায়/:)। দুস্টু পোলাপাইন ম্যাডামেরে খেতাব দিয়েছে “রাস্ট্রদূত”:P-বিষয়টা ম্যাডামের কানেও যায় তার শালীর মাধ্যমে। নাম করনের কারন স্বার্থকতা প্রমানিত...। ম্যাডাম ক্লাসে আসার আগে কোনো এক দুস্ট বালক ব্লাক বোর্ডে বড় করে লিখে রাখে- “রাস্ট্রদূত" :)”।

রাস্ট্রদূত ম্যাডাম ক্লাসে ঢুকেই প্রশ্ন করে- কে লিখেছে?
সবাই বোবা হয়ে আছি। বোবা হলেইতো শেষ রক্ষা হয়না! আমাদের স্কুলে প্রতি বছর প্রতি ক্লাসে একজন স্টুডেন্টের বিভিন্ন গুনাবলী বিবেচনায় “বেস্ট স্টুডেন্ট” ডিকলার করাহোত। সেই বেস্ট স্টুডেন্ট আমি হয়েছিলাম পরপর দুইবারB-)। একই সংগে আমি ক্লাস ক্যাপ্টেন-দ্বায় দ্বায়িত্ব সব আমার উপড় পরে। ব্লাক বোর্ডের লেখককে ধরতে নাপেরে পুরা ক্লাস টাইম আমাকেই বেঞ্চের উপড় কান ধরে দাঁড় করিয়ে রাখে।:((

আমাদের ক্লাশ রুমগুলো U টাইপ।ক্যাপ্টেন হিসেবে আমি বসতাম একদম স্যারদের পাশের সীটে। যখনই আমি বেঞ্চীর উপড় দাড়াই আমার চোখ পরে আইরিন ম্যাডামের বুকের উপর! ব্লাউজ ভেদ করে তার শরিরের অতিশয় সেন্সেটিভ অংশের অনেকখানি বেরিয়ে আসা দৃশ্যটি আমাকে এতই অভিভূত করলো যে মনেমনে বললাম-ইয়া পরওয়ারদিগার এই দাঁড়িয়ে থাকা যেনো কোনো দিন শেষ নাহয়:P। কিন্তু ৫০ মিনিট সময় যেনো পলকেই শেষ হয়ে গেল:((!

ছাত্ররা ভয় পেয়ে কেউ ম্যাডাম সম্পর্কে আর কিছু বলেনা। এবার আমিই শুরু করি দুই নম্বরী। নিজেই ক্লাসে ঢুকে সবার অগোচরে ২/১টা অশ্লীল শব্দ লিখি। যথারিতী আমিই শাস্তি ভোগ করি-আর মজা করে ম্যাডামের উন্মুক্ত অংশদেখি। আমি কৌশল করে এমন ভাবে কান ধরে দাড়াই যাতে অন্য কেউ না দেখে-আমি কী সৌন্দর্য্য উপভোগ করি:P! শুধু ঐ নিষিদ্ধ জিনিষ দেখার জন্য আমি ম্যাডামের দেয়া হোমওয়ার্ক মিস করা শুরু করলাম। যথারিতী শাস্তি সরুপ আমাকে কান ধরে বেঞ্চের উপর দাঁড়িয়ে থাকার নির্দেশ। আমি শুধু অপেক্ষা করতাম-কখন আমাকে শাস্তি দেবে। মাঝে মাঝে ম্যাডামের শাড়ির আঁচল আরো একটু নেমেগেলে আমি আরো একটু বেশী দেখে শিহরিত হতাম:P। নিষিদ্ধ সৌন্দর্য ভক্ষণ একাকী উপভোগ করে মজা নেই-তাই বিশয়টা ২/১ জন ইয়ার দোস্তদের সাথে শেয়ারও করি। বন্ধুরা আমাকে “ব্রেস্ট স্টুডেন্ট”;) নামে ডাকা শুরু করে। বিভিন্ন উসিলায় এখন আমি নিয়মিত শাস্তি নেই আর মনে মনে ভাবি-এটাই আমার স্বর্গ! কিন্তু স্বর্গে থাকা বেশী দিন স্থায়ী হলোনা:((। ম্যাডাম টের পেলেন বিষয়টা-এমনকি আমার ‘ব্রেস্ট স্টুডেন্ট’ নামকরনও! ক্যান্ট পাব্লিক স্কুল-কলেজ জীবনের পরের কাহিনী আর নাবলি।

জাবি’তে ভর্তি হলে আমার সহপাঠীদের মাধ্যমে আমার ‘ব্রেস্ট স্টুডেন্ট’ টাইটেল চাউর হয়ে যায়! ফলে বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে আমি কোনো মেয়ে বন্ধু যোগার করতে পারিনি:((। কেউ কাছাকাছি এলেই আমার টাইটেল সম্পর্কে জেনে সবাই কেটে পরে।বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বের হবার আগে আগে একজনের সাথে কিছুটা ঘনিষ্ট হয়েছিলাম-তিনিও মাশাআল্লাহ আইরিন ম্যাডামের মতই। সেই মেয়েটাকে সবাই “পাকনা কাডাল” :-/টাইটেল দিয়েছিল। হয়ত তাকে কেউ পছন্দ করতোনা অথচ বয়সের ভারে পেকে কাঠাল হয়েগিয়েছিল। ঐ পাকনা কাডাল’ টাইটেলের জন্যই আমিও সবার সামনে তার সাথে মিশতামনা।
চাকরী জীবনে ডেনমার্কের দুইজন লেডি বায়ারের সাথে কাজ করার সৌভাগ্য হয়। ওদের দেখেই অনূমান করতে পারি ডেনমার্কের গরু/দূধের জন্য কেন বিখ্যাত:D! যেনো আমার সামনেই ডেনমার্কের বিখ্যাত দুটি গাই......।

প্রেম থেমে থাকেনা-চলে বহতা নদির মত। আবার একজনকে মনে ধরে।দুজনেই দুজনকে পছন্দ করি।তাকে নিয়ে ২/১বার ব্লগ আড্ডায়ও যোগ দিয়েছি-অনেকেই ভাল বলেছে। আমার ভাগ্য এবারো আমাকে বঞ্চিত করেনি-তিনিও ডেনমার্ক সাইজ! কিন্তু বিধিবাম-তাঁর একটাই কথা, বিয়েরপর সে আমাদের সাভারের বাড়িতে আমার মা-ভাই-বোনদের সাথে থাকবেনা। বিষয়টা আমার পক্ষে মেনে নেয়া সম্ভব হয়নি। অবশেষে আল বিদা!:((

আমার বিয়ের জন্য মা সব সময়ই উদ্ববিগ্ন। শেষ পর্যন্ত মায়ের পছন্দে এক কণে দেখতে রাজী হই। মা, ভাই-বোন এবং আমার এক বন্ধুকে নিয়ে বিজয় দিবসের রাতে রেডিও কলোনীর এক বাসায় কণে দেখতে যাই। কনে দেখে সবাই পছন্দ করেছে। আমারও অপছন্দের নয় কিন্তু আমার মনের ভিতর একটা পয়েন্ট খোঁচাচ্ছে...কি করে বারবার আমার ভাগ্যেই ফিরে আসে......:P

বন্ধুটি কানে কানে বলে-পল্টু তোর ব্রেস্ট ভাগ্য:D চিরদিনের......! কণে সম্পর্কে বন্ধুটি আরো একটা কথা বলেছে:P-যা কাউকে বলা যাবেনা......
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই মার্চ, ২০১২ দুপুর ১:৫৯
৫৯টি মন্তব্য ৫৫টি উত্তর পূর্বের ৫০টি মন্তব্য দেখুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আসলেই কি নির্বাচন হবে?

লিখেছেন আবদুর রব শরীফ, ০১ লা এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ১০:২৩

আপনারা যদি নির্বাচনের পর সংস্কার সত্যি করতে পারবেন তাহলে ৫৩ বছর পারেননি কেনো?

- উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসান

এই যে কয়েকদিনের মধ্যে এই কথাগুলো উঠছে এর মানে হলো আপাতত নির্বাচন হচ্ছে না ভাই।... ...বাকিটুকু পড়ুন

শেখ হাসিনার মডেল মসজিদ প্রকল্প: ভণ্ডামির আরেক নমুনা

লিখেছেন নতুন নকিব, ০১ লা এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ১১:৫৪

শেখ হাসিনার মডেল মসজিদ প্রকল্প: ভণ্ডামির আরেক নমুনা

রংপুর জেলা প্রশাসক অফিসের সামনে তৈরী মডেল মসজিদের ছবিটি উইকি থেকে নেওয়া।

বাংলাদেশে ইসলামের নামে নানা প্রকল্প বাস্তবায়ন হলেও বাস্তবে তার অনেকগুলোই... ...বাকিটুকু পড়ুন

AI-এর লগে গ্যাঁজাইলাম =p~

লিখেছেন জটিল ভাই, ০১ লা এপ্রিল, ২০২৫ বিকাল ৪:১২

♦أَعُوْذُ بِاللهِ مِنَ الشِّيْطَانِ الرَّجِيْمِ (বিতাড়িত শয়তান থেকে আল্লাহ্'র নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করছি)
♦بِسْمِ ٱللَّٰهِ ٱلرَّحْمَٰنِ ٱلرَّحِيمِ (পরম করুণাময় অসীম দয়ালু আল্লাহ্'র নামে)
♦ٱلسَّلَامُ عَلَيْكُمْ (আপনার উপর শান্তি বর্ষিত হোক)


(স্ক্রিনসট)

সামহোয়্যার ইন ব্লগ... ...বাকিটুকু পড়ুন

লালন সাঁইজির আধ্যাতিকতা,পরিচয় ও মানবতাবাদ

লিখেছেন রাবব১৯৭১, ০১ লা এপ্রিল, ২০২৫ বিকাল ৪:৪০

লালন সাঁই ছিলেন একজন বাউল সাধক, দার্শনিক ও মানবতাবাদী। তাঁর আধ্যাত্মিকতা মূলত গুরু-শিষ্য পরম্পরা, সাধনা ও অন্তর্জ্ঞানভিত্তিক। তিনি ধর্ম, জাতি, বর্ণভেদ মানতেন না এবং বিশ্বাস করতেন, "মানুষের ওপরে কিছু নাই।"... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার ছোট কালের ঈদ।

লিখেছেন নাহল তরকারি, ০১ লা এপ্রিল, ২০২৫ রাত ৯:০৫



ঈদ মানেই ছিল নতুন জামা, নতুন টাকা আর আনন্দের ঝলক। ছোটবেলার সেই ঈদগুলো এখনো স্মৃতির মণিকোঠায় জ্বলজ্বল করে।



আমার নানা সোনালী ব্যাংকে চাকরি করতেন। আমি তখন... ...বাকিটুকু পড়ুন

×