বিভিন্ন প্রকারের ব্লগার:
১.নাকউচা ব্লগার: যারা নিজেদের অনেক সফিসটিকেইটেড মনে করে। কমেন্ট করেন খুব বেছে ভাল পোস্ট ছাড়া মূল্যবান কমেন্ট করেন না। যদি তিনি কাউকে তার লিংকে ঢোকান তবে তা আবার ভাবের সহিত বলে আসেন, আপনার ভাগ্য বলতে হবে! আমি আপনাকে লিংকে এ্যাড করলাম।
২.নির্বোধ ব্লগার: এরা কিছু না বুঝেই লাফায়।
৩. জ্ঞানী ব্লগার: এরা আসলেই জ্ঞানী। তবে এদের কারো কারো বাজে অভ্যাস থাকে সুযোগ পেলেই জ্ঞান বিতরন শুরু করেন তাও ফ্রীতে!
৪.সেলিব্রিটি ব্লগার: মূলত তারা হন ব্লগদুনিয়ার পপুলার ব্লগার। প্রায় সকলেই তাদেরকে একনামেই চেনেন। এই সেলিব্রিটি ব্লগারদের মাঝেও আছে রকমফের-
১) প্রধান চরিত্র: এরা হলেন হিরো/হিরোইন ব্লগার। অন্য ধরনের ভার-ভার্তিকতা আছে তাদের মাঝে। সবার সাথে তারা মিশেননা এবং নিজেদের ইন্ডিভিজুয়ালিটির বিষয় তাদের টনক খুবি টনটনে।
২) সাইড চরিত্র: এদের পপুলারিটি তুলনামুলক ভাবে কম কিন্তু আর সব বিষয় প্রধান চরিত্রদের মতোই তবে পপুলারিটি কম থাকার কারনে তারা সাধারন মানুষের মাঝে মিশে যেতে পারেন।
৩) ব্যাকস্টেজ: প্রডিউসার, ডিরেক্টর, মেকাপ-ম্যান দের মতোই তারা প্রায় সময় আড়ালে আবডালেই থেকে যান। মাঝে মাঝে মারাত্মক কিছু ডেলিভারি দিয়ে আবার অদৃশ্য হয়ে যেতে তাদের জুড়ি নাই।
৫.ফুটানিবাজ ব্লগার: নিজেকে বড় মাপের মানুষ ভাবে। ভাব করবে সে তেমন কিছুই না আবার গল্পও মারবে সমানে।
৬. কান্দুনীগাওয়া ব্লগার: এরা সবসময়ই নিজের অবস্থান নিয়ে অসন্তুষ্ট থাকে এবং নিজের গরীবী হাল সবার কাছে বলে বেড়ায়।
৭. জ্ঞানী তবে আদতে নির্বোধ ব্লগার: এরা নিজেদের জ্ঞানী ভাবে। কথায় আছে আপনাকে বড় বলে বড় সেই নয় লোকে যারে বড় বলে বড় সেই হয়। এরা নিজেদের ঢোল নিজেরাই পিটায় এবং অযৌক্তিক তর্ক করে।
৮. দিলদরিয়া ব্লগার: এরা যেকারো পোস্টে ঢুকেই প্রথম যে কাজটা করে তা হল প্লাসে টিপ দেয়া। অনেক সময় পুরো পোস্ট পড়ার পর এরা মাথার চুল ছিড়তে থাকে কি পোস্টে প্লাস দিয়েছে!
৯. কপিপেস্টার ব্লগার ১: এরা বিভিন্ন পত্রিকা বা বিভিন্ন সাইট থেকে পোস্টের কনটেন্ট কপি করে নিজের নামে চালিয়ে দেয়।
১০. কপিপেস্টার ব্লগার২: এরা অন্যের কমেন্ট কপি করতে এক্সপার্ট।
১১. লম্ফবিদ ব্লগার (ছাগু না): এরা ছাগলের ৩ নং ছানা
১২. হিংসুটে ব্লগার১: এরা কারো ভাল সহ্য করতে পারে না। এরা অন্যের পোস্টের খুত ধরতে, কতটি প্লাস পড়লো, কেন প্লাস পড়লো, কারণ সে মেয়ে কি না সহ যাবতীয় নীচ মানসিকতার পরিচয় দিয়ে থাকেন।
১৩. হিংসুটে ব্লগার২: পোস্ট যতই ভাল হোক এরা কখনো কারো পোস্টে প্লাস দেয় না বা পোস্টের মন খুলে প্রশংসা করতে পারে না।
১৪. সরীসৃপ ব্লগার: এরা রং বদলায়।এক এক বার এক এক জনের ধরনা দেয়, তাদের বক্তব্য স্থির থাকে না।
১৫. এ্যালিয়েন ব্লগার: এরা নিজেদের হনু মনে করে। এরা হামবড়িয়া স্বভাবের থাকে। এরা গ্রপিং পছন্দ করে এবং এরা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করার সময় অন্যদের কে পাত্তা দেয় না।
১৬. চান্সে থাকা ব্লগার১: কোন হিট ব্লগারের পিছে লেগে হিট হতে চায়।
১৭. চান্সে থাকা ব্লগার২: কোন ইস্যুতে প্রতিবাদ করে হিট হতে চায় যদিও তার ওই ইস্যু সম্পর্কে তেমন আইডিয়াই থাকে না।
১৮. প্যারাসুট ব্লগার: এরা সবাইকে তেল দিতে ভালবাসে। এরা আপনাকে যেমন তেল দিবে আপনার এগেইনস্টে পোস্ট দিলেও সেই পোস্টে বলবে, বস আপনি একটা জনিয়াস! আপনার পা সামনে নাই নয়তো পা ছুয়ে সালাম করতাম।
১৯. সহনশীল ব্লগার: এদের অনেক আজেবাজে মন্তব্য করার পরও এরা মন্তব্যকারীকে সহজভাবে নেন এবং পরে বন্ধু বলে বুকে টেনে নেন। এরা আসলেই বড় মনে অধিকারী।
২০. নিরীহ ব্লগার: এরা সাধারণত ভাল মানুষ হয়। এরা অনেক ব্যাপারই অপছন্দ করে তবে এরা নিরীহ তাই প্রতিবাদ করতে পারে না।
২১. স্বল্পজীবি ব্লগার: আসেন। আবার চলে যান।
২২. বন্ধু ব্লগার: তারা ব্লগের সবাইকে বিভিন্ন স্তরের বন্ধু ভাবেন। এরা অনেকটা দুধ-ভাত টাইপ তাই সবাই এদেরকে কম বেশি পছন্দ করে।
২৩. নর্দমার কীট ব্লগার: এটা তাদের আসল পরিচয় নয়। এই পরিচয় ব্যবহার করে তারা মনের মাধুরী মিশিয়ে অকথ্য কথা বার্তা বলেন।
২৪. রগচটা ব্লগার: এদের মাথা হুটহাট গরম হয়ে যায়। সব কিছুই তারা পার্সোনালি নিতে ভালবাসেন তারপর ঘাড়ের রগ ফুলিয়ে কিছুক্ষণ হাঁউকাউ করেন।
২৫. শুভেচ্ছা বিনিময় কারী ব্লগার: সবাইকে সবসময় শুভেচ্ছা দেয়। জন্মদিনের শুভেচ্ছা, পোস্ট দিলে শুভেচ্ছা, বর্ষপূর্তির শুভেচ্ছা, কমেন্ট দেবার শুভেচ্ছা
২৬. সাধারন ব্লগার: তারা আসেন। ঘুরেন ঘারেন। পোস্ট লিখেন হাল্কা পাতলা। কমেন্ট করেন। ব্লগ তাদের জন্য নিছক বিনোদন বা ক্ষেত্র বিশেষে যোগাযোগের মাধ্যম, এর বেশি কিছু না।
২৭.আনরেজিস্টার্ড ব্লগার: তারা ব্লগে ঢুকেন টাইম পাসের জন্য। মাঝে মাঝে এদের মনে কষ্ট লাগে যে আহা কেন রেজি করলাম না, না হলে এই পোস্টে মনের কথাটা বলতে পারতাম। তবে যেহেতু এরা সরাসরি ভাবে অন্যদের মাঝে আসেননা, আর বেশি কিছু তাদের ব্যাপারে বলা যাচ্ছে না।
২৮. নাবালক ব্লগার: এদের বয়স যদিও ১৮বছরের বেশি থাকে তবে তাদের আচরণ থাকে কিশোর অপরাধীদের মত।
২৯.নোটিশবোর্ড: ব্লগের নোটিশবোর্ড। সাত চড়ে রা ফেলার নিয়ম নাই তাই নেহায়ত ভালো মানুষ ব্লগারটিও সুযোগ পেলে মিছরির ছুরি চালিয়ে নেয়।
নতুন ক্যাটাগরি:
৩০. রেগুলার মাইনাস ব্লগার: এরা কিছু লোকের উপর ক্ষেপে থাকে এবং তাদের পোস্টের কনটেন্ট যা ই থাকুক না কেন এরা মাইনাস দিয়ে যায়। যদি কোন কারণে এরা কিছুদিনের পোস্ট মিস করেন তবে ফিরে এসে পুরানো হিসাব ঠিক করে যান।
৩১. রিমিক্স ব্লগার: এরা অন্যের হিট কমেন্টে হালকা পরিবর্তন এনে পূর্ববর্তী কমেন্টের থেকেও হিট হয়ে যায়।
৩২. উস্কানীদাতা ব্লগার: এরা সুযোগ পেলেই অন্যদের উস্কানী দিয়ে গন্ডগোল লাগানোর চেষ্টা করে।
৩৩. বিদ্রোহী ব্লগার: এরা যা দেখে তাতেই বিদ্রোহ করতে চায়। কারো সিরিয়াস পোস্ট দেখলেও তার মাথাব্যথা হয় আবার ফান পোস্ট দেখলেও তার মাথাব্যথা হয়। সে বিদ্রোহী ব্লগার হিসেবে উক্ত পোস্টের বিপরীতে পোস্ট দেয়। আর তখনই চেনা যায় কে প্যারাসুট ব্লগার আর কে বিদ্রোহী!
৩৪.সাইয়া ব্লগার: এরা পুরুষ ব্লগার তবে নিজেদের মেয়ে বলে দাবী করে থাকে। (সৌজন্যে: বাগসবানি)
৩৫. অভিমানী ব্লগার: এরা যখন তখন পোস্ট ড্রাফট করে পালায়। অভিমান ভেঙ্গে গেলে আবার ফিরে আসে।
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৩:৫৬