অনেক বছর পরে
পানসি গ্রামের পথ ধরে যেতে যেতে
বেলুচ পাক-আর্মি আব্বার কথা ভাবতে ভাবতে
গ্রামটির উঁচু মাটির ঢিপি দেখতে দেখতে
পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া
চূর্ণীমতী উপনদীর জলের শব্দ শুনতে শুনতে
ভবানন্দ মজুমদারের কুমারী কন্যার
রাজবংশীয় সমৃদ্ধ শরীরের বস্ত্রহরণের
বিলাসী দিনের কথা চাটতে চাটতে
ইজ্জত আলীর 1971 সালের
মুক্তিযুদ্ধের সর্বোচ্চ চেতনা
লাল লেজের বাজপাখির ডাকসহ মগজে জেগে ওঠে
কারণ ওই বাজপাখিটি ভিন্ন কোনো প্রাণিই তখন আর
এ ঘটনার কোনো সাক্ষী ছিল না।
মুক্তিযুদ্ধের এমন বেলুচ পাক-আর্মি আব্বার স্মৃতিবাহী
সর্বাধিক অনুভূত চেতনা
সবার জীবনে থাকে না
যা রয়েছে ইজ্জত আলীর জীবনে।
পানসি গ্রামে এখনো কয়েকঘর হিন্দু বসবাস করলেও
ভবানন্দ মজুমদারের কুমারী কন্যা
চূর্ণীমতী মজুমদারের মতো মেয়ের দেখা
এখন আর কালেভদ্রে মেলে না।
ইজ্জত আলীর মুক্তিযুদ্ধের সর্বোচ্চ চেতনা হলো
ভবানন্দ মজুমদারের কুমারী কন্যার
রাজবংশীয় সমৃদ্ধ শরীর থেকে দ্রুত বস্ত্রহরণ
ইজ্জত আলীর পেশী তখন কী ভয়ানক ছিল!
বিপজ্জনক ছিল তার চোখ
ধারালো নখর, ভয়ঙ্কর বিষদাঁত
এই বৃদ্ধ বয়সেও ইজ্জত আলী
এখনো মানুষের মগজে ছড়ায় ম্যালেরিয়া, রক্তে ছড়ায় মরণ
ইজ্জত আলীর মুক্তিযুদ্ধের সর্বোচ্চ চেতনা হলো
ভবানন্দ মজুমদারের কুমারী কন্যার
রাজবংশীয় সমৃদ্ধ শরীর থেকে দ্রুত বস্ত্রহরণ।
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১১:২৫