
বেচারী ওয়েস্ট আফ্রিকাতে আছে রিফিউজি হিসেবে। তার ভাইরে নাকি মাইরা ফালাইছে। তারে এই কঠিন মুহূর্তে সাহায্য করলে সে আমারে সারাজীবন আগলাইয়া রাখবে

গত ২/৩ বছর যাবত বহু চিঠি পাইলাম। তবে এরাম হাইপ্রোফাইল কারও পাই নাই। মাঝে মাঝেই ব্লগে দেখি এরাম চিঠি পাওনে আলাদের পোষ্ট। আমিও দিলাম, গাদ্দাফির মেয়ের চিঠি বলে কথা। তার বহুত ট্যাকা-পয়সা। বাপেতো আর কম কামায় নাই

এই টাইপের প্রথম চিঠি পাইছিলাম এক সুদানির কাছ থেকে। সেও উপরের লেভেলের। তার আব্বাজান নাকি সুদানের খুব বড় অফিসিয়াল ছিল। কিন্তু বিদ্রোহীরা মাইরা ফালায়। পরে সে পালাইয়া পাশের দেশে চইলা যায়। তারও সেই একই কাহিনী। প্রথম এই টাইপের চিঠি বইলা একটু আগ্রহ জন্মাইছিল। তো সেই চিঠির আমি ২/৩ টা জবাবও দিছিলাম। আপায় আবার তার ৩খান ছবিও পাঠাইছিল। পুরাই ডায়মন্ড, তয় ব্লাক। যেই রিফিউজি ক্যাম্পের ঠিকানা দিছিল, নেটে সেইটার কোনও অস্তিত্বই খুইজা পাইলাম না। এমনকি রেডক্রসের মেইন অফিসেও চিঠি দিছিলাম। এর পরে সে আর জবাব দেয় নাই। আমার হৃদয় খান খান কইরা দিল


এর পর থেকে এরাম চিঠির আর অভাব হয় নাই। কি আর করনের, খালি ডিলিট বাটন চাপা লাগে। তয় আজকা একচোট হাসলাম। গাদ্দাফির মাইয়া বইলা কথা !!!!!!!

এই সেই ঐতিহাসিক চিঠি......
লিখেছে .... আমার প্রফেশনাল হাতে
