টুটুল: আর এ সবের মাঝে আরেকটি শব্দ ‘ঘটক’ যদি চলে আসে তাহলে আপনার হয়রানির ষোলকলা পূর্ণ! রোজ রোজ এক গাদা ভূয়া বায়োডাটা দেখিয়ে আপনার কাছ থেকে টাকা নিয়ে চুপ থাকলেও চলতো কিন্তু না এরা আপানাকে বিরক্ত করবে ততক্ষণ যতক্ষণ আপনার সর্বনাশ টা না হয়!
অচেনা বাঙালী: আর এসব থেকেই মুক্তি পেতে আমরা সামু ব্লগের এক ঝাঁক পাত্রপাত্রীদের নিয়ে শুরু করছি ‘সামুব্লগ বিবাহ’
টুটুল: আমরা এখানে আপনাদের দেখাবো যোগ্য পাত্রপাত্রীর পছন্দ অপছন্দ, তাদের বাসা দেখাবো এবং তাদের সাথে হালকা বাতচিত করবো।
অচেনা বাঙালী: তো শুরু করা যাক আমাদের আজকের অনুষ্ঠান
টুটুল: আমরা আজকে যাদের সাথে পরিচিত হবো তারা হলেন...
অচেনা বাঙালী: সিরাজগঞ্জের রমজান যে বিশ্বাস করে তার বিয়ে হবার জন্য তার একটা strength ই যথেষ্ট! সিরাজগঞ্জে কারেন্ট যায় না!
টুটুল: ঢাকার জেবিন যে ভালবাসে অবাক হতে…..
রমজানের ভিডিও :
রমজান রিক্সা করে যাচ্ছে একটা গার্লস কলেজের সামনে যেতেই রিক্সাওয়ালাকে থামতে বলল। অনেকক্ষণ ওখানে চাতকপাখির মত তাকিয়ে থেকে ছলছল চোখ নিয়ে হাত দিয়ে রিক্সাওয়ালাকে সামনে যেতে ইশারা করলো। রিক্সাওয়ালা ইশারা খেয়াল না করে জায়গায় বসে রইল। রমজান কাদো কাদো কণ্ঠে বলল, সামনে চলেন ভাই।
শেষ ভিডিও এবার স্টুডিওতে
অচেনা বাঙালী: কি ব্যাপার রমজান আপনি গার্লস কলেজের ওখানে দেখলাম বেশ আবেগ আপ্লুত হয়ে গেলেন। ব্যাপার টা কি আমাদের বলা যাবে?
রমজান: হ্যা বলা যাবে। আসলে ব্যাপারটা হলো দেশে এসেছি এবার আর এইচএসসি পরীক্ষা শুরু...ওটা একটা গার্লস কলেজ আমি সারাজীবন ওটার সামনের চায়ের দোকানে বসে টাইম পাস করেছি আর এবার ওখানে একটা বয়েস কলেজের ছেলেদের সিট পড়েছে তো মেয়েরা নেই দেখে মনটা খুবই খারাপ হয়েছে।
টুটুল: আচ্ছা ৫টি গুন বলুন যেটা আপনি আপনার জীবন সাথীর মধ্যে দেখতে চান।
রমজান: শার্টপ্যান্ট পরা, চিল্লাপাল্লা করা, ভোলাভালা, দুনিয়া সে বেখবর, ফর্সা ঠিক যেন আধুনিক হৈমন্তি...
টিভি স্ক্রীনে তিশা: রমজান আপনি যদি ফর্সা মেয়েই বিয়ে করতে চান তবে আপনি কি আমাকে বিয়ে করবেন না?
রমজান এই দৃশ্য ঘটতে পারে কল্পনাও করতে পারে নি। সে বোকার মত চেয়ে থাকলো।
অচেনা বাঙালী: রমজানের সাথে যদি আপনাদের যোগাযোগ করতে ইচ্ছে হয় তবে যোগাযোগ করুন: MA 01 লিখে পাঠিয়ে দিন ৪২০৪২০ এই নম্বরে। আমরা আপনাকে রমজানের ডিটেইল বায়োডাটা পাঠাবো।
জেবিনের ভিডিও:
রান্নাঘরে প্রেশারকুকার পরিষ্কার করছে..... জেবিন: এই প্রেশার কুকারটা আমার জান এটা দিয়ে আমি পুডিং বানাতে ভালবাসি। সবাই বলে আমি পুডিং খুব ভাল বানাই। আমার পুডিং আমি সফট বানাই খুব কারণ আমি খুবই নরম মনের মানুষ।
ভিডিও শেষ এবার স্টুডিও তে:
অচেনা বাঙালী: জেবিন আমরা শুনেছি আপনি অনেক সুন্দর পুডিং বানাতে পারেন। কিন্তু কখনও খাবার সুযোগ হবে কি না কে জানে!
জেবিন হাসি দিয়ে: কেন খাওয়া হবে না! এই যে আমি নিয়ে এসেছি
টুটুল: জলদি দাও স্যরি দেন
অচেনা বাঙালী একটু বিরক্ত হয়ে বলল, টুটুল একটু পরে খেলে হয় না??
টুটুল: ওকে!
অচেনা বাঙালী: এইবার বলুন কেমন ছেলে আপনার পছন্দ?
জেবিন: ছোটখাট কালো অলোয়েজ যার চোখে সানগ্লাস থাকবে...হাসিতে যার মুক্তা ঝরে! আমি সারপ্রাইজ অনেক পছন্দ করি। যে আমার জন্য ক্যান্ডেল লাইট ডিনারের আয়োজন করবে আমি কিছুই জানবো না....আমাকে চোখ বন্ধ করে নিয়ে যাবে আর যখন চোখ খুলবো এসব কিছু দেখে আমার চোখের কোনা দিয়ে পানি গড়িয়ে পড়বে .....
টুটুল: বাহ বাহ! খুবই সুন্দর! আমার চোখে পানি এসে গেল! আমি আজকেই আমার বউকে নিয়ে ক্যান্ডেল লাইট ডিনারে যাবো। তবে জেবিন আমি কিন্তু তোমার পছন্দ যেমন অমন একটা ছেলে চিনি।
অচেনা বাঙালী আবারও একটু বিরক্ত হয়ে বলল, টুটুল তোমাকে এখানে কেউ সাজেশন দিতে বলছে??
টুটুল: আমার হাতে ছেলে থাকলে আমি বলবো না??
(ক্যামেরার অপজিটে প্রডিউসার+ডিরেক্টর আউলা দাঁড়িয়ে ছিলেন সে বললো... আপনারা তো আমাকে পথে নামাবেন!!……..চুউউউপ করে যাবেন দুইজন )
দুইজন চুপ হয়ে গেল সাথে সাথে।
জেবিন: বলুন টুটুল ভাই আমি শুনছি
টুটুল: আমাদের অতিপ্রিয় নুরা ভাই যার নুরানী চশমা সবাই চেনে আর আমি শিওর উনার হাসিতে মুক্তা ঝরে
জেবিন লাজুক হেসে বললো, আপনার জোক করার স্বভাবটা দারুন কিন্তু টুটুল ভাই:!>
টুটুল: আমি জোক করছি না!
জেবিন তখন ক্যামেরার সামনে থেকে দৌড়ে পালালো।
অচেনা বাঙালী: লাজুক জেবিনের সাথে যদি আপনাদের যোগাযোগ করতে ইচ্ছে হয় তবে যোগাযোগ করুন: FA 01 লিখে পাঠিয়ে দিন ৪২০৪২০ এই নম্বরে। আমরা আপনাকে জেবিনের ডিটেইল বায়োডাটা পাঠাবো।
(চলবে)
ছবি কৃতজ্ঞতা: চিকনমিয়া।
এখানে রেজিস্ট্রেশন করুন
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই জুন, ২০০৯ বিকাল ৪:১১