শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে লোকপ্রশাসন বিভাগের কর্মচারী আবু সালেহ কর্তৃক এক ছাত্রী যৌন হয়রানির শিকার হয়েছেন।
গত রোববার এ ঘটনা ঘটার পর ভয়ে ঐ ছাত্রী মুখ খোলেন নি। পরে সোমবার তার সহপাঠীরা ঘটনাটি জানার পর বিভাগীয় প্রধানের কাছে ওই কর্মচারীর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
এসময় বিভাগীয় প্রধান শিক্ষার্থীদের কাছে একদিনের সময় চেয়ে নেন। তবে মঙ্গলবার নির্ধারিত দিনেও এ ব্যাপারে কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। অভিযোগপত্রের প্রেক্ষিতে অভিযুক্তকে এখন পর্যন্ত কোন কারণ দর্শানো নোটিশও প্রদান করা হয়নি।
এরকম একটি স্পর্শকাতর বিষয়ে বিভাগীয় প্রধানের নিরব ভূমিকায় বিভাগের শিক্ষার্থীরা ব্যাপক ক্ষোভ প্রকাশ করেছে।
এদিকে মঙ্গলবার বিকেল ৪টায় যৌন নিপীড়ন প্রতিরোধ কমিটির কয়েকজন সদস্য এ বিষয়ে লোক প্রশাসন বিভাগের বিভাগীয় প্রধানের সাথে দেখা করতে যান। তবে ওইসময় তিনি বিভাগে না থাকায় মুঠোফোনে তার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, এবিষয়ে প্রসিডিউর মেইনটেন করে পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। তবে ওইছাত্রীর দেয়া লিখিত অভিযোগের বিষয়টি তিনি তাদের সাথে অস্বীকার করেন।
জানা যায়, রোববার লোকপ্রশাসনের বিভাগের এক ছাত্রী বিভাগের অফিসের সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় তাকে কক্ষে ডেকে নিয়ে যান মাস্টার রোলে নিয়োগ পাওয়া কর্মচারী আবু সালেহ। এসময় তিনি তার হাত ধরে টেনে নিয়ে আপত্তিকর ইঙ্গিত করেন বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ করেছেন সেই ছাত্রী। এ ঘটনায় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিভাগের কয়েকজন ছাত্রীও ওই কর্মচারীর বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলছেন।
যৌন হয়রানির অভিযোগের বিষয়ে বিভাগের কর্মচারী আবু সালেহ সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, এব্যাপারে তিনি কথা বলতে চান না।
অপরদিকে আবু সালেহের পক্ষ নিয়ে লোক প্রশাসন বিভাগের জামায়াতপন্থী শিক্ষক নাসির উদ্দিন এর বক্তব্যে তীব্র ক্ষোভ দেখা দিয়েছে ক্যাম্পাসে। তিনি ভিকটিমকে ‘চরিত্রহীনা’ আখ্যা দিয়ে আবু সালেহকে নির্দোষ দাবি করেছেন। তার এধরনের বক্তব্যে ওই সময় বিভাগের অপর শিক্ষকদের তোপের মুখে পড়েন তিনি। এছাড়া শিক্ষার্থীরা দাবি করেছেন, বক্তব্যের জন্য ক্ষমা না চাইলে তারা তার পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলনে নামবেন।
কর্মচারী কর্তৃক যৌন হয়রানি করার ঘটনা তদন্তে ৩ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে।
বুধবার লোক প্রশাসন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. শামীমা তাসনিমকে প্রধান করে এই তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য ও যৌন নিপীড়ন নিরোধ কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. ইয়াসমীন হকের নির্দেশে এ কমিটি গঠন করা হয়।
তদন্ত কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ফাতেমা খাতুন ও মো. ফখরুল ইসলাম।
নিউজ লিঙ্ক
http://sustnews24.com/news/4962
http://ctgnews.com/01/28453.php
http://barta24.com.bd/details.php?id=2459
Click This Link
Click This Link
ব্লগার ভাইদের সরব হউয়ার আহব্বান জানাচ্ছি।
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১২:৪২