প্রতি নিয়ত বদলে যাচ্ছে ৫৫০০ বছর আগে গড়ে উঠা মানবসভ্যতার সেই ইতিহাস । আর প্রতি মিনিটে মিনিটে শুরু হচ্ছে মানবসভ্যতার নতুন নতুন ইতিহাসের। চলুন সেইসঙ্গে ৮০০০ বছর আগের ইতিহাসও জেনে নিই।
কিছু তথ্যে দেখা যাচ্ছে সিন্ধুসভ্যতা আদতে মিশরীয় সভ্যতার থেকেও প্রাচীন। আর সিন্ধু নদকে কেন্দ্র করে এই নগরসভ্যতা অন্তত ৮০০০ বছরের প্রাচীন! যদিও মানবসভ্যতার ইতিহাস বলছে প্রায় ৫৫০০ বছর আগেই এই সভ্যতা ডানা মেলেছিল। যদি ৮০০০ বছরের নতুন এই দাবি সঠিক হয় তবে ইতিহাসের সময়ক্রমও পাল্টাতে হবে।
ে
চলুন আরেকটু জানি তাহলে কি ভাবে নতুন করে রচিত হতে চলেছে সেই ইতিহাস। কিছু কিছু সংবাদমাধ্যমে বা সংবাদপত্রে এমন কিছু রিপোর্ট প্রকাশিত হচ্ছে। যেগুলোর প্রতিবেদন গুলো সঠিক হলে আবারো নতুন করে আমাদের ইতিহাস লিখতে হবে।
আইআইটি খড়গপুর এবং আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়াকে উদ্ধৃত করে প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে সিন্ধুসভ্যতা আদতে মিশরীয় সভ্যতার থেকেও প্রাচীন। সিন্ধু নদকে কেন্দ্র করে এই নগরসভ্যতা অন্তত ৮০০০ বছর প্রাচীন ।
আমাদের আগে ভাবতে হবে যদি ৫৫০০ বছর আগে এই সভ্যতা ডানা মেলে থাকে আর এই সকল দাবি সঠিক হলে ইতিহাসের সময়ক্রমও পাল্টে যাবে। কারন মিশরীয় সভ্যতার সময়কাল ৭০০০ খ্রিস্টপূর্ব থেকে ৩০০০ খ্রিস্টপূর্ব পযন্ত। মেসোপটেমিয়া সভ্যতার সময়কাল ৬৫০০ খ্রিস্টপূর্ব থেকে ৩১০০ খ্রিস্টপূর্ব পযন্ত। এখানেই শেষ না্ গবেষকরা আরো দাবি করে এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে একটি প্রাক-হরপ্পা সভ্যতারও নিদর্শন মিলছে যা সিন্ধুসভ্যতার আগে অন্তত ১০০০ বছর ধরে ছিল ওইরকম।
আরো যেমন কয়েকদিন আগে এক রিপোটে দেখলাম বিজ্ঞানীরা বলেছেন সিন্ধুসভ্যতার ধ্বংসের সম্ভাব্য নির্দিষ্ট কারণটিও তারা খুজে পেয়েছেন। কী সেই কারণ? গবেষকরা বলছেন সিন্ধুসভ্যতায় ক্রমশ বৃষ্টির পরিমাণ কমতে থাকে। এর ফলে সেই সময়ের মানুষ তাদের কৃষির ধরনও বদলে ফেলেন প্রকৃতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে। কিন্তু ক্রমশই বৃষ্টি কমতে থাকায় তা একসময়ে কৃষিতেও প্রবল প্রভাব ফেলে। জমিয়ে রাখা খাবারও ফুরিয়ে যায় একসময়ে।গবেষকরা বলছেন একদিনে নয় এই সভ্যতা শেষ হয়েছে তিলে তিলে।