প্রিয় ছাত্রশিবির ভাইরা
পত্রের প্রথমেই আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জানাই রগকাটা শুভেছহা।আশা করি আপ্নারা সবাই ভালই আছেন , যদিও হাসিনা আসার পর আপনারা কিছুটা দৌড়ের উপর আছেন । যেখানে সেখানে জঙ্গি বলে আপনাদের ধরা হচ্ছে। শেষ ১২ মার্চের সমাবেশে আপনাদের বেলুন উড়তে দেখা গেছে সগর্বে, তবে মনে হয় বেলুন টা সমাবেশে আসার পড়ে ফুলাইসিলেন।যাই হোক যে কারনে আপনাদের পত্র লেখা তা ইক্টু মনোযোগ দিয়ে পরবেন আশা করি
ইসলামী ছাত্র শিবির সম্পরকে আমার ধারনা ক্লাস সিক্সে থাকতে ।স্কুলের আসে পাসে কিছু বড় ভাই গোছের মযনুষ নামাজ , কালামের কথা বলতেন টিফিনের সময় ছাত্র দের জন্য স্বতন্ত্র জামাতে নামাজে পড়তেো যেতে উতছসাহিত করতেন , অনেকদিন মনে হয় নামাজ পরাও হয়েছিল । আপনাদের কথাবার্তা আমার খুবি ভাল লাগত , একদিন ফরম ধরায় দিলেন বললেন সদস্য হইতে , আমিও রাজি হইয়া গেলাম আপনাদের কিশোর কণ্ঠ পত্রিকা টা পড়ে ভালই লাগসিল তাই ।পরের দিন বাসায় বললাম বাপেরে , বাপে এক কথায় না কইরা দিল, ছোট মানুষ বেশি কিছু জানতাম না । কিন্তু না পাওয়া জিনিসের প্রতি কৈশোরে আগ্রহ থাকে বেশি তাই না জানাইয়া ফরম পুরন কইরা দিলাম। কিছু বই পাইলাম ,রুটিন পাইলাম , নামাজ কয় অক্ত পরসি তা লেখার লাইগা । ছোট বেলা থাইকা রুলস রেগুলেশন ভাল লাগে না ,ডেইইলি নামাজ পড়তে হইব ,তা আবার রুটিনে লিখতে হইব ,মিথ্যা কথা কিভাবে লিখব , তাই কিছুদিন পর থাইকা বড় ভাইদের দেক্লেও না দেখার ভান করতাম কিংবা পলাইতাম। সেই থেকে আপনাদের সাথে আমার দেখা সাক্ষাত বন্ধ।
এর পর অনেকদিন কেটে গেসে এখন ভার্সিটিতে পড়ি , এতদিনে আপনাদের সম্পরকে অনেক জেনেছি । আপনারা নাকি রগ কাটা , বিভিন্ন জায়গায় পোলাপাইনের রগ কাইটা দিসেন বহুত গ্যাঞ্জাম নাকি করেন। বড় হইসি এখন ইক্টু বুঝি। কৈশোরে মাযহে নাস্তিকতা শুরো, পুড়া নাস্তিক যৌবনের শুরুতে। এই কিছুদিন আগে আস্তিকতার মঝে বসবাস। ইসলাম কে উপ্লভধি করার সুযোগ হয়েছে কিছুটা । তার পর থেকে বলতে পারেন আপনাদের কিছুটা পছন্দ করি , কিন্তু আপনাদের নেতা দের নয়।

ইসলামী ছাত্র শিবিরের উদ্যেশ্য , আদর্শ যা বলে তা থেকে আপনাদের খারাপ বলার কোন পথ নেই। কিন্তু আপনারা খারাপ এই কারনে যে আপনারা জামায়াত ইস্লামির এক সংগঠন যারা বিতর্কিত তাদের কর্মকাণ্ড নিয়ে ।
ম্যস লেবেলের জামায়াত ো ছাত্র শিবিরের ছেলে পেলে দের একটি ধারনা একাত্তরে নিজামি ,মুজাহিদ; সাইদি যা করে ছিলেন তা ধর্ম বাঁচাতে । ইসলাম কে রক্ষা করতে । কিন্তু ইসলাম কোন অপরাধের প্রমান ছাড়া কোন হত্যা কে সাপোর্ট করে না । যেখানে একাত্তরে পুর ব্যাপারটাই ছিল রাজনৈতিক। ধর্ম কে ঢাল হিসাবে ব্যাবহার করে তার ফায়দা তুলতে চেয়েছিল। যেখানে ২৫ মার্চের গনহত্যাও তাদের মনে কোন দাগ ফেলতে পারেনি ।ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সূর্য শেন হলে অবিচারে হিন্দু ছাত্র দের হত্যা কোন খালিফাতের আদর্শে করা হয়েছিল তা নিয়ে তাদের কোন প্রস্ন ছিল না । শত গনহত্যা অবিচার তাদের মনে প্রশ্ন করে নি । কারন তারা ছিলেন রাজনৈতিক স্বার্থপর ।সেখানে ধর্মের কোন স্বার্থ ছিল না ছিল কেবলি ব্যাক্তি স্বার্থ । এবং যেই স্বার্থপরতা আমরা বর্তমান আওয়ামীলীগ , বিএনপির মাঝে দেখে থাকি । ক্ষমতার লড়াই । কিভাবে ক্ষমতায় যাওয়া যায় তা নিয়ে যুধ তা যে কোন মুল্যেই হোক।
মানুষের সেবা থেকে রাজনিতি আজ ব্যাবসার জায়গা । এখন আর কেউ সেবা করতে আসে না আসে ব্যাবসা করতে ।
আমার ব্যাক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে শিবিরকে আমি পছন্দ , অন্য যে কোন ছাত্র সংগঠন থেকে । আদর্শ এবং সদস্যদের একাগ্রতা এখানে অনেক বেশি। এবং বাংলাদেশে সত্যিকারের ইস্লামিক শাসন ব্যাবস্থা অ খিলাফত প্রতিষ্ঠা করার উদ্যেশ্য নিয়ে আপনাদের জাত্রা পথে '' জামায়াত
ইসলামী " আর নিজামি মুজাহিদের নাম সরিয়ে নিলেই মহান উদ্যেশ্য বাস্তবায়ন হবে বলে আমার বিশ্বাস।
রগ কেটে নয় ভালবেশেই পরিবরতন সম্ভব
-- শিবিরের নতুন প্রজন্মকে ক্ষমতায় আসতে হবে
-- নিজামি , মুজাহিদ যারা আসলেই অপরাধি ছিল তাদের বিচারের বিরোধ না করা
-- জামায়াত ইস্লামির কলঙ্ক ময় অধ্যায় থেকে নিস্তার ।
দেশের সংস্কৃতি আজ পাশ্চাত্য নগ্নতায় উদ্বেলিত ,মানুষের মাঝে নেই নৈতিকতার আদর্শ,রাজনিতির মাঠ আজ ব্যাবসায়িদের নিয়ন্ত্রণে । ধিরে ধিরে দংশ হয়ে যাচ্ছে ধর্মীও মুল্যবোধ । ইসলাম নিয়ে কথা বললে আজ জঙ্গি বলা হয়। তাই পেছনের সব গ্লানি ভুলে নতুন সপ্ন দেখতে হবে
যা আসলেই বাস্তব হবে
যদি শেষ পরযন্ত পড়ে থাকেন তাহলে আপনাকে এক গুচ্ছ অদৃশ্য লাল গোলাপের শুভেচ্ছা।
সকলের উপর সান্তি বর্ষিত হোক