somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

২১ শতকের মৃত্যু নগরী #:-S খ্যাত কয়েকটি শহর :-B B:-) :-B

২০ শে নভেম্বর, ২০১২ সকাল ৮:১০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ছিনতাই , চুরি, গুম হত্যা , কিডনাপিং ডাকাতির এর জন্য নিচের শহর গুলি মৃত্যু নগরী হিসেবে স্থান করে নিয়েছে । অপরাধের পরিসংখ্যানগত তথ্য প্রাপ্তি থেকে এই তালিকা প্রকাশ করা হয় ।

কারাকাস, ভেনেজুয়েলা



কারাকাস মাদক পাচার এবং ছোটখাট অপরাধের প্রাচুর্যে পরিপূর্ণ ভেনেজুয়েলার একটি শহর । দিন দুপুরে ডাকাতি এখানে খুবি স্বাভাবিক একটি ঘটনা । অপরাধমূলক কার্যক্রমের উপর জন নিরাপৎতার কাজে নিয়জিত পুলিশের এর উপর খুব অল্পই নিয়ন্ত্রণ আছে। শহর টির ভূতাত্ত্বিক অবস্থান একে ড্রাগ চুরা চালানের আশ্রয়স্থল হিসেবে প্রশিদ্ধ করে তুলেছে । শহরের সুরক্ষার জন্য অন্যান্য অনেক কিছু প্রয়োজন হয়। কিন্তু স্থানীয় সরকার এই বিষয়ে সম্পুর্ন উদাসীন অবস্থান করেছে ।

মোগাদিশু, সোমালিয়া



মোগাদিশু সোমালিয়ার রাজধানী । এখনও সোমালিয়া মধ্যে অশান্তির জন্য 2012 সালেও তাদের রাজধানীর চেহারা উজ্জ্বল হয় না । প্রায় দুই দশক ধরে চলমান গৃহযুদ্ধ এবং বিবাদ মান রাজনৈতিক সহিংসতা শহর এবং দেশকে খন্ড-বিখন্ড করে এক সংঘাত ময় পরিস্তিতির দিকে ঠেলে দিয়েছে । সঠিক পরিসংখ্যান ও তথ্য অনুযায়ী আশান্তির প্রায় কারণ হিসাবে যুধ্যমান স্থানীয় মিলিশিয়া ও সেনাবাহিনী কে বলা যায় । কারন প্রায় প্রতিদিন ই তাদের সঙ্ঘরশ বাধে । বোমাবর্ষণ , গুলাগুলি শহরের নিত্য দিনের ঘটনা । মূলত এর টাইটেল অনাচার শহর বলতে মোগাডিশু যে খুবই বিপজ্জনক তাকে বুজানু হয়। বিগত তিন বছর আগে এর নাগরিকদের বিপুল পরিমাণ শহর পরিত্যক্ত করে চলে যায় । কিন্তু এখনও অবশেষ হিসাবে এর প্রচুর ধ্বংসাবশেস রয়ে গেছে ।

রিও ডি জেনেইরো, ব্রাজিল :



যদিও রিও ডি জেনেইরো তে কিছু চমত্কার সৈকত এবং কিছু সুন্দর প্রাকৃতিক দৃশ্য আছে, তারপর ও নিরাপত্তার মিথ্যা ধারণার মধ্যে থেকে শহরটি পরিদর্শন করা উচিত নয়।
রিও ডি জেনেইরো তে অনেক ঘিঞ্জি / কুটির এলাকাসমূহ রয়েছে যেখানে জনসংখ্যার 20% অর্থনৈতিক অস্থিতিশীলতা মধ্যে বসবাস করছে । তারা প্রতিনিয়ত জীবন সংগ্রাম করে চলেছে । এবং এই সংগ্রামের মূলত ড্রাগ পাচারকারী এবং স্থানীয় পুলিশ বাহিনী মধ্যে চলা সংঘাতের পূর্ণ রুপ নিয়েছে ।
পর্যটক এবং ভ্রমণকারীদের বিশেষ করে রাতের বেলায় পাহাড়ী অঞ্চল ও শহর এলাকায় দরিদ্র থেকে দূরে থাকুন, এই পরামর্শ কত্রি পক্ষ থেকে দেওয়া হয় ।পুলিশ সেখানে সুরক্ষিত করতে নিয়জিত রয়েছে। কিন্তু ঘুষ সে ব্যপারে তাদের সঙ্গে তুচ্ছ এবং যে কুনো কারন ছাড়াই যে কুন সময় কিছু টাকা প্রয়োজন হতে পারে ।

Grozny, চেচেনিয়া, রাশিয়া



১৯৯০ সালের মধ্য দিকে চেচেনিয়া এবং রাশিয়া মধ্যে খুব ধ্বংসাত্মক দ্বন্দ্ব শুরু হয় । Grozny প্রকৃত পক্ষে বিশ্ব ব্যাপি কসাই খানার পরিচিতি লাভ করল । শহরের মধ্যে শেল, মিসাইল প্রতিবন্ধক এবং ডিনামাইট দিয়ে হাজার হাজার লাশের মৃত্যু কুপ এ পরিনিত ছিল । মূল শহরটির অর্ধবৃত্তাকার স্তাপনার পার্শ্বচিত্রের মূর্তির মত দুভাগে বিভক্ত দেখাচ্ছিল । সেখানে হাজার হাজার মানুষ মারা গেছে এবং শহর উপর দুরভুগের উপশুল্ক ছিল বর্ণনাতিত । যদিও যুদ্ধ দৃশ্যত 2006 সালে শেষ হয়ে যায় তার পরে ও এটি এখনও খুব বিপজ্জনক জায়গা। এটা পশ্চিমা পর্যটকদের জন্য বিশেষত বিপজ্জনক কারণ এখানে কিডনাপিং হার খুবি বেশি । এখানে বড় এবং ক্ষুদ্র উভয় অপরাধ কম বেশি প্রতিদিন সংগঠিত হয়।

Ciudad Juarez, মেক্সিকো



মেক্সিকো ড্রাগ কার্টেল তাদের ব্যবসার কোন চিহ্ন প্রদর্শন করে না । কিন্তু Ciudad Juarez আক্রান্ত এলাকাগুলোর মধ্যে এক নম্বর স্তান নিয়েছে । মেক্সিকো মধ্যে মাদক পাচারের দল গুলু একে মাদক পাচারের রুট হিসেবে ব্যবহার করে । তাদের পুরুপুরি ভাবে এই অঞ্চলের উপর নিয়ন্ত্রণ আছে এবং প্রায় কাছাকাছি যাই হোক না কেন তারা যা করতে চান তাই করতে পারেন ।
তাদের কাজের যেমন তাদের পণ্য সরাতে থামাতে, কুনু বাধা পেলে কুখ্যাতিপূর্ণভাবে বাধাদান কারি কে হিংসাত্মক পরিণতি বরন করতে হয়েছে ।এই শহর বিশ্বের সবচেয়ে সহিংস যুদ্ধের অঞ্চল হিসেবে বাইরে জায়গা করে নিয়েছে । এই শহরের পুলিশ বাহিনী দুর্নীতিগ্রস্ত হিসেবে পরিচিত । এই সহিংসতার জন্য মেক্সিকান সরকার প্রায়ই আভিজুগ আরোপিত করে যে চলমান ওষুধের উপর আমেরিকান যুদ্ধ এবং আমেরিকার অবৈধ ড্রাগ ব্যবসা কে কিন্তু সমস্যার সমাধান কেবল দোষারোপ করার মাঝেই সীমিত ।

বোগোটা, কলম্বিয়া



বোগোটা এর প্রধান সমস্যা ড্রাগ ব্যবসা ও চরমপন্থী রাজনৈতিক দল । চরমপন্থী রাজনৈতিক দল কলম্বিয়ান সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহী গ্রুপ ঘটন করেছে । কিন্তু ভাগ্যক্রমে হয়েছে ১৯৯০ এর দশক থেকে কিছু উন্নতি হয়েছে । শহর উত্তর অংশে একেবারে আরো নিরাপদ দক্ষিণ অঞ্চল সেখানে পর্যটক দের থাকা যুক্তিযুক্ত এবং এই এলাকায় থাকার শহর সীমার বাইরে না যাওয়া উচিত । বোগোটা তে আকর্ষণ করার মত প্রচুর উপাদান রয়েছে । পর্যটক দের শুধু সতর্কতা অবলম্বন করা আবশ্যক এবং নিরাপদ এলাকা থেকে অতিদূরে বিপথগামী এলাকায় না যাবার পরামর্শ দেওয়া হয়।

বাগদাদ, ইরাক



অত্যন্ত পরিবর্তনশীল রাজনৈতিক জলবায়ু বাগদাদ শহর কে অনেক ভিন্ন সংঘাত এর মধ্যে তাদের নিজস্ব উপায়ে শহর কে গ্রাস করে নিয়েছে । শহরের সম্পূর্ণ কাঠামো বোমাবর্ষণ দিয়ে বিদীর্ণ করেছে এবং রাস্তায় সহিংসতার নিদর্শনে ভরা ।
২০০৩ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র শহর মধ্যে আক্রমণ করে সহিংসতায় একে একটি প্রতিকূল জায়গাতে পরিনিত করে । উপযুক্ত কাঠামুর অভাব ইরাকী জনগনের মধ্যে চাপা উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে তুলেছে ।

গুয়াতেমালা সিটি, গুয়াতেমালা



গুয়াতেমালার দুর্নীতিগ্রস্ত সরকারের সঙ্গে অপরাধের সুস্পষ্ট সম্পর্ক জাতি সংগ এর নজরে পড়েছে । এর পুলিশ বাহিনী যারা অপরাধমূলক কার্যকলাপের প্রাচুর্য মোকাবেলায় পুরুপুরি সজ্জিত না ।
ধনী ও দরিদ্র মধ্যে বিশাল বৈষম্য তাদের চুরি/ ডাকাতি এবং সহিংসতার মধ্যে নিয়ে যায় । যা একটা মামুলি ব্যাপার মাত্র । এটি একটি সুন্দর শহর কিন্তু দুর্নীতি একে ধ্বংস করে ফেলেছে । এবং দেশ হিসেবে ও এটা তাদের একটা লজ্জা কারণ । যদিও কত্তি পক্ষ নিরাপদ রাস্তায় জন্য প্রতি নিয়ত চেষ্টা করে যাচ্ছে।

সান পেড্রো Sula, হন্ডুরাস



হন্ডুরাসের এই শহর বিশ্বের সর্বোচ্চ হত্যার হার দিকে প্রথম হয়েছে । এর এলাকা সমূহ এমনকি ইরাক এবং আফগানিস্তানের এলাকাসমূহের চেয়ে ও বেশী বিপজ্জনক বলে মনে করা হয় । এখনে ছিনতাই একটি প্রধান সমস্যা এবং প্রায় সবাই সুরক্ষার জন্য কিছু হাল্কা ধরণের অস্ত্র বহন করে । এমনকি ছোটখাট বিবাদ সহিংসতা প্রায়ই ভয়াবহ রুপ ধারন করে । ফলে শহরের রাস্তায় হাঁটার সময় চরম সাবধানতা অবলম্বন করা প্রয়োজন । যেকেউ একজন বিদেশী উপস্থিত অপরাধীর জন্য নির্দিষ্ট লক্ষ্য হতে পারে ফলে পর্যটকদের বিশেষ সতর্ক হতে বলা হয়।

কেপ টাউন, দক্ষিণ আফ্রিকা



যদিও কেপ টাউনের বিপুল পর্যটক আকর্ষণ ক্ষমতা এবং এটি একটি বড় শহর যা সব প্রয়ুজনিয় জিনিষে পূর্ণ । কিন্তু অত্যন্ত উচ্চ অপরাধের হার এবং ভুল সময়ে ভুল জায়গাতে হাটার সময় আপনি ক্ষতিগ্রস্ত পারেন । যেমন ধনী দরিদ্র ক্লাস এর মধ্যে অসমতা অপরাধমূলক কর্মকান্ডের জন্য প্রধান ফ্যাক্টর,
এখানে ছিনতাই খুবই সাধারণ ঘটনা । পর্যটকদের পরামর্শ দেওয়া হয় শহরের অপেক্ষাকৃত নিরাপদ অংশ থাকার। চারপাশের রাস্তায় লোকেদের সঙ্গে প্রচুর ভাল-শয়নকামরা চলাফেরা করে ফলে রাস্তায় সাবধান থাকা উচিত । পর্যটকদের এটিএম ব্যবহার করার সময় অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বন করা আবশ্যক ।

সুত্রঃ ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত

১৪টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

জাতির জনক কে? একক পরিচয় বনাম বহুত্বের বাস্তবতা

লিখেছেন মুনতাসির, ০২ রা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৮:২৪

বাঙালি জাতির জনক কে, এই প্রশ্নটি শুনতে সোজা হলেও এর উত্তর ভীষণ জটিল। বাংলাদেশে জাতির জনক ধারণাটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ, যেখানে একজন ব্যক্তিত্বকে জাতির প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে মর্যাদা দেওয়া হয়। তবে পশ্চিমবঙ্গের... ...বাকিটুকু পড়ুন

আত্মপোলব্ধি......

লিখেছেন জুল ভার্ন, ০২ রা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ১০:৫১

আত্মপোলব্ধি......

একটা বয়স পর্যন্ত অনিশ্চয়তার পর মানুষ তার জীবন সম্পর্কে মোটামুটি নিশ্চিত হয়ে যায়। এই বয়সটা হল পঁয়ত্রিশ এর আশেপাশে। মানব জন্মের সবকিছু যে অর্থহীন এবং সস্তা সেটা বোঝার বয়স... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবন থেকে নেয়া ইলিশ মাছের কিছু স্মৃতি !

লিখেছেন হাসানুর, ০২ রা নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৫:৩২



হঠাৎ ইলিশ মাছ খেতে ইচ্ছে হল । সাথে সাথে জিভে ..জল... চলে এল । তার জন্য একটু সময়ের প্রয়োজন, এই ফাঁকে আমার জীবন থেকে নেয়া ইলিশ মাছের কিছু স্মৃতি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ট্রাম্প ক্ষমতায় আসছে এটা ১০০% নিশ্চিত। আমেরিকায় ইতিহাসে মহিলা প্রেসিডেন্ট হয়নি আর হবেও না।

লিখেছেন তানভির জুমার, ০২ রা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:৩৩

আর এস এস সহ উগ্র হিন্দুদের লিখে দেওয়া কথা টুইট করেছে ট্রাম্প। হিন্দুদের ভোট-আর ইন্ডিয়ান লবিংএর জন্য ট্রাম্পের এই টুইট। যার সাথে সত্যতার কোন মিল নেই। ট্রাম্প আগেরবার ক্ষমতায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

ট্রাম্প জিতলে কঠোর মূল্য দিতে হবে ইউসুফ সরকারকে?

লিখেছেন রাজীব, ০২ রা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:৪২

ডোনাল্ড ট্রাম্পের এক মন্তব্যে বাংলাদেশের মিডিয়ায় ঝড় উঠেছে। ৫ তারিখের নির্বাচনে ট্রাম্প জিতলে আরেকবার বাংলাদেশের মিষ্টির দোকান খালি হবে।

আমি এর পক্ষে বিপক্ষে কিছু না বললেও ডায়বেটিসের রুগী হিসেবে আমি সবসময়... ...বাকিটুকু পড়ুন

×