উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সব ই ঠিকমতো চলছিলো। আমরা মুগ্ধ হচ্ছিলাম আমাদের সংস্কৃতি এর সুন্দর উপস্থাপনে। খুবই জমকালো অনুষ্ঠান! আসলে আমরা এতো আশা করিনি, আমরা সত্যই গর্বিত হয়েছি। আমার চোখে যানো পানি-ই এসে পড়লো। আমার অলক্ষনে। এটাইতো আমাদের স্বপ্ন ছিলো, মুক্তিযোদ্ধা, যারা শহীদ হয়েছেন তাঁদের, ভাষাশহীদদের। কিন্তু অনুষ্ঠানের ১ জায়গায় এসে আমার রাগ চরমে উঠে। যেনো চাঁদের গায়ে কলংক লাগিয়ে দিলেন। কে লাগালেন! আর কেঊ না, আমাদের the one and only diva of bangladsh(ধারাভাষ্যকারের ভাষায়)রুনা লায়লা।
হায়রে কপাল! কে বলেছীলো আপনাকে কষ্ট করে উর্দুতে গান পরিবেশন করতে?কষ্ট বলছি এ কারণে যে আমার উর্দু ভাষা বলতে কষ্ট হয়, বুক ফেটে কান্না আসে, উনার হয়ত আসেনা।
মিসেস রুনা লায়লা, আপনি কি জানেন না যে আর ৪ দিন পর আমাদের ভাষা দিবস ছিলো? আপনার কি নামকরা কনো বাংলা গান গাওয়ার মতও ছিলোনা, নাকি লজ্জা পাচ্ছিলেন? আপনি তো একজন নামকরা শিল্পী, এ কাজটা আপনি করতে পারলেন? যে ভাষাটির বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমে শহীদ হয়েছিলো আমাদের ভাইয়েরা, তাঁদের মৃত্যু বার্ষিকীর ৪ দিন আগে আপনি এমন একটা কাজ করতে পারলেন? যারা ভাষা আন্দোলন করেছিলেন, তাঁরা অনুষ্ঠান দেখে কি বলেছেন, আমি জানিনা, কিন্তু তাঁরা নিশ্চয় আপনার গলায় ইয়াহিয়া খানের পছন্দের এ গানটি শুনে.........।
থাক, কি আর বলব, আপনিতো খুবই নামকরা গায়িকা।
শুধু একটা কথাই আমি বলতে চাই, যারা সুযোগ পেলে নিজ দেশের সংস্কৃতি অন্য দেশের মানুষের সামনে তুলে ধরতে পারেন না, সেসব মানুষের আমার দেশের কনো প্রয়োজন নাই। যেসব সন্তান সবার সামনে নিজের মা কে অপমান করায়, সেসব সন্তান আমার মায়ের কোন প্রয়োজন নেই।
আপনার গান এখন তরুন সমাজের কয়টা ছেলেমেয়ে শুনে তা আমার জানা নেই, কিন্তু নিজের এলবাম না চললে কুকুরের মতো জিহ্বাটা পাকিস্তান আর ভারতের দিকে তাক করে রাখবেন না , দয়া করে।
(গতকাল মনে হয় আপনার পড়োনের শাড়ীটাও ভারত অথবা পাকিস্তানের ছিলো , তাইনা ম্যাডাম?)