somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বি.ডি.আর এবং সেনবাহিনীর অন্তঃকলহ ও লাভবান ইনডিয়া

০২ রা মার্চ, ২০০৯ রাত ১:১৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

সম্প্রতি বি.ডি.আর একাংশের রক্তক্ষয়ী বিদ্রোহের ফলে বহু নিরীহ সেনা কর্মকর্তা প্রাণ হারিয়েছেন।
তেমন কোনো কারণ ছাড়াই তাদেরকে পাইকারি হারে হত্যা করা হয়েছে। শুধু তাই নয় হত্যাকান্ডের পর তাদের ম্যানহোলে ফেলে দেয়া হয়েছে, নদীতে ভাসিয়ে দেয়া হয়েছে, মাটি চাপা দেয়া হয়েছে এবং অতি নৃশংসভাবে পুরিয়ে ফেলা হয়েছে। কেন বি.ডি.আর এরকম নারকীয় হত্যাযজ্ঞ চালালো তা সচেতন মহলকে ভাবিয়ে তুলেছে। ধরে নিলাম তারা ছিলেন বঞ্চিত, লাঞ্চিত, নিপিড়ীত অথবা বিভিন্ন প্রকার বৈষম্যের শিকার। তাই বলে অস্ত্রের ভাষায় কথা বলতে হবে? অপারেশন সার্চলাইটের মতো গণহত্যা চালাতে হবে? কি অপরাধ করেছিল নারী ও শিশুরা? বিদ্রোহ শুরু হওয়ার পরপরই সেনাবাহিনী বি.ডি.আর সদর দপ্তরের সামনে অবস্থান নেয়। কিন্তু তারা ছিল সাক্ষী গোপাল।কিছুই করার ছিলনা উপরের নির্দেশ ছাড়া। শেষ পর্যন্ত সেই নির্দেশ আর আসেনি। রাজনৈতিক আলোচনার মাধ্যমে এই সমস্যার সমাধান হয়েছে। কিন্তু ততক্ষণে বহু সেনা অফিসারকে হত্যা করা হয়েছে। বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে এই ঘটনায় ইনডিয়া লাভবান হবে। দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার দায়িত্বে নিয়োজিত দু’টি বাহিনীর অর্ন্তদ্বন্ধে নিজেদের মধ্যে দূরত্ব বাড়বে। এতে আমাদের রাষ্ট্রীয় দূর্বলতা প্রকাশ পাবে। তখন ইনডিয়া আমদের ওপর আরও চেপে বসার সুযোগ পাবে। কারণ তারা সব সময়ই আমাদেরকে প্রতিদ্বন্ধী ভাবে। ধীরে ধীরে তারা আমাদেরকে সর্পের নাগপাশে বেধে ফেলছে। ফারাক্কাবাঁধ নির্মাণ, পানি সমস্যা, ছিট মহল এরকম আরও অনেক ছোট বড় সমস্যা লেগেই আছে। নতুন করে টিপাই মুখ বাঁধ নির্মাণের সকল প্রস্তুতি ইতোমধ্যে সম্পন্ন করেছে। আর বি.এস.এফ এর নিয়মিত হত্যাকান্ড তো আছেই। অনেক বিশেষজ্ঞ মনে করেন বি.ডি.আর এর এই বিদ্রোহে পরোক্ষভাবে ইনডিয়ান গোয়েন্দা সংস্থা “র” এর ইন্ধন রয়েছে। আর থাকাটাই স্বাভাবিক, কারণ ইনডিয়া এর আগেও আমাদের অভ্যন্তরীন বিষয়ে অপতৎপরতা চালিয়েছে। যে বা যারাই এ হত্যাকান্ডের সাথে সম্পৃক্ত সরকারের উচিত অতি দ্রুত তাদেরকে বিচারের আওতায় নিয়ে আসা। যেন ভবিষ্যতে আর এরকম ঘটনা না ঘটে। নিকোলাস গীয়েনের কবিতার একটি উদ্বৃতি দিয়ে শেষ করছি- “ভাই ভাইকে মারতে পারেনা”।
১০টি মন্তব্য ৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ফখরুল সাহেব দেশটাকে বাঁচান।

লিখেছেন আহা রুবন, ০১ লা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:৫০





ফখরুল সাহেব দেশটাকে বাঁচান। আমরা দিন দিন কোথায় যাচ্ছি কিছু বুঝে উঠতে পারছি না। আপনার দলের লোকজন চাঁদাবাজি-দখলবাজি নিয়ে তো মহাব্যস্ত! সে পুরাতন কথা। কিন্তু নিজেদের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হচ্ছে।... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। প্রধান উপদেষ্টাকে সাবেক মন্ত্রীর স্ত্রীর খোলা চিঠি!

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০১ লা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:০৩




সাবেক গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনকে মুক্তি দিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে খোলা চিঠি দিয়েছেন মোশাররফ হোসেনের স্ত্রী আয়েশা সুলতানা। মঙ্গলবার (২৯... ...বাকিটুকু পড়ুন

কেমন হবে জাতীয় পার্টির মহাসমাবেশ ?

লিখেছেন শিশির খান ১৪, ০১ লা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:৫৬


জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বিক্ষুব্দ ছাত্র জনতা আগুন দিয়েছে তাতে বুড়ো গরু গুলোর মন খারাপ।বুড়ো গরু হচ্ছে তারা যারা এখনো গণমাধ্যমে ইনিয়ে বিনিয়ে স্বৈরাচারের পক্ষে কথা বলে ,ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ হওয়াতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

দ্বীনদার জীবন সঙ্গিনী

লিখেছেন সামিউল ইসলাম বাবু, ০২ রা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১২:১৩

ফিতনার এই জামানায়,
দ্বীনদার জীবন সঙ্গিনী খুব প্রয়োজন ..! (পর্ব- ৭৭)

সময়টা যাচ্ছে বেশ কঠিন, নানান রকম ফেতনার জালে ছেয়ে আছে পুরো পৃথিবী। এমন পরিস্থিতিতে নিজেকে গুনাহ মুক্ত রাখা অনেকটাই হাত... ...বাকিটুকু পড়ুন

জাতির জনক কে? একক পরিচয় বনাম বহুত্বের বাস্তবতা

লিখেছেন মুনতাসির, ০২ রা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৮:২৪

বাঙালি জাতির জনক কে, এই প্রশ্নটি শুনতে সোজা হলেও এর উত্তর ভীষণ জটিল। বাংলাদেশে জাতির জনক ধারণাটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ, যেখানে একজন ব্যক্তিত্বকে জাতির প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে মর্যাদা দেওয়া হয়। তবে পশ্চিমবঙ্গের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×