আওয়ামীলীগ দুই বার পড়লো ট্রিকি ট্রানজিশন পিরিয়ড মোকাবেলায়। প্রথম বার পড়েছিলো পরাধীন দেশ থেকে কম সময়ে স্বাধীন দেশে মাইগ্রেশন হওয়ার সময়ে। সামলাতে হয়েছে যুদ্ধফেরত যুদ্ধাদের পর্বত পরিমাণ চাহিদা, সমাজতন্ত্রের তৎকালীন প্রবল ঢেউ । খাবি খেয়েছে আন্তাজাতিক শীতল যুদ্ধ শুরুর ভারসাম্যহীন মেরুকরন। টোটাল টান টান একটা ট্রানজিসন পিরিয়ড ছিলো সেটি।
২। বর্তমানে পড়েছে -হঠাৎ এনালগ থেকে দেশটা ডিজিটালের দিকে যাওয়া; তথ্য প্রবাহের প্রবল স্রোতে ভাসা একদল জাতির সামনে। না পারছে সামনের কাপড় সামলাতে না পারছে পিছনের কাপড় সামলাতে, না পারছে সত্য সামলাতে, না পারছে প্রোপাগান্ডা সামলাতে । মানসিক উৎকর্ষতা, সহনশীলতা গড়ে উঠার আগেই লোকের হাতে চলে গেলো ওয়েভ এক্সেস করতে পারার যন্ত্র। ছাপার অক্ষর মিথ্যা হয় না , পাবলিশ করা জিনিস ফটোশপ হতে পারে না- ধর্মীয় বিষয়ে কেউ মিথ্যা বলে না - এমন এক সরল জাতিও পড়ে গেলো তীব্র বিভ্রান্তিতে। বাধ্য নয় এমন লিখা পড়ে তাই তারা অল্পতেই উগ্র হয়ে যাচ্ছে এবং চাপাতিতে শান দিচ্ছে সে লোকটি যে জীবনে একটা পিঁপড়া মেরেছিলো কিনা সন্দেহ !!! মতের অমিল থাকাটা স্বাভাবিক এই কথাটাই যেখানে মানতে নারাজ সংখ্যাগরিষ্ট জনগণ!! বর্তমানে সরকার জোর দিচ্ছে ভোটের বদলে পুলিশের আর অসহিষ্ণু জনগণ দিচ্ছে কলমের জবাব তরবারী দিয়ে।
মাইগ্রেটেড রিলেজিয়াস, মডারেট রিলেজিয়াস এবং মাল্টি কালাচারাল এই দেশে এই ট্রানজিশন পিরিয়ড মোকাবিলা করতে হলে উগ্রবাদীদের থেকে সরে আসতে হবে আওয়ামীলীগ বিএনপি উভয়কে। ট্রাম কার্ডের খেলা সব সময় খেলতে খেলতে এখন চলছে সুপার ওভার । সুতরাং সেকুলার দল দুটিকে ঠিক করতে হবে রাষ্ট্রের মুলভিত্তি কি হবে এটাতে ঐক্যমত্যে না পৌঁছালে খোমেনি সাহেব আসতে আর দেরী নাই; খোমেনিরা এমন দুর্বল সময়েই আসে এবং এক বার আসলে চীরদিনের জন্যই আসে। খোমেনি কিন্তু মহিলা প্রধানমন্ত্রী কখনোই মনোয়ন দেবে না, এমন কি মাদার তেরেসা হলেও না, এমন কি কোরআনের অনুবাদক ভাই গিরিশচন্দ্র হলেতো আরো না। সুতরাং সাধু সাবধান।
ফেসবুক আইডি- https://www.facebook.com/asm.arshad
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১২:৩৩