সম্প্রতি বি.ডি.আর একাংশের রক্তক্ষয়ী বিদ্রোহের ফলে বহু নিরীহ সেনা কর্মকর্তা প্রাণ হারিয়েছেন।
তেমন কোনো কারণ ছাড়াই তাদেরকে পাইকারি হারে হত্যা করা হয়েছে। শুধু তাই নয় হত্যাকান্ডের পর তাদের ম্যানহোলে ফেলে দেয়া হয়েছে, নদীতে ভাসিয়ে দেয়া হয়েছে, মাটি চাপা দেয়া হয়েছে এবং অতি নৃশংসভাবে পুরিয়ে ফেলা হয়েছে। কেন বি.ডি.আর এরকম নারকীয় হত্যাযজ্ঞ চালালো তা সচেতন মহলকে ভাবিয়ে তুলেছে। ধরে নিলাম তারা ছিলেন বঞ্চিত, লাঞ্চিত, নিপিড়ীত অথবা বিভিন্ন প্রকার বৈষম্যের শিকার। তাই বলে অস্ত্রের ভাষায় কথা বলতে হবে? অপারেশন সার্চলাইটের মতো গণহত্যা চালাতে হবে? কি অপরাধ করেছিল নারী ও শিশুরা? বিদ্রোহ শুরু হওয়ার পরপরই সেনাবাহিনী বি.ডি.আর সদর দপ্তরের সামনে অবস্থান নেয়। কিন্তু তারা ছিল সাক্ষী গোপাল।কিছুই করার ছিলনা উপরের নির্দেশ ছাড়া। শেষ পর্যন্ত সেই নির্দেশ আর আসেনি। রাজনৈতিক আলোচনার মাধ্যমে এই সমস্যার সমাধান হয়েছে। কিন্তু ততক্ষণে বহু সেনা অফিসারকে হত্যা করা হয়েছে। বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে এই ঘটনায় ইনডিয়া লাভবান হবে। দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার দায়িত্বে নিয়োজিত দু’টি বাহিনীর অর্ন্তদ্বন্ধে নিজেদের মধ্যে দূরত্ব বাড়বে। এতে আমাদের রাষ্ট্রীয় দূর্বলতা প্রকাশ পাবে। তখন ইনডিয়া আমদের ওপর আরও চেপে বসার সুযোগ পাবে। কারণ তারা সব সময়ই আমাদেরকে প্রতিদ্বন্ধী ভাবে। ধীরে ধীরে তারা আমাদেরকে সর্পের নাগপাশে বেধে ফেলছে। ফারাক্কাবাঁধ নির্মাণ, পানি সমস্যা, ছিট মহল এরকম আরও অনেক ছোট বড় সমস্যা লেগেই আছে। নতুন করে টিপাই মুখ বাঁধ নির্মাণের সকল প্রস্তুতি ইতোমধ্যে সম্পন্ন করেছে। আর বি.এস.এফ এর নিয়মিত হত্যাকান্ড তো আছেই। অনেক বিশেষজ্ঞ মনে করেন বি.ডি.আর এর এই বিদ্রোহে পরোক্ষভাবে ইনডিয়ান গোয়েন্দা সংস্থা “র” এর ইন্ধন রয়েছে। আর থাকাটাই স্বাভাবিক, কারণ ইনডিয়া এর আগেও আমাদের অভ্যন্তরীন বিষয়ে অপতৎপরতা চালিয়েছে। যে বা যারাই এ হত্যাকান্ডের সাথে সম্পৃক্ত সরকারের উচিত অতি দ্রুত তাদেরকে বিচারের আওতায় নিয়ে আসা। যেন ভবিষ্যতে আর এরকম ঘটনা না ঘটে। নিকোলাস গীয়েনের কবিতার একটি উদ্বৃতি দিয়ে শেষ করছি- “ভাই ভাইকে মারতে পারেনা”।